উত্তর সাইপ্রাসের সারায়নু মসজিদ
, ১৭ শা’বান শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২০ তাসি’, ১৩৯২ শামসী সন , ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রি:, ০৩ ফালগুন, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) পাঁচ মিশালী

সারায়নু মসজিদ সেরাই মসজিদ নামেও পরিচিত। বর্তমানে মসজিদটি সাইপ্রাসের উত্তর নিকোসিয়ায় অবস্থিত। নিকোসিয়া শহরের দেয়াল ঘেরা একটি সুন্দর মসজিদ এটি।
ইতিহাস:
বিশেষজ্ঞদের ভাষ্যমতে, ১৪-১৫ শতকে মসজিদের স্থানটিতে একটি গির্জা ছিল। এর মধ্যে একটি গম্বুজ ছিল এবং একটি কবরস্থান দ্বারা বেষ্টিত ছিল। এতে জেরুজালেমের রাজা এবং অন্যান্য অভিজাতদের কবর ছিল। উসমানীয়দের সাইপ্রাস বিজয়ের পর ১৫৭১ সালে সারায়নু স্কোয়ারে একটি সেনা ছাউনি স্থাপন করা হয় এবং সৈন্যদের ইবাদত করার সুবিধার্থে চার্চটিকে ভেঙ্গে একটি মসজিদ তৈরী করা হয়।
মসজিদটির বাইরের অংশে যেখানে অভ্যন্তরীণ ধ্রুপদী উসমানীয় স্থাপত্য প্রদর্শন করা হয়েছিল, সেখানে গথিক স্থাপত্য প্রদর্শন করা হয়। তুর্কি ভাষায় এর নামকরণ করা হয় "ঙৎফঁস্খহহৃ গবংপরফর", যার অর্থ- “সেনা ছাউনির সামনের মসজিদ”।
এই মসজিদের নির্মাণের তারিখ বিভিন্ন সূত্রমতে বিভিন্নরূপ। কিছু উৎস দাবি করে, মসজিদটি ১৬৯০-১৬৯১ সালের মধ্যে নির্মাণ করা হয় এবং এটি ‘আলী পাশা’ নির্মাণ করেন।
আবার কেউ কেউ বলে, এটি ১৮২০ থেকে ১৮২৪ সালের মধ্যে নির্মাণ করা হয় এবং এটিও নির্মাণ করে ‘আলী পাশা’। এই মসজিদের ভিতরের অংশে ঐতিহ্যবাহী উসমানীয় স্থাপত্য ছিল।
এটির একটি ছাদ ছিল, যা দু’টি তীক্ষ্ম খিলান এবং একটি অসজ্জিত মিনার দ্বারা সমর্থিত ছিল।
১৯০০ সালের জানুয়ারিতে একটি ভূমিকম্পের ফলে মসজিদটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ব্রিটিশ এক স্থপতি সেই বছরেই বর্তমান মসজিদের একটি পরিকল্পনা করে। বর্তমান মসজিদের নির্মাণকাজ ১৯০১ সালের ২৬ নভেম্বরে শুরু হয় এবং সম্ভবত ১৯০৩ সালে শেষ হয়।
মাঝে ১৯৬৩-৬৪ সালে খ্রিস্টানদের সাথে সংঘাতের পর মসজিদটিকে বিবাহ অফিসে রূপান্তরিত করা হয়। মেঝের কার্পেট সরিয়ে মসজিদে বেঞ্চ বসানো হয় বলে জানা গেছে। সে সময় আন্তর্জাতিক পত্রিকাসহ তুরস্কের রক্ষণশীল এবং মধ্যপন্থী ইসলামি ব্যক্তিবর্গের চাপের ফলে ২০০৪ সালে পুনরায় মসজিদে রূপান্তরিত করা হয়।
স্থাপত্য:
মসজিদটি মুরিশ স্থাপত্য শৈলীতে ডিজাইন করা হয়, তবে কিছু কিছু ভারতীয় ছাপও অন্তর্ভুক্ত করা হয়। মসজিদটির স্থাপনা অবশ্য আয়তাকার এবং এটি ঐতিহ্যবাহী সাইপ্রিয়ট শৈলীর সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। এর সম্মুখভাগে বিদেশী ছাপ লক্ষ্য করা যায়। সম্মুখভাগ মূলত পাঁচটি অংশ নিয়ে গঠিত, যার মধ্যে তীক্ষ্ম ঘোড়ার নলের আকৃতির খিলান রয়েছে। পূর্বের উসমানীয় মসজিদের মিনারটি পাথরের তৈরি এবং সেটি মসজিদের মূল অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
এসি চালানোর সময় যেসব ভুল একেবারেই করবেন না
১৯ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
রোযা রেখে বিশ্ব রেকর্ড গড়লো মিশরীয় মুসলিম যুবক!
১৯ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ইফতারে ফল খাওয়ার উপকারিতা
১৯ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মার্কেট ইফতারে মোগলদের দস্তরখানা
১৮ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
যে ৩টি জিনিস কিডনিকে ধীরে ধীরে ধ্বংস করে দেয়
১৬ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাহরীতে যে ৩টি খাবার থাকলে সারাদিন ক্লান্তি অনুভব হবে না
১৬ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
জর্দানে গোশতের শরবতে সাহরী-ইফতার
১৬ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের চোখে জর্ডানের রোযাদারদের ইফতার
১৬ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১ টাকার ইফতারির দোকান!
১৫ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ঐতিহাসিক সুরম্য সুরা মসজিদ
১৫ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ইফতারে মজাদার হালিমের ঝটপট তৈরী প্রণালী
১৪ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
শনি গ্রহের নতুন ১২৮টি চাঁদ আবিষ্কার!
১৪ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)