ঐতিহাসিক সম্মানিত বদর জিহাদ (পর্ব—১৭)
, ১৮ যিলক্বদ শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ০৯ আউওয়াল, ১৩৯১ শামসী সন , ০৮ জুন, ২০২৩ খ্রি:, ২৬ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) আইন ও জিহাদ
পূর্ব প্রকাশিতের পর
ঐতিহাসিক সম্মানিত বদর জিহাদ উনার ময়দান থেকে ইবলীস শয়তানের পলায়ন:
উক্ত পবিত্র সূরা আনফাল শরীফ উনার আয়াত শরীফ যখন নাযিল হলো, তখন সকলে বুঝতে পারলেন যে, বদর ময়দানে ইবলীস শয়তানই হযরত সুরাকা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার ছূরত ধারণ করেছিল। ইমাম বাগবী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেছেন, ঐতিহাসিক সম্মানিত বদর ময়দানে ইবলীস শয়তান হযরত সুরাকা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার ছূরত ধারণ করে কুরাইশ কাফির মুশরিকদেরকে যে ধোকা দিয়েছিল তা মূলত: সম্পূর্ণ বিষয়টি ইবলীস শয়তানের প্রতারণা ছিল। এভাবেই ইবলীস শয়তান প্রতারণা করে মানুষকে নিয়ে যায় ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। তারপর বিপদ দেখলে তাদেরকে পরিত্যাগ করে পালিয়ে গিয়ে আত্মরক্ষা করে। যেভাবে ঐতিহাসিক সম্মানিত বদর জিহাদ উনার ময়দান থেকে পালিয়ে গিয়ে সমুদ্রে ঝাঁপ দিয়ে আত্মরক্ষা করেছিল। অতঃপর ইবলীস শয়তান ঐতিহাসিক সম্মানিত বদর জিহাদ উনার ময়দান থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় কুরাইশ কাফির মুশরিকদেরকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলো, “নিশ্চয়ই তোমাদের সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই। নিশ্চয়ই আমি যা দেখি, তোমরা তা দেখতে পাওনা। নিশ্চয়ই আমি মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করি। আর মহান আল্লাহ পাক তিনি অত্যন্ত কঠিন শাস্তিদাতা। ”
যেমন মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন—
كَمَثَلِ الشَّيْطَانِ إِذْ قَالَ لِلْإِنسَانِ اكْفُرْ فَلَمَّا كَفَرَ قَالَ إِنِّي بَرِيءٌ مِّنكَ إِنِّي أَخَافُ اللَّـهَ رَبَّ الْعَالَمِينَ
অর্থ: “তারা ইবলীস শয়তানের মতো, যে মানুষদেরকে বলে তোমরা কুফরী কর। এরপর যখন তারা কুফরী করে, তখন ইবলীস শয়তান বলে, তোমাদের সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই। নিশ্চয়ই আমি মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করি, যিনি সমস্ত জগতের রব প্রতিপালক। (পবিত্র সূরা হাশর শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ— ১৬)
অতএব ঐতিহাসিক সম্মানিত বদর জিহাদ উনার ময়দান থেকে সর্বপ্রথম পলায়নকারী হলো ইবলীস শয়তান। অথচ এই ইবলিস শয়তানই কুরাইশ কাফির মুশরিকদেরকে উৎসাহ উদ্দীপনা দিয়ে যুদ্ধের ময়দানে নিয়ে এসেছিলো এবং কুরাইশ কাফির মুশরিকদেরকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলো, “আজ মানুষের মধ্যে কেউই তোমাদের উপর বিজয়ী হতে পারবে না। আর আমি তোমাদেরকে সাহায্য করার জন্য তোমাদের পাশেই থাকবো। ” কিন্তু বিপদের সময় তাদেরকে পরিত্যাগ করে পালিয়ে গেলো।
—আল্লামা মুহম্মদ জাহাঙ্গীর হুসাইন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
বানূ নাযীরের সম্মানিত জিহাদ এবং ইহুদী গোত্রকে পবিত্র মদীনা শরীফ থেকে বিতাড়িত করা প্রসঙ্গে (১২)
০৭ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
বানূ নাযীরের সম্মানিত জিহাদ এবং ইহুদী গোত্রকে পবিত্র মদীনা শরীফ থেকে বিতাড়িত করা প্রসঙ্গে (১১)
৩০ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
বানূ নাযীরের সম্মানিত জিহাদ এবং ইহুদী গোত্রকে পবিত্র মদীনা শরীফ থেকে বিতাড়িত করা প্রসঙ্গে (১০)
২৮ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম ও মুসলমানগণের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে আইনী কার্যক্রম
২৩ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পবিত্র উহুদ জিহাদ সংঘটিত হওয়ার ঘটনা
১৭ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পবিত্র উহুদ জিহাদ সংঘটিত হওয়ার ঘটনা
১৭ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম ও মুসলমানগণের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে আইনী কার্যক্রম
১৬ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
বানূ নাযীরের সম্মানিত জিহাদ এবং ইহুদী গোত্রকে পবিত্র মদীনা শরীফ থেকে বিতাড়িত করা প্রসঙ্গে (৯)
১৬ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম ও মুসলমানগণের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে আইনী কার্যক্রম
০৩ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
বানূ নাযীরের সম্মানিত জিহাদ এবং ইহুদী গোত্রকে পবিত্র মদীনা শরীফ থেকে বিতাড়িত করা প্রসঙ্গে (৮)
০১ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
বানূ নাযীরের সম্মানিত জিহাদ এবং ইহুদী গোত্রকে পবিত্র মদীনা শরীফ থেকে বিতাড়িত করা প্রসঙ্গে (৭)
২৪ মার্চ, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বানূ নাযীরের সম্মানিত জিহাদ এবং ইহুদী গোত্রকে পবিত্র মদীনা শরীফ থেকে বিতাড়িত করা প্রসঙ্গে (৬)
১৮ মার্চ, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)