কোটিপতি বেড়েছে ৫ হাজার, ধনী-গরিবের বৈষম্য বাড়ল কত?
এডমিন, ০৮ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২৬ রবি’ ১৩৯১ শামসী সন , ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ০৯ আশ্বিন, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) তাজা খবর

কোটিপতির সংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে অনলাইনে অনেক পাঠকই নানা ধরণের মন্তব্য করছেন। অনলাইনের এসব মন্তব্য থেকে মানুষের ইতিবাচক বা নেতিবাচক একটা ধারণা পাওয়া যায়। তাই পাঠকদের জন্য অনলাইন মন্তব্যের একটা সংকলন এখানে তুলে ধরা হলো।
সংবাদটির প্রতিক্রিয়ায় নুর হোসাইন নামের এক পাঠক নিজের দুরবস্থার কথা লিখেছেন। তিনি লেখেন, ২০১৭ সালে একটি ব্যবসা শুরু করেছিলাম কিন্তু বৈশ্বিক পরিস্থিতি এবং লকডাউনের কারণে পুঁজি স্বল্পতায় ব্যবসার অবস্থা খারাপ। বর্তমানে ব্যবসা চালু রাখতে হিমশিম খাচ্ছি।
কোটিপতির হিসাবের প্রসঙ্গ উঠে আসায় একই সময়ে দারিদ্র্যসীমার নিচে যাওয়াদের তালিকা করার আহ্বান জানিয়েছেন পাঠকদের একটি অংশ। আইএইচ খান ইমু লেখেন, আমি মনে করি, কোটিপতি কত বাড়ল সেই হিসাব না করে দেশে গরিব ও একেবারে নিম্নশ্রেণির মানুষ বাড়ল না কি কমল সেই তালিকাটি করা উচিত।
নুর উদ্দীন লেখেন, গরিব কত শতাংশ হয়েছে তা তালিকাভুক্ত করা জরুরি। যারা কোটিপতি হয়েছে তারা কীভাবে কোটিপতি হয়েছে, তাও খতিয়ে দেখবেন।
কোটি টাকার ব্যাংক অ্যাকাউন্টধারীদের আয়ের উৎস নিয়ে প্রশ্ন তুলে খালিদ হাসান লেখেন, এ কোটিপতিদের আয়ের উৎস কী এবং তারা ঠিক কত দিনের উপর্জন দিয়ে কোটিপতি হলেন; এ বিষয়ে স্পষ্ট তথ্য চাই। এ ছাড়া দেশে এ ধরনের কোটিপতি বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে এক শ্রেণির মানুষ দারিদ্র্যসীমার মধ্যে চলে যাচ্ছে কি না সেটাও দেখার বিষয়। সম্পত্তির সুষ্ঠু বণ্টন হোক এবং দেশের অর্থ নির্দিষ্ট কিছু মানুষের কাছে যেন পুঞ্জিভূত না হয়, সেদিকে লক্ষ রাখা রাষ্ট্রের দায়িত্ব।
মো আকতার মিয়া : কেমন স্বাধীন দেশে আমরা বসবাস করি! একদিকে বছরে পাঁচ হাজার লোক কোটিপতি হয়। অপরদিকে কত লাখো মানুষ অসহায়ের মতো জীবনযাপন করছে, এটার হিসাব কেউ করে না।
স্বাধীন মালিক : গরিবেরা আরও গরিব হচ্ছে। অন্যদিকে কোটিপতির সংখ্যা বাড়ছে। বাংলাদেশে বছরে প্রায় পাঁচ হাজার কোটিপতির সংখ্যা বেড়েছে। অথচ দেশে স্বাস্থ্যসেবা তলানিতে। বেড়ে গেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম। ঠিক এ সময় পাঁচ হাজার কোটিপতি বেড়ে যাওয়ার কারণ কী?’
মোশাররফ হোসেন : এটা তো শুধু একটি তালিকা। এর বাইরে যারা রয়েছেন তারা হলেন কাঁচাবাজার থেকে শুরু করে স্টেশনের মালিক সমিতির সভাপতি। তালিকাভুক্ত নয় কিন্তু এমন অনেকেই কোটিপতি।
রিয়াদ ফেনী : কোটিপতির সংখ্যা বেড়ে গেছে। কিন্তু প্রকৃত মানুষের সংখ্যা বাড়েনি। বেকারত্ব দিন দিন বেড়েই চলছে।
এনামুল হক : যতদিন রাজনীতির ময়দানে ব্যবসায়ীরা টিকে থাকবে তত দিন কোটিপতির সংখ্যা বাড়বে। বছর বছর দারিদ্র্যসীমার নিচে যাবে আরও কয়েক কোটি মানুষ।
গোলাম জাকারিয়া নাফলু : দুর্নীতিবাজ, লুটপাটকারী ও অসৎ মুনাফাখোররা এ তালিকায় আছে নিশ্চয়ই! কতিপয় গোষ্ঠী আঙুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছে। অপরদিকে সাধারণ মানুষ মূল্যস্ফীতির দুর্বিষহ কষ্ট নিয়ে দিনযাপন করছে।
এএইচ মিশু : নতুন করে পাঁচ হাজার মানুষ কোটিপতি হয়েছে। নতুন করে কত লাখ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে গেছে, এর একটি তালিকা হওয়া দরকার। সমাজে দিন দিন বৈষম্য বাড়ছে। কিন্তু এর কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেই। কিছু মানুষ বিভিন্ন অবৈধ পথে সম্পদের পাহাড় বানাচ্ছে। আর আগে যারা নিম্নমধ্যবিত্ত ছিল তারা এখন দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে যাচ্ছে। সমাজের এই অনৈতিক ব্যবস্থাগুলো বন্ধ করতে পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। নয়তো এভাবে চলতে থাকলে দেশ বড় ধরনের বিপর্যয়ের সম্মুখীন হবে।
সাজিদ : প্রকৃতপক্ষে কোটিপতি পাঁচ হাজার বাড়লেও গরিবের সংখ্যা হয়তো পাঁচ কোটি বেড়েছে। দুর্নীতি, মাদক কারবার কোটিপতি বাড়ার প্রধান কারণ বলে মনে করি। কোটিপতির তালিকা করলে দেখা যাবে, চাকরিজীবীই বেশি। অথচ তাদের সারা জীবনের বেতন কোটি টাকা নয়।
ইমরান আলী : এদের ৯০ শতাংশ সিন্ডিকেট ও অসাধু ব্যবসায়ী চক্র। এদের উপার্জনের টাকা ৯৫ শতাংশই হারাম। নবীর সুন্নত তরিকায় ব্যবসা করে কোটি কোটি টাকার মালিক হওয়া দুরূহ ব্যাপার।
আনোয়ার হোসেন : ব্যবসায়ীরা কোটিপতি হচ্ছে। বর্তমানে ব্যবসায় সিন্ডিকেট করে একশ্রেণির লোক কোটিপতি হচ্ছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য আটকে রেখে বাজারে দাম বাড়িয়ে তারা লাভবান হচ্ছে। মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তদের টাকা চুষে তারা কোটিপতি হচ্ছে।