উৎপাদন বাড়লেও কাটছে না সংকট

, ২৩ শে রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২৭ ছামিন, ১৩৯২ শামসী সন , ২৪ জানুয়ারী, ২০২৫ খ্রি:, ১০ মাঘ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) দেশের খবর

নিজস্ব প্রতিবেদক:

২০২৪ সালে দেশে হ্যান্ডসেট উৎপাদন আগের বছরের তুলনায় ১৭.১৭ শতাংশ বাড়লেও বিক্রির ধীরগতি ও চোরাই সেটে বাজার সয়লাব হওয়ায় সংকটে স্থানীয় কারখানাগুলো।

গত বছর দেশে দুই কোটি ৭৩ লাখ হেন্ডসেট উৎপাদন হয়। আগের বছর তা ছিল দুই কোটি ৩৩ লাখ।

তবে আগের বছরগুলোর তুলনায় উৎপাদনের পরিমাণ কমেছে। ২০২২ সালে হ্যান্ডসেট উৎপাদন সর্বকালের সর্বোচ্চ তিন কোটি ১৬ লাখ ও ২০২১ সালে দুই কোটি ৯৫ লাখ ছিল।

টাকার বিপরীতে ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি বাড়তি কর ও প্রচুর হেন্ডসেট উৎপাদনের কারণে কারখানার মালিকরা তেমন মুনাফা করতে পারেননি।

হ্যান্ডসেট উৎপাদনে বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হয় ২০১৭ সালে। তখন সরকার স্থানীয় উৎপাদনকে উৎসাহিত করতে উল্লেখযোগ্য কর সুবিধা দিয়েছিল।

এই নীতির ফলে ২০১৭ সালে স্থানীয় প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন উৎপাদন শুরু করে। প্রথমে ৪০ হাজার হ্যান্ডসেট উৎপাদন করলেও ২০২২ সালে তা তিন কোটি ১৬ লাখে পৌঁছায়।

মোবাইল ফোন ইন্ডাস্ট্রি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সহ-সভাপতি রিজওয়ানুল হক বলেন, 'সামগ্রিক বিক্রিতে সাত-আট শতাংশ প্রবৃদ্ধি হলেও এই খাতে এখনো সংকট অনেক।'

সমিতির তথ্য বলছে, দেশের মোট হ্যান্ডসেট চাহিদার ৩৫ শতাংশ মেটানো হয় চোরাই বাজার থেকে।

তার ভাষ্য, প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে বাংলাদেশকে অবশ্যই কর কমাতে হবে। স্থানীয় সরবরাহ ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে হবে।

ট্যাগসমূহঃ