উম্মু আবীহা, আন নূরুর রবি‘আহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ
, ৪রা রমাদ্বান শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ৬ আশির, ১৩৯২ শামসী সন , ৫ মার্চ, ২০২৫ খ্রি:, ১৮ ফালগুন, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) বিশেষ আইয়্যামুল্লাহ শরীফ

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় দীদারী শান মুবারক প্রকাশের পর উনার মহাসম্মানিত হাল বা অবস্থা মুবারক:
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রওযা শরীফ উনার মধ্যে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তাশরীফ মুবারক নেয়ার পর হযরত মহিলা ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুন্না উনারা আন নূরুর রবি‘আহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার নিকট আসেন উনাকে সান্তনা মুবারক দেয়ার জন্য। তখন তিনি উনাদেরকে জিজ্ঞাসা মুবারক করেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রওযা শরীফ উনার মধ্যে রাখতে আপনাদের অন্তর সায় দিল কেমন করে? তারপর তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার স্মরণে প্রায় ১২টিরও অধিক সম্মানিত না’ত শরীফ পাঠ করেন। যেগুলো ‘না’তুয যাহরা আলাইহাস সালাম’ হিসেবে খ্যাত। সুবহানাল্লাহ! নি¤েœ একখানা সম্মানিত না’ত শরীফ উল্লেখ করা হলো-
আন নূরুর রবি‘আহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি বলেন,
اِذَا اشْتَدَّ شَوْقِىْ زُرْتُ قَبْرَكَ بَاكِيًا ...
اَنُوْحُ وَاَشْكُوْ لَا اَرَاكَ مُجَاوِبِـىْ
فَيَا سَاكِنَ الصَّحْرَاءِ عَلَّمْتَنِىْ الْبُكَا ...
وَذِكْرُكَ اَنْسَانِـىْ جَمِيْعَ الْـمَصَائِبٖ
فَاِنْ كُنْتَ عَنّـِىْ فِـى التُّرَابِ مَغِيْبًا ...
فَمَا كُنْتَ مِنْ قَلْبِ الْـحَزِنِ بِغَائِبٖ
অর্থ: “যখন আমার আগ্রহ, মুহব্বত মুবারক প্রবল আকারে প্রকাশ পায়, তখন আমি সম্মানিত নূরুল মুহব্বত মুবারক প্রকাশ করা অবস্থায় আপনার সম্মানিত রওযা শরীফ যিয়ারত করি। আমি সম্মানিত নূরুল মুহব্বত মুবারক প্রকাশ করি এবং আমার কষ্ট মুবারক ব্যাক্ত করি, কিন্তু আপনাকে আমার সাড়াদানকারীরূপে দেখতে পাই না। অতঃপর হে নির্জন প্রান্তরের প্রবাসী অর্থাৎ সম্মানিত রওযা শরীফ উনার মাঝে অবস্থানকারী, আপনিই আমাকে সম্মানিত নূরুল মুহব্বত মুবারক প্রকাশ করা শিক্ষা দিয়েছেন। অর্থাৎ আপনার সম্মানিত জুদায়ী মুবারক উনার কারণেই আমি আজ সম্মানিত নূরুল মুহব্বত মুবারক প্রকাশ করছি। আপনার সম্মানিত যিকির অর্থাৎ স্মরণ মুবারক আমাকে সমস্ত বালা-মুছীবত, বিপদ-আপদ ভুলিয়ে দিয়েছে।
অতঃপর যদিও আপনি আমার থেকে সম্মানিত মাটি মুবারক অর্থাৎ সম্মানিত রওযা শরীফ উনার মধ্যে অদৃশ্য। কিন্তু আপনি আমার সম্মানিত ব্যথিত ও চিন্তিত হৃদয়ে সর্বদা দৃশ্যমান, উপস্থিত, হাযির। ” সুবহানাল্লাহ!
স্বয়ং যিনি খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই সরাসরি উনাকে উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দীদার মুবারক-এ নিয়ে যান। সুবহানাল্লাহ!
