সম্পাদকীয়-২
ক্ষেতের ফসল ক্ষেতেই নষ্ট হচ্ছে সবজির দাম না পাওয়ায় হতাশ ও ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের প্রতি অন্তবর্তী সরকারের দরদ ও দায়বদ্ধতা প্রতিফলিত হচ্ছে না সবজি রপ্তানী বৃদ্ধি, সবজির বহুমুখী ব্যবহার এবং সবজি সংরক্ষণ বহুগুণ করে সবজি চাষীদের সমৃদ্ধশালী করার অবকাশ কেবলমাত্র খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পরিক্রমায়ই সম্ভব ইনশাআল্লাহ
, ৯ই রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১৩ ছামিন, ১৩৯২ শামসী সন , ১০ জানুয়ারী, ২০২৫ খ্রি:, ২৫ পৌষ , ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) সম্পাদকীয়

সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
সবজির জন্য বিখ্যাত জেলা মেহেরপুর। এখানকার উৎপাদিত সবজি স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় রপ্তানি হয়। কিন্তু বর্তমানে সবজির বাজার দর খুবই কম। উৎপাদিত সবজির কাক্সিক্ষত দাম না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছেন জেলার চাষিরা। পরিবহন ও শ্রমিক খরচের টাকাও উঠছে না সবজি বিক্রি করে।
ক্রেতা কম থাকায় অধিকাংশ সবজিই নষ্ট হচ্ছে জমিতে। চাষিরা বলছেন, বাজারে দাম নেই, পাইকারি ব্যবসায়ীরাও আসছেনা। জমিতে নষ্ট হচ্ছে বাঁধাকপি ও ফুলকপি।
দেশের অন্যতম বড় সবজির বাজার হিসেবে পরিচিত বগুড়ার ‘মহাস্থান হাট’। বছরজুড়েই এখানে প্রতিদিন ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত শত শত মণ সবজির কেনাবেচা চলে। বাজারটিতে শীতকালীন সবজির সরবরাহও ভালো। কিন্তু পণ্যের দাম না পেয়ে হতাশাগ্রস্ত কৃষকরা।
রংপুরে সবজির দরপতনে দিশেহারা কৃষকরা। শ্রমিক খরচ না ওঠায় অনেক কৃষক ক্ষেত থেকে সবজি তোলা বন্ধ রেখেছেন। অনেকে ক্ষেত ভেঙে অন্য ফসল আবাদ শুরু করেছেন। সবজি সংরক্ষণে বিশেষ সংরক্ষণাগার স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন তারা।
কুমিল্লার সর্ববৃহৎ তথা দেশের অন্যতম বৃহৎ নিমসার কাঁচাবাজারেও বিভিন্ন প্রকারের সবজি বিক্রি হচ্ছে অনেকটা পানির দামে। এ অবস্থায় স্থানীয় কৃষকÑ এমনকি পাইকারদের মাঝেও নেমে এসেছে হতাশা।
সবজির দামে ভোক্তা স্বস্তি পেলেও খরচের টাকা তুলতে না পেরে পথে বসতে চলেছেন কৃষক। এমনকি কোথাও কোথাও খরচ না ওঠার শঙ্কায় অনেক কৃষক ক্ষেত থেকে সবজি তুলতেও নারাজ। কৃষকের উৎপাদন খরচ না ওঠার এমন চিত্র যেমন দুঃখজনক, তেমনি আমাদের কৃষিনির্ভর অর্থনীতির জন্যও ভয়াবহ বিপর্যয়।
প্রসঙ্গত আমরা মনে করি, কৃষি পণ্যের যথাযথ মূল্য নিশ্চিত করতে সরকারকেই যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে। যেমন পণ্যের বিকল্প ব্যবহার বাড়াতে হবে। অর্থাৎ মুলা দিয়ে শুধু তরকারি না খেয়ে অন্য কীভাবে এটিকে সংরক্ষণ করা যায়, অন্য আইটেম বানানো যায়Ñ সেটি চিন্তা করতে হবে। সেক্ষেত্রে এসব পণ্য এখন বিক্রি না হয়ে কয়েক মাস পরে বিক্রি হবে। তখন দাম পাওয়া যাবে। কৃষিপণ্যের ভ্যালু এডিশন করতে হবে। এতে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে হবে। প্রয়োজনীয় অর্থ ও সরঞ্জাম রাষ্ট্রীয়ভাবে দিতে হবে। এতে কৃষক উপকৃত হবেন। পাশাপাশি ক্রেতারাও উপকৃত হবেন।
পাশাপাশি বিদেশে রপ্তানির পরিমাণ বাড়াতে হবে। বিভিন্ন দেশে আমাদের বাঙালিরা থাকে। তারা দেশি পণ্য পেলে খুব আনন্দ ও উৎসাহের সঙ্গে তা নেয়। তাই রপ্তানির পরিমাণ বাড়াতে হবে।
মৌসুমের শুরুতেই বীজ, সার, মজুরিসহ আনুষঙ্গিক সব খরচের হিসাবের মাধ্যমে পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দেওয়া যায়, তাহলেও কৃষককে লোকসানের ঝুঁকি থেকে রক্ষা করা সম্ভব।
পরিকল্পনাভিত্তিক চাষাবাদ করতে হবে। একই সময়ে একই ধরনের ফসল উৎপাদন না করে অর্থাৎ একই সময়ে সব জায়গায় মুলা, ফুলকপি চাষ না করে বরং ধাপে ধাপে চাষ করা যেতে পারে। উৎপাদিত পণ্য ধাপে ধাপে বাজারজাত হলে কৃষকদের ন্যায্যমূল্য পাওয়ার ক্ষেত্রে ভালো হয়। এখন আমাদের দেশে সব জায়গার কপি, আলু, বেগুন প্রায় একই সময়ে বাজারে চলে আসে। তাতে সরবরাহ বেশি হয়ে যাওয়ায় দাম পড়ে যায়। তা ছাড়া সরকারিভাবে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা দরকার। তা সম্ভব হলে বাজারমূল্যে এতটা পার্থক্য হবে না।
