কোটি টাকার খেজুরের গুড় উৎপাদনের টার্গেট নাটোরে
, ২৩ রবীউছ ছানী শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১০ সাদিস ১৩৯১ শামসী সন , ০৮ নভেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ২৩ কার্তিক, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) তাজা খবর
নাটোর জেলার সব উপজেলাতেই খেজুর গাছ থাকলেও লালপুর উপজেলায় তুলনামুলক খেজুরের গাছের সংখ্যা ও গুড় উৎপাদন হয় সবচেয়ে বেশি। এরপরেই রয়েছে বড়াইগ্রাম উপজেলা। তবে বড়াইগ্রাম উপজেলায় খেজুরের গাছ ও গুড় উৎপাদনের পরিসংখ্যান নেই।
এরপরও বড়াইগ্রামে খেজুরের রস সংগ্রহ ও গুড় তৈরিকারী অর্ধশতাধিক গাছীদের নিয়ে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এদিকে লালপুর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, দশটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা অঞ্চলে সড়ক ও রেললাইনের দুই পাশে, জমির আইল, বাড়ির আঙ্গিনায় ছড়িয়ে আছে প্রায় ৩ লাখ ১৪ হাজার ৫০০ খেজুরের গাছ। এসব গাছ থেকে গুড় সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ৫ হাজার ৭৯ মেট্রিক টন। খেজুর গাছের রস সংগ্রহর উপর প্রায় ৩ হাজার পরিবার নির্ভরশীল।
নাটোর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, জেলায় মোট খেজুর গাছ রয়েছে ৬ লাখ ২৭ হাজার ৭৯০টি। এরমধ্যে রস সংগ্রহের উপযোগী গাছ রয়েছে ৫ লাখ ৩৩ হাজার ৬২২টি। শীত মৌসুমে ৭৫ দিনে প্রতিটি গাছ থেকে ১৭৪ কেজি রস পাওয়া যায়। আর প্রতিটি গাছের রসে গুড় উৎপাদন হয় ১৭.৪০ কেজি। জেলায় প্রতি মৌসুমে গড়ে প্রায় ৯ হাজার ৬২৩ মেট্রিক টন (৯৬ লাখ ২৩ হাজার ৮৬২ কেজি) খেজুর গুড় উৎপাদন হয়। যার আর্থিক মূল্য প্রায় ১০৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রতি বছর নাটোর জেলায় ১০৫ কোটি টাকার খেজুর গুড় উৎপাদন ও বাজারজাত হয়। গত মৌসুমে প্রায় শত কোটি টাকার খেজুর গুড় উৎপাদন হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র ও স্থানীয়রা জানান, কেবল শীতকাল আসলেই অযতেœ ও অবহেলায় বেড়ে উঠা এই খেজুর গাছের কদর বাড়ে। খেজুরের গাছ অন্য কোন ফসলের ক্ষতি করে না। এই গাছের জন্য বাড়তি কোনো খরচ গুনতে হয় না। ঝোপ জঙ্গলে কোনো প্রকার যতœ ছাড়াই বেড়ে উঠে খেজুর গাছ। শুধুমাত্র শীত মৌসুম আসলে নিয়মিত পরিষ্কার করে রস সংগ্রহ করতে হয়। খেজুর গাছ মিষ্টি রস দেয়।
প্রতিদিন একজন গাছি প্রায় ৫০ থেকে ৫৫টি খেজুর গাছের রস সংগ্রহ করে থাকেন। একজন গাছি শীত মৌসুমে ৭০ থেকে ৭৫ দিনে একটি খেজুর গাছ থেকে প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ কেজি গুড় পেয়ে থাকেন। এছাড়া খেজুরের পাতা দিয়ে মাদুর তৈরিসহ খেজুরের গাছ কেটে ঘর তীর তৈরি করা হয়।
এ বিষয়ে নলডাঙ্গার বুড়ির ভাগ গ্রামের আহাদ আলী জানান, প্রতি বছর তিনি অন্তত ৭০ থেকে ৮০টি গাছ থেকে রস সংগ্রহ করে বাড়িতেই গুড় তৈরী করে বাজারে বিক্রি করেন। কোনো কোনো সময় বাড়ি থেকেও গুড় বিক্রি হয়। হলুদঘর গ্রামের খলিলুর রহমান জানান, প্রতি বছর প্রায় ১০০টির মত গাছ থেকে রস সংগ্রহ করেন। গত বছরের তুলনায় এবার আরো ২০টি গাছ বেশি প্রস্তত করছেন। তিনি বলেন, খেজুরের গুড় তৈরী ও বিক্রি করে তার সংসার ভালোই চলে।
লালপুর, বাগাতিপাড়া, বড়াইগ্রাম, সদর ও নলডাঙ্গা উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে গাছিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, খেজুরের গুড় ও রসের চাহিদা যেমন আছে। পাশাপাশি দামও ভালো পাওয়া যায়। তবে বাজার ব্যবস্থাপনা ও প্রক্রিয়াজাত করা গেলে এই গুড় শুধু দেশে নয়, বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব। এজন্য সরকারি ভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
দখলদারদের অবিস্ফোরিত মিসাইল দিয়েই তাদের সামরিক যান ধ্বংস
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
রাজধানীতে ৭৩ রাউন্ড গুলিসহ তিনটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
দীর্ঘ ২২ ঘণ্টা অবরোধের পর শাহবাগে গাড়ি চলাচল শুরু
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
দীর্ঘ ২২ ঘণ্টা অবরোধের পর শাহবাগে গাড়ি চলাচল শুরু
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পেঁয়াজ আমদানিতেও চক্রের দ্বিগুণ মুনাফা
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
লিবিয়া থেকে দেশে ফিরলেন ৩৪৫ বাংলাদেশি
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
হিমাগারের আলু এখন ‘গলার কাঁটা’
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মব সন্ত্রাস পুরো জাতিকে বিভক্ত করেছে -ফখরুল
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
‘কয়েকজন বিচ্ছিন্ন উগ্র গোষ্ঠীর সহিংসতার বিরুদ্ধে সতর্ক থাকুন’
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
৩৮ লাখ টাকার মেশিন তিন বছরেও চালু হয়নি, আইসিইউতে ঝুলছে তালা
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
চিকিৎসা পর্যটন বাড়াতে বাংলাদেশীদের জন্য বিশেষ উদ্যোগ পাকিস্তানের
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
যে কারণে ট্রাভেল পাসেই ফিরতে হবে তারেক রহমানকে
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)












