কাচারি ঘরের ইতিকথা
, ১১ রমাদ্বান শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১৩ আশির, ১৩৯২ শামসী সন , ১২ মার্চ, ২০২৫ খ্রি:, ২৫ ফালগুন, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) পাঁচ মিশালী
মূল বাড়ির একটু বাইরে আলাদা খোলামেলা ঘরই হচ্ছে কাচারি ঘর; সাধারণত বাড়ির সামনের দিকটায় থাকতো। কিছু কিছু কাচারি ঘর বাড়ির প্রবেশমুখে পুকুর পাড়ে, ঘাটের পাশেও দেখা যেত। এতে বাড়ির সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেতো।
অতিথি, পথচারী, মুসাফির কিংবা সাক্ষাৎ প্রার্থীরা এই ঘরে এসেই বসতেন। প্রয়োজনে দু-এক দিন রাতযাপনেরও ব্যবস্থা থাকত কাচারি ঘরে। গৃহস্থের বাড়ির ভেতর থেকে খাবার পাঠানো হতো কাচারি ঘরের অতিথির জন্য। বাড়ির বাহির আঙিনায় এই কাচারি ঘরে সেকালে বাড়ির লজিংমাস্টার থাকতেন। বাড়ির ছেলে-মেয়েদের পড়ালেখার ঘর হিসেবে ব্যবহৃত হতো। আবার কোনো কোনো বাড়ির কাচারি ঘর সকাল বেলা মক্তব হিসেবেও ব্যবহৃত হতো।
মাটির ভিটে কাঠের কারুকাজ করা টিনের বেড়া আর টিনের ছাউনির দৃষ্টিনন্দন এই কাচারি ঘরে আলোচনা, বৈঠক, শালিস-দরবার বসত। পথচারীরা এই কাচারি ঘরে ক্ষণিকের জন্য বিশ্রাম নিতেন। বিপদে পড়লে রাত যাপনের ব্যবস্থা থাকতো কাচারি ঘরে।
আবাসিক গৃহশিক্ষকের (লজিং মাস্টার) ও আরবী শিক্ষার ব্যবস্থার জন্য কাচারি ঘরের অবদান অনস্বীকার্য। মাস্টার ও আরবী শিক্ষকদের কাচারি ঘরে থাকার ব্যবস্থা করা হত।
উল্লেখ্য, প্রায় প্রতিটি বাড়িতে কাচারি ঘর ছিল। এখনো দু চারটি আছে। তবে তা সংখ্যায় হাতেগোনা।
বর্তমান প্রজন্ম কাচারি ঘরের সাথে পরিচিত না। এখন আর তেমনটি চোখেও পড়ে না। গ্রাম-বাংলার অবস্থাসম্পন্ন গৃহস্থের আভিজাত্যের প্রতীক হিসাবে বিবেচিত কাচারি ঘর কালের বিবর্তনে আজ বাঙালির সংস্কৃতি থেকে হারিয়ে গেছে বা যাচ্ছে।
জানা যায়, ঈশা খাঁর আমলে কর্মচারীদের খাজনা আদায়ের জন্য কাচারি ঘর ব্যবহার করা হতো। জমিদারী প্রথার সময়ও খাজনা আদায় করা হতো গ্রামের প্রভাবশালী গ্রাম্য মোড়লের বাড়ির সামনের কাচারি ঘরে বসে।
সময়ের বিবর্তনে শহরের পাশাপাশি গ্রামের পরিবারগুলোও ছোট ও আত্মকেন্দ্রিক হয়ে যাচ্ছে। তাই বিলুপ্তির পথে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে চলে আসা বাঙালির ঐতিহ্য ‘কাচারিঘর’ নামে খ্যাত বাহির বাড়ির বাংলো ঘরটি!
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ইন্দোনেশিয়ার গ্রিন ইসলাম বিপ্লব: প্রেক্ষাপট বাংলাদেশ
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ভিভিআইপি ও ভিআইপি কারা, কি ধরনের অগ্রাধিকার পেয়ে থাকেন তারা?
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সিসিইউ আর আইসিইউ উভয়ই জরুরি, কোনটার কাজ কি?
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আফ্রিকা ভেঙে সৃষ্টি হচ্ছে এক নতুন মহাসাগর
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মৌমাছির বিষে এক ঘণ্টায় ধ্বংস স্তন ক্যানসার কোষ
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
১৩ বছরের অপেক্ষার পর দেখা মিললো বিশ্বের সবচেয়ে বিরল ফুলের
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সন্তানের উচ্চতা স্বাভাবিকভাবে বাড়বে যে ৩ ফলের রসে
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
শুক্র গ্রহে একদিন পৃথিবীর এক বছরের চেয়েও দীর্ঘ
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
১২ ঘণ্টা না খেয়ে থাকলে নিজেকে পরিষ্কার করতে শুরু করে মস্তিষ্ক -গবেষণা
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নাম দিয়েই জমির মালিকানা যাচাই করবেন যেভাবে?
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
হারিয়ে যাওয়া সুপারনোভার সন্ধান, পথ দেখালো ইসলামের স্বর্ণযুগের আরবি কবিতা
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
কোন বাদামের কেমন পুষ্টিগুণ, খাবেনই-বা কতটুকু?
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)