আন নূরুর রবি‘আহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশের সময় যখন নিকটবর্তী হলেন, তখন মালাকুল মাউত হযরত আযরাঈল আলাইহিস সালাম তিনি সিজদায় পড়ে গেলেন। তিনি সিজদায় পড়ে কান্নাকাটি করে মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট আরযী পেশ করতে থাকলেন, আয় বারে এলাহী! আপনার যিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আওলাদ বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, উম্মু আবীহা, আন নূরুর রবি‘আহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল আম্র মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রূহ মুবারক) আপনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দীদার মুবারক-এ নিয়ে আসতে আমার কোনো বেআদবী হয়ে যায় কি না, সেই বিষয় আমি ভয় পাচ্ছি। তাই, আমি উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল আম্র মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রূহ মুবারক) আপনার আপনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দীদার মুবারক-এ নিয়ে আসার ব্যাপারে রুখছত ভিক্ষা চাচ্ছি। আপনি যদি দয়া করে, কুদরতীভাবে উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল আম্র মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রূহ মুবারক) আপনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দীদার মুবারক-এ নিয়ে আসতেন, তাহলে আমার জন্য ইতমিনানের কারণ হতো। সুবহানাল্লাহ! তখন সরাসরি যিনি খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই কুদরতীভাবে আন নূরুর রবি‘আহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল আম্র মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রূহ মুবারক) উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দীদার মুবারক-এ নিয়ে যান। সুবহানাল্লাহ!
অন্য দিকে আন নূরুর রবি‘আহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম তিনিও চেয়েছিলেন যে, স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি যেন কুদরতীভাবে উনাকে উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দীদার মুবারক-এ নিয়ে যান । সুবহানাল্লাহ!
এই সম্পর্কে বিশ্বখ্যাত তাফসীরগ্রন্থ ‘তাফসীরে রূহুল বয়ান’ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছেন,
اَنَّ اَلنُّوْرَ الرَّابِعَةَ سَيِّدَتَنَا حَضْرَتْ اَلزَّهْرَاءَ عَلَيْهَا السَّلَامُ (سَيِّدَتَنَا حَضْرَتْ فَاطِمَةَ عَلَيْهَا السَّلَامُ) لَـمَّا نَزَلَ عَلَيْهَا مَلَكُ الْـمَوْتِ لَـمْ تَرْضَ بِقَبْضِهٖ فَقَبَضَ اللهُ رُوْحَهَا
অর্থ: “আন নূরুর রবি‘আহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার নিকট যখন মালাকুল মাউত হযরত আযরাঈল আলাইহিস সালাম তিনি আসলেন, আন নূরুর রবি‘আহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি এটা পছন্দ করেননি যে, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল আম্র মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রূহ মুবারক) হযরত আযরাঈল আলাইহিস সালাম তিনি কবয করেন। তাই, স্বয়ং যিনি খ্বালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি কুদরতীভাবে আন নূরুর রবি‘আহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নূরুল আম্র মুবারক (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রূহ মুবারক) কবয করেন অর্থাৎ উনাকে উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দীদার মুবারক-এ নিয়ে যান। ” সুবহানাল্লাহ! (তাফসীরে রূহুল বয়ান ৮/৮৬)
তাহলে এখান থেকে স্পষ্ট হয়ে যায় আন নূরুর রবি‘আহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক কতো বেমেছাল, সেটা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের চিন্তা ও কল্পনার ঊর্ধ্বে। সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ:
সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, উম্মু আবীহা, আন নূরুর রবি‘আহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশের প্রায় ৬ মাস পর অর্থাৎ ১১ হিজরী সনের ৩রা রমাদ্বান শরীফ ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ বা’দ আছর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ!
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র গোসল মুবারক:
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, উম্মু আবীহা, আন নূরুর রবি‘আহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করার পূর্বে মহাসম্মানিত গোসল মুবারক সম্পন্ন করেন এবং নতুন পোশাক মুবারক পরিধান করে ক্বিবলামুখী হয়ে শুয়ে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান প্রকাশ করার কথা বলতে থাকেন। সুবহানাল্লাহ! তখন মহাসম্মানিত ওছীয়ত মুবারক করেন যে, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশের পর উনাকে যেন কেউ আর সম্মানিত গোসল মুবারক না করান। সুবহানাল্লাহ! অতঃপর তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ! তাই, সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, উম্মু আবীহা, আন নূরুর রবি‘আহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ওছীয়ত মুবারক অনুযায়ী পুনরায় মহাসম্মানিত গোসল মুবারক না করিয়েই উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রওযা শরীফ উনার মধ্যে রাখেন। সুবহানাল্লাহ! (ত্ববাক্বাতে ইবনে সা’দ শরীফ)
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছলাতুল জানাযা মুবারক:
আন নূরুর রবি‘আহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ছলাতুল জানাযা মুবারক কে পড়িয়েছেন, এই সম্পর্কে কিতাবে কয়েকটি মত রয়েছে। কেউ বলেছেন, সাইয়্যিদুনা হযরত খ্বাতিমুল মুহাজিরীন আলাইহিস সালাম (সাইয়্যিদুনা হযরত আব্বাস আলাইহিস সালাম) তিনি পড়িয়েছেন। আবার কেউ কেউ বলেছেন, সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি পড়িয়েছে। আবার কেউ কেউ বলেছেন, ইমামুল আউওয়াল সাইয়্যিদুনা হযরত কাররমাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি পড়িয়েছেন।
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, বিশুদ্ধ অভিমত হচ্ছে- আন নূরুর রবি‘আহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ছলাতুল জানাযা মুবারক পড়িয়েছেন সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি। সুবহানাল্লাহ!
