ইহুদীরা মুসলমানদের দেশের পরিবেশ নষ্ট এবং মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর ও বিষাক্ত খাদ্য উৎপাদনের ষড়যন্ত্রে সক্রিয়। ইহুদী চক্রান্তে জাতিসংঘ এদেশে মহা ক্ষতিকর ইউক্যালিপটাস ব্যাপকভাবে বনায়ন করেছে। কিন্তু বাংলাদেশের মুসলমানগণ ইহুদী ষড়যন্ত্র সম্পর্কে বড়ই বেখবর।
, ১৮ ছফর শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৬ রবি’ ১৩৯১ শামসী সন , ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ২১ ভাদ্র, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) সম্পাদকীয়
সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর বলে ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি গাছ কেটে ফেলার উদ্যোগ নেয়া হবে বলে জানিয়েছে বন, পরিবেশ ও পানিবায়ু পরিবর্তন উপমন্ত্রী হাবিবুন্নাহার। উপমন্ত্রী জানায়, নানা আকর্ষণ থেকে মানুষ আগে আকাশমনি ও ইউক্যালিপটাসের মত ‘পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর’ গাছগুলো লাগিয়েছে। তবে মানুষ এখন সচেতন। বিগত কয়েক বছরে মনে হয় না কেউ এসব গাছ লাগিয়েছেন। যে গাছগুলো আছে তা কেটে ফেলার বিষয়ে মন্ত্রণালয়ে আলোচনা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ক্ষতিকর বিদেশী গাছের প্রজাতি (ওহাধংরাব অষরবহ ঞৎবব ঝঢ়বপরবং-ওঅঞঝ) যা স্থানীয় গাছসমূহের স্বাভাবিক জীবনধারনের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। এরা খুব দ্রুত বাড়ে ও ছড়িয়ে পড়ে এবং স্থানীয় উদ্ভিদের স্বাভাবিক জীবনধারনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। এসব পরিবেশ ঘাতক গাছ ও দুরভিসন্ধি জনিত কারণে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মানুষের কাছে সাধারণ গাছ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। বাংলাদেশে মূলত অস্ট্রেলিয়ান দুটি প্রজাতি ইউক্যালিপটাস ও একাসিয়া (আকাশমনি) ব্যাপক ছড়িয়ে পড়েছে।
ইহুদী চক্রান্তে টঘউচ-এর মাধ্যমে এই বিদেশী প্রজাতির গাছ ১৯৭০ সালের মাঝামাঝি সময়ে আমাদের দেশে আসে। এশিয়ান ডেভলপমেন্ট ব্যাংক ফান্ড উপজেলা পর্যায়ের সামাজিক বনায়ন প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশে ১৯৮০ সালের মাঝামাঝি সময়ে এসব গাছ নিয়ে আসে। এর মধ্যে ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি ইহুদী চক্রান্তে এদেশে ব্যাপক প্রচলনের জন্য এই দুটি গাছ অনেকের কাছে এখন স্থানীয় গাছ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।
অথচ যে অস্ট্রেলিয়া থেকে ইউক্যালিপটাস গাছ আনা হয়েছে। ইউক্যালিপটাস গাছ সে অস্ট্রেলিয়ায় পশুখাদ্য হিসেবে চাষ হয়। তবে সেখানে গাছ বড় হতে দেয়া হয় না; কচি অবস্থায়ই গবাদি পশু দিয়ে খাওয়ানো হয়।
অথচ পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর বিদেশী ইউক্যালিপটাস গাছের সংখ্যা বাড়ছে দেশের সব জেলায়। গত কয়েক বছরে সামাজিক বনায়ন থেকে শুরু করে মহাসড়কের দুই পাশে, জেলা সড়ক, বসতবাড়ি, নদী, খাল, ক্ষেতের আলসহ সর্বত্র ইউক্যালিপটাসে ছেয়ে গেছে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, দেশের উত্তরের জেলাগুলোতে ইউক্যালিপটাস গাছের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় পাখিদের আশ্রয়স্থল কমে যাওয়া ও খাদ্যাভাব দেখা দিচ্ছে। আশ্রয় এবং খাদ্য হারাচ্ছে পাখিসহ অন্য বন্যপ্রাণী।
