মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “তোমরা জালিমও হয়োনা মজলুমও হয়োনা।”
এনজিওদের নির্মম অত্যাচার ও নিষ্ঠুর শোষণে অর্থাৎ জুলুমের কারণে মজলুমদের মধ্যে নবজাতকসহ সন্তান বিক্রি, আত্মহত্যা, নারী নির্যাতন, তালাক ইত্যাদির ঘটনা বেড়েই চলেছে। নাউযুবিল্লাহ! পক্ষান্তরে এনজিওগুলো নিপীড়িত অসহায় জনগণের দারিদ্রতাকে পুঁজি করে অবৈধ অর্থের পাহাড় গড়ছে। কাজেই গরিব দেশবাসীর রক্তচোষক, মহাশোষক এনজিওদের বিরুদ্ধে সরকারকে অতিসত্বর কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
কারণ দেশে বর্তমানে হাজার হাজার এনজিও মূলতঃ ইস্ট ইন্ডিয়ার ভূমিকায় রয়েছে। যা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকিস্বরূপ।
, ২০ যিলক্বদ শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২০ ছানী আ’শার, ১৩৯২ শামসী সন , ১৯ মে, ২০২৫ খ্রি:, ৬ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) মহাপবিত্র ক্বওল শরীফ-১

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আজকে স্বাধীন বাংলাদেশে ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানির উত্তরসূরি এনজিওগুলো দেশের অভাবী, অসহায় মানুষগুলোকে চরম-পরমভাবে নির্যাতন, নিপীড়ন, শোষণ করছে। তাদের গ্যাড়াকলে পড়ে অনেক পরিবার ভেঙ্গে যাচ্ছে। নারী নির্যাতন বাড়ছে। তালাক বাড়ছে। এমনকি অনেকে আত্মহত্যাও করছে। নাঊযুবিল্লাহ!
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশে এনজিওদের বাণিজ্যিক ট্যাক্সমুক্ত ব্যবসা করার সুযোগ হয় ১৯৮২ সালে। তৎকালীন সামরিক সরকার আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রী মহলের চাপে পড়ে এ কাজ করে। যেমনটি ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ১৮৩৫ সাল পর্যন্ত ভারতবর্ষ থেকে উপার্জিত অর্থের কোন ট্যাক্স প্রদান করেনি এবং ১৮৩৫ সাল থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত ব্রিটিশ সরকারও তাদের দখলকৃত ভারতবর্ষ থেকে উপার্জিত কোনো ব্যবসা-বাণিজ্যের লাভের ট্যাক্স প্রদান করেনি। উল্টো ঐ সময়ে ভারতবর্ষের গরিব জনসাধারণের উপর ধার্যকৃত ট্যাক্সের টাকাতেই ব্রিটিশ সরকার বিশ্বের ৮৫ ভাগ জমির একচ্ছত্র মালিকানা প্রতিষ্ঠিত করে বিশ্ববাসীকে তাদের অধীন কলোনীতে আবদ্ধ করেছিলো।
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে সমাজসেবা অধিদফতরের নিবন্ধিত এনজিও’র সংখ্যাই রয়েছে শুধু প্রায় ৪৮ হাজার ১১টি। আর বাংলাদেশের চেয়ে প্রায় ২২ গুণ বড় ভারতে এনজিও’র সংখ্যা মাত্র ১০ হাজার ৫শ’ ৯৫টি। আর অন্যান্য মন্ত্রণালয় সূত্রের বরাতে বলা হয়েছে যে, এনজিওদের সংখ্যা ৬০ হাজারের উর্ধ্বে এবং প্রতি বছর গড়ে এক হাজার করে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এনজিওগুলো এদেশের স্বাধীনতা বিরোধী, ইসলামী মূল্যবোধ বিরোধী, দেশের ক্ষমতা গ্রহণের ষড়যন্ত্রে গভীরভাবে লিপ্ত। প্রশিকা এনজিও’র রাজনৈতিক দল গঠন তার একটা নগণ্য নমুনা।
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, এনজিওগুলো দেশকে সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসী ও অকার্যকর রাষ্ট্র প্রমাণের জন্য ভিডিও ফিল্ম তৈরি করে তাদের প্রভুদেশে পাচারের ষড়যন্ত্রেও লিপ্ত রয়েছে। এনজিওদের ক্ষুদ্রঋণ ব্যবস্থা হতদরিদ্র লোকদের কোনই উপকার করতে পারেনি। বরং ক্ষুদ্রঋণের পরিবর্তে তাদেরকে ৪৫ ভাগ পর্যন্ত সুদ শোধ করতে হয়। নাঊযুবিল্লাহ!