এই সম্পর্কে ‘ত্ববাক্বাতে ইবনে সা’দ শরীফ’ উনার মধ্যে উল্লেখ রয়েছেন,
عَنْ حضرت عُرْوَةَ رحمة الله عليه أَنَّ امام الاول سيدنا حضرت كرم الله وجهه عليه السلام صَلَّى عَلَى النور الرابعة سيدتنا حضرت الزهراء عليها السلام
অর্থ: “হযরত ‘উরওয়াহ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণিত। নিশ্চয়ই উম্মু আবীহা, আন নূরুর রবি‘আহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ছলাতুল জানাযা মুবারক পড়ান সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি। ” সুবহানাল্লাহ! (ত্ববাক্বাতে ইবনে সা’দ ৮/২৯)
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রওযা শরীফ:
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন,
عَنْ ام المؤمنين الثالثة سيدتنا حَضْرت الصديقة عَلَيْهَا السَّلَامُ أَنَّ امام الاول سيدنا حضرت كرم الله وجهه عليه السلام دَفَنَ النور الرابعة سيدتنا حضرت الزهراء عليها السلام لَيْلا
অর্থ: “মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আছ ছালিছাহ্ ছিদ্দীক্বাহ্ আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। নিশ্চয়ই আন নূরুর রবি‘আহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনাকে ইমামুল আউওয়াল সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি রাতে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রওযা শরীফ উনার মধ্যে রাখেন। ” সুবহানাল্লাহ! (ত্ববাক্বাতে ইবনে সা’দ ৮/২৯)
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, উম্মু আবীহা, আন নূরুর রবি‘আহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনাকে যখন ইমামুল আউওয়াল সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রওযা শরীফ উনার মধ্যে রাখেন, তখন উনার সাথে উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দুই আওলাদ সিবতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আর রবি’ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী আলাইহিস সালাম তিনি এবং সিবতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল খ্বামিস সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম তিনি অর্থাৎ উনারাও ছিলেন। ” সুবহানাল্লাহ!
উম্মু আবীহা, আন নূরুর রবি‘আহ্ সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রওযা শরীফ ‘মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র জান্নাতুল বাকী’ শরীফ’-এ অবস্থিত। সুবহানাল্লাহ!
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আল আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
এক নযরে সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি আলাল আলামীন, আফযালুন নাস ওয়ান নিসা বা’দা রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আল ‘আশিরহ্ আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত পরিচিতি মুবারক
২৪ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
এক নযরে উম্মু আবীহা, বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছালিছাহ্ আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র পরিচিতি মুবারক
০৭ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি আলাল আলামীন, বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছালিছাহ্ আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিছালী শান মুবারক প্রকাশ
০৭ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদাতুনা আন নূরুর রাবি’য়াহ হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার হাশরের ময়দানে এবং পুলসীরাত অতিক্রমকালে সীমাহীন মর্যাদা-মর্তবা মুবারক উনার বহিঃপ্রকাশ
০৪ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদাতুনা আন নূরুর রাবি’য়াহ হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার প্রতি হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের বেমেছাল মুহব্বত ও সম্মান মুবারক
০৪ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ইবনু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা মাওলানা হযরত আন নূরুল আউওয়াল আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ
০৩ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদাতান নিসায়ি আলাল আলামীন, জান্নাতী মেহমান সাইয়্যিদাতাল উমাম হযরত শাহ নাওয়াসী ক্বিবলাতাইন আলাইহিমাস সালাম উনাদের বেমেছাল শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক
০১ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
হযরত শাহ্ নাওয়াসা-শাহ্ নাওয়াসী আলাইহমিুস সালাম-আলাইহন্নিাস সালাম উনাদরে বমেছোল খুছূছয়িাত মুবারক
০১ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
এক নযরে সাইয়্যিদাতুন নিসায়ি আলাল আলামীন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আত তাসি‘আহ্ আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত পরিচিতি মুবারক
০২ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
আজ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২৯শে শা’বান শরীফ-
২২ মার্চ, ২০২৩ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
আজ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৯ই শা’বান শরীফ-
০২ মার্চ, ২০২৩ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
আজ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৭ই শা’বান শরীফ
২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)