একটি পূর্ণবয়স্ক ইউক্যালিপটাস গাছ ২৪ ঘণ্টায় ভূগর্ভ হতে প্রায় ৯০ লিটার পানি শোষণ করে। মাটিকে নিরস ও শুষ্ক করে ফেলে। এলাকার ইউক্যালিপটাস গাছগুলো প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৪৫০ কোটি লিটার পানি শোষণ করছে ভূগর্ভ থেকে। সাধারণত গাছ নাইট্রোজেন গ্রহণ করে আর অক্সিজেন সরবরাহ করে পরিবেশ নির্মল ও প্রাণীকূলের স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাসে সহায়তা করে। অথচ ইউক্যালিপটাস গাছ অক্সিজেন গ্রহণ করে এবং নাইট্রোজেন নির্গমন করে। ফলে এ গাছের শাখায় পাখি বসতে পারে না। এমনকি যে বসতবাড়িতে অধিক পরিমাণে ইউক্যালিপটাস গাছ আছে সেসব বাড়ির শিশু ও বৃদ্ধদের শ্বাসকষ্ট হতে পারে। যে ফলের বাগানে এ গাছের সংখ্যা বেশি সেখানে ফল কম ধরতে পারে। ভূগর্ভস্থ পানির স্তর দ্রুত নিচে নেমে যাওয়ার ক্ষেত্রেও এর আগ্রাসী ভূমিকা কম নয়।
বাংলাদেশের বৃহত্তর দিনাজপুর, রংপুর, বগুড়া, পাবনা, যশোর, কুষ্টিয়া এবং পাহাড়ি অঞ্চলের অনেক জায়গা এখন বিদেশি গাছের বনে পরিণত হয়েছে। এমনকি রংপুর, দিনাজপুর, টাঙ্গাইল, গাজীপুরের শালবন এবং বৃহত্তর সিলেট ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকার অনেক প্রাকৃতিক বনাঞ্চল খুব দ্রুত ইউক্যালিপটাস ও একাসিয়ার বনে পরিণত হয়েছে।
এক জরিপে দেখা গেছে, শুধুমাত্র বৃহত্তর রংপুরেই বিদেশি প্রজাতির এসব ঘাতক গাছ লাগানো হয়েছে এক বিলিয়নের বেশি। সাধারণ জনগণের মধ্যে প্রচার করা হয়েছিল যে, এসব বিদেশি গাছ খুব দ্রুত বাড়ে। ফলে একদিকে এরা যেমন জ্বালানী ঘাটতি দূর করতে সক্ষম, অন্যদিকে এসব গাছের কাঠ ঘরবাড়ি নির্মাণের উপযোগী। ফসলের জমিতে, পাহাড়ের ঢালে, বাড়ির আশেপাশে এবং বড় রাস্তার দু’পাশে ব্যাপকভাবে এসব বিদেশি গাছ লাগানো হয়েছে। এখন এসব গাছ স্থানীয় অন্যান্য গাছের উপর এবং জীববৈচিত্রের উপর মারাতœক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করছে।
সরকারের নিস্ক্রিয়তা এবং জনগণের অসচেতনতার কারণে ইউক্যালিপটাস, পাইন, আকাশমনির মত্যে বিদেশি প্রজাতির ঘাতক গাছের সংখ্যা উল্লেখ্যযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই আমাদের স্থানীয় গাছের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। ফলে বাংলাদেশের জীববৈচিত্র ও প্রকৃতি আজ বিপন্ন। তাই অচিরেই এসব বিদেশি গাছের বৃদ্ধি ও সম্প্রসারণ বন্ধ করতে হবে এবং দেশের জীববৈচিত্রকে রক্ষা করতে হবে।
মূলত, এসব অনুভূতি ও দায়িত্ববোধ আসে পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ অনন্তকালব্যাপী পালন উনার ইলম ও জজবা থেকে। আর তার জন্য চাই নেক ছোহবত তথা মুবারক ফয়েয-তাওয়াজ্জুহ।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। (আমীন)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
দেশে মানসিক রোগীর সংখ্যা প্রায় ৪ কোটি। বিপরীতে স্বাস্থ্য বাজেটের মাত্র ০.৪৪% ব্যয় হচ্ছে মানসিক চিকিৎসায়। রয়েছে মানসিক বিশেষজ্ঞ ও দক্ষ জনবল সঙ্কট। সরকারের উচিত, দেশের মানসিক চিকিৎসা ব্যবস্থায় উন্নত করা এবং পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দ করা।
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
অবৈধ পথে বিদেশে গিয়ে ভয়াবহ নির্যাতিত হওয়ার পাশাপাশি নিঃস্ব হচ্ছে বহু পরিবার। মানব পাচার রোধে শক্ত ও সমন্বিত ব্যবস্থা নেয়া জরুরী দরকার।
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
