আল ইহসান ডেস্ক:

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখ-ে ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর তীব্র হামলা ও ব্যাপক অভিযানের মধ্যেই এখনও ইসরায়েলের ভেতরে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। ইসরায়েলি সশস্ত্র বাহিনী (আইডিএফ) বলেছে, সেনাবাহিনী এখনও ইসরায়েলের ভেতরে হামাস যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে।

এছাড়া হামাস যোদ্ধাদের এখনও ইসরায়েলে প্রবেশ করার বিষয়টি অস্বীকার করতে পারছে না আইডিএফ। অর্থাৎ এখনও ইসরায়েলে প্রবেশ করছে হামাস যোদ্ধারা। গতকাল ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকার কাছে অবস্থিত ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলের সাত থেকে আটটি স্থানে ইসরায়েলি বাহিনী এখনও হামাসের যোদ্ধাদের সঙ্গে লড়াই করছে বলে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী গতকাল ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) সকালে এক ব্রিফিংয়ে জানিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

আইডিএফ জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় অনেক যোদ্ধা নিহত হয়েছে, কিন্তু অন্যরা এখনও কিবুতজের বাড়িগুলোতে লুকিয়ে আছে।

এদিকে নতুন করে ইসরায়েলে ঢুকছে হামাসের আরও যোদ্ধা। বিবিসি বলছে, ইসরায়েলের গাজা সীমান্তে সীমানা বেড়ার ভেঙে ফেলা অংশগুলোর ‘বেশিরভাগই’ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করা হলেও হামাস যোদ্ধাদের এখনও ইসরায়েলে প্রবেশ করার বিষয়টি অস্বীকার করতে পারছে না ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী।

একজন মুখপাত্র বলেছে, ইসরায়েল এবং গাজাকে পৃথককারী সীমান্ত বেড়ার মধ্যে ভেঙে ফেলা অংশগুলোর ‘অধিকাংশ’ পয়েন্ট প্রধানত ট্যাংক দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু চাপ দেওয়া হলে ওই মুখপাত্র বলেন, যোদ্ধাদের এখনও ইসরায়েলি ভূখ-ে প্রবেশ করার বিষয়টি সে ‘অস্বীকার করতে পারেন না’।

গাজায় সর্বাত্মক অবরোধের ঘোষণা ইসরায়েলের, বন্ধ হচ্ছে খাদ্য-জ্বালানি:

'হামাস অধ্যুষিত গাজার সর্বাত্মক নিয়ন্ত্রণ নিতে সেখানে কোনো বিদ্যুৎ, খাবার, পানি ও গ্যাস থাকবে না-সব বন্ধ করে থাকবে।'

ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের সংঘর্ষ তৃতীয় দিনে পৌঁছেছে। এই 'যুদ্ধ' পরিস্থিতিতে গাজা উপত্যকায় খাদ্য ও জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়াসহ সর্বাত্মক অবরোধের ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল।

গতকাল ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট এক বার্তায় বলেন, 'হামাস অধ্যুষিত গাজার সর্বাত্মক নিয়ন্ত্রণ নিতে সেখানে কোনো বিদ্যুৎ, খাবার, পানি ও গ্যাস থাকবে না- সব বন্ধ করে থাকবে।'

এই ঘোষণার আগে থেকেই গাজা উপত্যকায় আকাশ, স্থল ও সমুদ্রপথে অবরোধ দিয়ে রেখেছে ইসরায়েল। ২০০৭ সাল থেকে এই অবরোধ চলছে। যার ফলে এ অঞ্চলের দুই লাখেরও বেশি মানুষ বিদ্যুৎ ও পানি সংকটে ভুগছেন। এ ছাড়া, চিকিৎসা সেবা ও ওষুধেরও অপ্রতুলতা রয়েছে সেখানে।