সেইসঙ্গে প্রান্তিক পর্যায়ে কৃষককে উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি কৃষি বিপণন নীতিমালা প্রণয়নে জোর দেবে। উৎপাদন ব্যয় যাতে না বাড়ে এবং প্রয়োজনে কৃষি পণ্যে ভর্তুকির ব্যবস্থা যায় সেটা সরকারের জন্য নিশ্চিত করা জরুরি।
মূলত, এসব বিষয় বাস্তবায়নের অনুভূতি ও দায়িত্ববোধ আসে পবিত্র ঈমান ও পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাদের খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র চেতনা ও জজবা এবং পরিক্রমা থেকে ইনশাআল্লাহ।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
পবিত্র লাইলাতুল বরাতে সংশয়বাদী ও নাসীকারীরা বালহুম আদ্বল। ওদের অন্তরে মোহর পড়ে গেছে পবিত্র লাইলাতুল বরাতে বিশ্বাসী হওয়া ছাড়া কেউ মুসলমান হতে পারে না। মহিমান্বিত লাইলাতুল বরাত উনাকে উপলব্ধি ও উদযাপনের সর্বোত্তম স্থান হলো রাজারবাগ শরীফ
১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মুবারক হো পবিত্র ১৩ই শা’বান শরীফ! সুবহানাল্লাহ! যা সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আর রবিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস।
১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম, মহাসম্মানিত রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার মহিমান্বিত, মহাপবিত্র ১২ তারিখ উনার সাথে সম্পর্কযুক্ত মহাসম্মানিত ১২ই শাবান শরীফ আজ।
১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিতে ব্যয় বাড়লেও সুবিধার বাইরে ৭১ ভাগ দরিদ্র জনগোষ্ঠী। দারিদ্রের যাঁতাকল থেকে জনগণকে বের করে না আনলে দেশ অবিলম্বে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হবে। বাঁচতে হলে খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র চেতনায়ই পাওয়া যাবে প্রকৃত নিরাপত্তা ও সফলতা ইনশাআল্লাহ
১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
বিগত সরকারগুলোর মত কথিত অন্তর্বর্তী সরকারও দেশের পতিত জমির দিকে নজর দিচ্ছে না অথচ প্রায় ১ কোটি ৫৩ লাখ ৫৫ হাজার শতক পতিত জমি আবাদের আওতায় এনে দেশকে মহা সমৃদ্ধ করা যায় যতদিন খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র চেতনা না হবে ততদিন এসব নিয়ামত অধরাই থেকে যাবে (নাউযুবিল্লাহ)
১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
তথাকথিত ইসলামী ব্যাংকগুলো আদৌ ইসলামী নয়। সুদবিহীন ব্যাংক নয়। দ্বীনদার, পরহেজগার মুসলমানের জন্য সুদবিহীন ইসলামী ব্যাংকের সুবিধা ও সেবা নিশ্চিত করতে হবে কেবলমাত্র খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পরিক্রমায়ই তা সম্ভব ইনশাআল্লাহ
১০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম-মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার ছোহবত মুবারক এবং আখিরী যামানায় মুর্দা দিলের পূনরুজ্জীবন।
১০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
ভারতকে উপলব্ধি করতে হবে ভারতের সেবাদাস আর ভারতের প্রতি নতজানু পররাষ্ট্রনীতিকে বাংলাদেশের মানুষ কত ঘৃণা করে। বাংলাদেশের স্বার্থের জন্য মানুষ কিভাবে শাহাদাতকে কবুল করে সীমান্তে কাটাতারের বেড়া দেয়া আর চলবে না
০৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পবিত্র রমাদ্বান শরীফে লোডশেডিং তো নয়ই আসন্ন গ্রীষ্মেও লোডশেডিং বরদাশতযোগ্য নয়
০৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
দৈনন্দিন ৩২ বার পবিত্র সূরা ফাতিহা শরীফ পাঠ করলেও মুসলমান কি পবিত্র সূরা ফাতিহা শরীফ শুধু পাঠের মধ্যেই আবদ্ধ থাকবে? ফিকির আর আমল কী অধরাই থাকবে?
০৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
প্রসঙ্গ : পারিবারিক বন্ধন ধ্বংস, পর্নোগ্রাফির রাজত্ব এবং ইসলামী মূল্যবোধের গুরুত্ব।
০৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ, মহাসম্মানিত রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার মহাপবিত্র ০৭ তারিখ উনার সাথে সম্পর্কযুক্ত পবিত্র ০৭ই শা’বান শরীফ আজ। সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার শান-মান মুবারক অনুভব করা, মর্যাদা-মর্তবা মুবারক জানা, দয়া-ইহসান মুবারক উপলব্ধি করা, ফয়েজ-তাওয়াজ্জুহ ও নেক ছোহবত মুবারক হাছিল করা সর্বোপরি উনার নেক ছায়াতলে উপনীত হওয়া বর্তমান যামানায় সব নারীদের জন্য ফরয।
০৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)