আজ মহাসম্মানিত ১২ই জুমাদাল উখরা শরীফ। যা সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম, মহাসম্মানিত রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার মহিমান্বিত, মহাপবিত্র ১২ তারিখ উনার সাথে সম্পর্কযুক্ত। সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার শান মান মুবারক অনুভব করা, মর্যাদা-মর্তবা মুবারক জানা, দয়া-ইহসান মুবারক উপলব্ধি করা সর্বোপরি নেক ছায়াতলে উপনীত হওয়া বর্তমান যামানায় সবার জন্যই ফরজ।
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
৩ লাখ কোটি টাকা মূল্যের ৯ হাজার একর বেদখল হওয়া রেলের জমি উদ্ধারে অতীতের মত বর্তমান সরকারও ব্যার্থ হচ্ছে কথিত গলদ আইন ও লোক দেখানো উদ্ধার প্রক্রিয়া এবং লোভী জনগণের বিপরীতে খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র চেতনাতেই সফলতা ও প্রাপ্তি সম্ভব ইনশাআল্লাহ
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
স্বামী-স্ত্রীর সহজাত খুনসুটিকে বৈবাহিক ধর্ষণ সংজ্ঞায়িত করার সরকারী উসকানি এখন বাবা-মায়ের শাসনকেও মামলায় গড়িয়েছে। পারিবারিক বন্ধন ধ্বংস, এল.জি.বি.টি.কিউ আন্দোলনের কুচক্রী, কুশীলবদের কুতৎপরতা রোধে ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানকে এক্ষণি সোচ্চার হতে হবে ইনশাআল্লাহ
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রতি বছর সাপের কামড়ের শিকার ৯৬ হাজার মানুষ, মৃত্যু ১০ হাজারের বেশী। প্রতিদিন মারা যায় প্রায় ২৫ জন। অ্যান্টিভেনম সহজলভ্য করতে হবে। দেশেই উৎপাদনের ব্যবস্থা করতে হবে। ইনশাআল্লাহ!
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
জনঘনত্বের কারণে- বেশী তাপমাত্রা, রোগব্যাধি, বায়ূ দূষণ, শব্দ দূষণ, যানজট পানিবদ্ধতা সহ বিভিন্ন দুর্বিষহ ও দমবদ্ধ অবস্থায় বিপর্যস্থ ঢাকা এখন সম্পূর্ণভাবে বসবাসের অযোগ্য। নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার আগেই ঢাকাকে বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে ইনশাআল্লাহ
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মুবারক হো মহিমান্বিত ৯ই জুমাদাল ঊখরা শরীফ! আজ ক্বায়িম-মাক্বামে সিবতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সাইয়্যিদুল উমাম আল খ¦মিস আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
দেশের ৪ কোটি মানুষ না খেয়ে থাকে। অথচ বছরে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার শস্য নষ্ট হয় খাদ্য অপচয় রোধ করতে ‘নিশ্চয়ই অপব্যয়কারীরা শয়তানের ভাই’- পবিত্র কুরআন শরীফ উনার এই নির্দেশ সমাজের সর্বাত্মক প্রতিফলন ব্যতীত কোনো বিকল্প নেই।
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
দেশে মানসিক রোগীর সংখ্যা প্রায় ৪ কোটি। বিপরীতে স্বাস্থ্য বাজেটের মাত্র ০.৪৪% ব্যয় হচ্ছে মানসিক চিকিৎসায়। রয়েছে মানসিক বিশেষজ্ঞ ও দক্ষ জনবল সঙ্কট।
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ, মহাসম্মানিত রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার মহিমান্বিত, মহাপবিত্র ৭ তারিখ উনার সাথে সম্পর্কযুক্ত পবিত্র ৭ই জুমাদাল ঊখরা শরীফ আজ।
২৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নিজেদের ক্যাশিয়ারদের সুযোগ করে দেয়ার জন্য পতিত সরকার দেশের চিনি শিল্পকে ধ্বংস করেছিলো। (নাউযুবিল্লাহ) যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করলে অতীতের মত চিনি রফতানী করা যাবে ইনশাআল্লাহ খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পরিক্রমায় চললেই সে প্রজ্ঞা পাওয়া সম্ভব ইনশাআল্লাহ!
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)












