কমলা রং আগে, না ফল আগে
, ০১ রবীউর আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৯ রবি’ ১৩৯১ শামসী সন , ১৭সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ০২ আশ্বিন, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) পাঁচ মিশালী
ফল আগে না রং আগে, এই প্রশ্নের সহজ উত্তর হচ্ছে- আগে ফলের নামকরণ করা হয়েছে, তারপর সেই ফলের রং অনুসারে কমলা রঙের নামকরণ করা হয়েছে।
কীভাবে কমলার নামকরণ করা হলো?
বলা হয়, ফলটি প্রথম জনপ্রিয়তা পেয়েছে মালয় দীপপুঞ্জে। এটি দক্ষিণপূর্ব এশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ার মাঝখানে অবস্থিত পৃথিবীর সবচেয়ে বড় দীপপুঞ্জ। ইন্দো-অস্ট্রেলিয়ান দীপপুঞ্জ, মালয় ওয়ার্ল্ড, ইস্ট ইন্ডিজ- ইত্যাদি নামে এই দ্বীপপুঞ্জের পরিচিতি রয়েছে। এই দীপপুঞ্জের বাইরে এশিয়ার অন্যান্য গ্রীষ্মম-লীয় অঞ্চলেও ফলটি শুরুতে জনপ্রিয়তা পেয়েছিল।
ব্রিটানিকার ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, ‘কমলা ফল খুব সম্ভবত মূল উৎপত্তিস্থল এই উপমহাদেশ থেকে আফ্রিকার পূর্ব উপকূলে ছড়িয়ে পড়ে। পরে সেখান থেকে পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলেও এটি বিস্তৃত হয়। আরবদের বাণিজ্য রুট এবং ইসলামের সম্প্রসারণও ফলটির বিস্তৃতি ও জনপ্রিয়তার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।’
এও সম্ভব যে ফলটির অরেঞ্জ (কমলা) নামকরণও হয়েছে এশিয়ার গ্রীষ্মম-লীয় এলাকাতেই। ফলটি উত্তর-পশ্চিমে ছড়িয়ে পড়ার পর সেখানকার স্থানীয় ভাষাগুলোতেও শব্দটির বিভিন্ন সংস্করণ প্রচলিত হয়েছে। ১৩০০-এর দশকে বা কাছাকাছি সময়ে ‘অরেঞ্জ’ শব্দের অনুরূপ অনেক শব্দের ব্যবহার ছিল লক্ষণীয়।
বিশেষ করে দ্বীন ইমলামের শুরুর দিকে ইতালিতে আরব মুসলিম বণিকরা যে কমলাটি নিয়ে গিয়েছিলেন, সেটিকে আমরা এখন ‘সেভিল অরেঞ্জ’ নামে চিনি। অক্সফোর্ড ডিকশনারির তথ্য অনুসারে, ১৩০০ দশকে (বা তার কাছাকাছি সময়ে) কমলা ফলকে আরও অনেক শব্দে ডাকা হতো। যেমন- হধৎধহুধ বা হধৎধহং ইতালিতে পরিচিত শব্দ।
ত্রয়োদশ শতাব্দীতে ‘ঢ়ঁসব ড়ৎবহমব’ নামে একটি অ্যাংলো-নরম্যান বাক্যাংশ প্রচলিত ছিল। এর কিছু পরে প্রাচীন ফরাসি ‘ঢ়ড়সসব ফ‘ড়ৎবহমব’, জার্মান ‘চড়সবৎধহুব’ এবং ইতালির ‘সবষধৎধহপরড়’ টার্মগুলো প্রচলিত ছিল। এই সবগুলো টার্মের অর্থ ছিল ‘অরেঞ্জ অ্যাপল’, যা দিয়ে বোঝানো হতো ফলটি এসেছে অরেঞ্জ বা কমলা গাছ থেকে। ইংরেজি ভাষাভাষীদের কাছে ধঢ়ঢ়রষ ড়ৎধহমব এবং ড়ৎধহলবধঢ়ঢ়বষ টার্মগুলো প্রচলিত ছিল।
কমলা কখন রং হলো?
১৪০০ এর দশকে ফল হিসেবে অরেঞ্জ শব্দটি ইংরেজি শব্দকোষে প্রবেশ করে। ইংরেজি ভাষাভাষী মানুষজন গাঢ় হলুদ কোনো কিছু বোঝাতে কিংবা রং হিসেবে অরেঞ্জ শব্দটির ব্যবহার শুরু করেছে আরও প্রায় ১০০ বছর পর। রং হিসেবে ‘অরেঞ্জ’ শব্দের প্রথম ব্যবহার লিপিবদ্ধ করা হয় সম্ভবত ১৫৩২ সালে।
কমলা সম্পর্কিত কিছু চমকপ্রদ তথ্য:
কমলা পৃথিবীর একমাত্র ফল যার নামে আলাদা একটি রংয়ের নামকরণ হয়েছে। এর উল্টোটিও সঠিক। কমলা পৃথিবীর একমাত্র রং যার নামে একটি ফল আছে। বাংলাদেশে কমলা নামে যে ফলটি প্রচলিত, তার নাম আসলে মান্দারিন। একই রকম আরেকটি জাতের নাম ট্যাঞ্জারিন। ইংরেজিতে যে ফলটি অরেঞ্জ নামে পরিচিত, বাংলাদেশে সে ফলটিকে আমরা মাল্টা নামে চিনি।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মাথার কাছে মোবাইল রেখে ঘুমালে যা হয়
০৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
বিশাল ভূগর্ভস্থ মহাসাগরের সন্ধান পেলো বিজ্ঞানীরা
০৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
জিবুতিতে দ্বীন ইসলাম ও মুসলিম শাসন
০৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
জন্মের পর নিজের ‘মা’ কে খেয়ে ফেলে যেসব প্রাণী
০৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
বিখ্যাত ৫ মুসলিম স্থাপত্য (২)
০৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
জন্মের পর নিজের ‘মা’ কে খেয়ে ফেলে যেসব প্রাণী
০৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
বিখ্যাত ৫ মুসলিম স্থাপত্য (১)
০৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
জন্মের পর নিজের ‘মা’ কে খেয়ে ফেলে যেসব প্রাণী
০২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
বাঁধ ও ব্যারাজের মধ্যে পার্থক্য কি? (২)
০২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
বাঁধ ও ব্যারাজের মধ্যে পার্থক্য কি? (১)
০১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ইন্দোনেশীয় অঞ্চলে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম : আগমন ও বিকাশ (৪)
০১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ইন্দোনেশীয় অঞ্চলে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম : আগমন ও বিকাশ (৩)
৩১ আগস্ট, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)