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূল কথা হলো- এনজিওগুলো একদিকে এদেশের নিরীহ মুসলমানদের হারাম সুদের সাথে সম্পৃক্ত করছে অপরদিকে উচ্চ ও চক্রবৃদ্ধিহারে সুদের কারণে গরিব জনসাধারণকে সর্বস্বান্ত করে ছাড়ছে। যেহেতু পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত হয়েছে, ‘মজলুম হওয়া চলবে না।’ সেহেতু এদেশের গরিব মানুষের রক্তচোষক, অর্থশোষক, ইজ্জত লুন্ঠনকারী, দেশের ক্ষমতা দখলের ষড়যন্ত্রকারী, সরকারের ভিতরে আরেকটা সরকার চালনাকারী জালিম এনজিওদের বিরুদ্ধে সরকারকে অতিসত্ত্বর কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
-০-
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ফরজ হলো- নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহান শান মুবারক সম্পর্কে কটূক্তির বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিবাদ করা।
১৮ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মহাসম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার ফতওয়া অনুযায়ী- মুসলমানদের জন্য কোনো অবস্থাতেই বিধর্মীদেরকে অনুসরণ-অনুকরণ করা, তাদের সাথে মিল-মুহব্বত রাখা, বন্ধুত্ব করা জায়িয নেই বরং কাট্টা হারাম ও কুফরী।
১৭ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
প্রত্যেক ব্যক্তি বা সম্প্রদায়ের জন্য ফরয হচ্ছে- মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার সম্মানিত রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের প্রতি বিশুদ্ধ আক্বীদা রেখে উনাদের প্রতিটি আদেশ-নিষেধ মুবারক পরিপূর্ণরূপে পালন করা।
১৫ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
আজ সুমহান বেমেছাল বরকতময় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১৯শে যিলহজ্জ শরীফ। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ আ’শার আলাইহাস সালাম উনার মহাপবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ! তাই সকলের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- এ মহান দিবস উপলক্ষে মাহফিল করার পাশাপাশি উনাকে মুহব্বত করা, অনুসরণ-অনুকরণ করা ও উনার যথাযথ খিদমত মুবারক উনার আঞ্জাম দেয়া।
১৫ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
আজ খলীফায়ে ছালিছ, আমীরুল মু’মিনীন সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শাহাদাতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস- সুমহান বরকতময় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১৮ই যিলহজ্জ শরীফ। সুবহানাল্লাহ! এই মহাসম্মানিত দিবস উপলক্ষে সকলের দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- উনার মহাপবিত্র সাওয়ানেহ উমরী মুবারক আলোচনা করার লক্ষ্যে মাহফিল করা এবং পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠ করা।
১৫ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার ঘোষণা অনুযায়ী- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খাছ খলীফা হিসেবে মনোনীত “পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার-প্রসারকারীগণ”। আর সে লক্ষ্যেই প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে ‘আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র’।
১৪ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পবিত্র কুরবানী উনার মূল বিষয়ই হচ্ছে তাক্বওয়া বা খুলূছিয়াত। যারা তাক্বওয়া বা খুলূছিয়াতের সাথে পবিত্র কুরবানী করেছেন, তারাই মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সন্তুষ্টি-রেযামন্দি মুবারক হাছিল করেছেন।
১৩ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
আজ সুমহান মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১৫ই যিলহজ্জ শরীফ। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল আশির মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ! এই মহাসম্মানিত দিবস উপলক্ষ্যে সকলের দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- উনার পবিত্র সাওয়ানেহ উমরী মুবারক আলোচনা করার লক্ষ্যে মাহফিল করা এবং পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠ করা।
১২ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- ‘পাঁচ রাতে নিশ্চিতভাবে দোয়া কবুল হয়। এক. পবিত্র রজবুল হারাম মাস উনার ১লা রাত, দুই. পবিত্র বরাত উনার রাত, তিন. পবিত্র ক্বদর উনার রাত, চার ও পাঁচ. দুই ঈদের দুই রাত।’ সুবহানাল্লাহ!
০৫ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
আজ সুমহান বরকতময় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৭ই যিলহজ্জ শরীফ। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল খ¦মিস মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ! পাশাপাশি আখাছছুল খাছ আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ উনার সম্মানিত আ’দাদ শরীফ। সুবহানাল্লাহ!
০৪ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
আজ সুমহান ও বরকতময় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৬ই যিলহজ্জ শরীফ। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুত তাসি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ! এই মহাসম্মানিত দিবস উপলক্ষে সকলের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- উনার পবিত্র সাওয়ানেহ উমরী মুবারক আলোচনা করার লক্ষ্যে মাহফিল করা এবং পবিত্র মীলাদ শরীফ, পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ করা।
০২ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সরকার পবিত্র ঈদে অস্বচ্ছল মুসলমানদেরকে সহযোগিতা করে না অথচ মাত্র ১.৫% বিধর্মীদের পূজায় ঠিকই সাহায্য করে। যা কখনোই সম্মানিত দ্বীন ইসলামসম্মত নয়। বাংলাদেশের ৯৮% অধিবাসী মুসলমানরা এটা কখনোই মেনে নিতে পারে না।
০২ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)