গরমে স্বস্তি মাটির ঘরে
, ২৪ শাওওয়াল শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৫ ছানী আশার, ১৩৯১ শামসী সন , ০৪, মে, ২০২৪ খ্রি:, ২১ বৈশাখ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) দেশের খবর
চলমান তাপদাহে যখন মানুষ কংক্রিটে আচ্ছাদিত শহরে একটু স্বস্তি খুঁজে পেতে হিমশিম খাচ্ছে, তখন দিনাজপুরসহ আশপাশের জেলার গ্রামাঞ্চলে মাটির ঘরে থাকা লোকজন অনেকটাই আরামে আছেন।
বাইরে তীব্র গরম থাকলেও মাটির ঘরের ভেতরটা তুলনামূলক ঠান্ডা থাকে। এমনকি মাটির ঘরে ফ্যান ছাড়া থাকতেও তেমন অস্বস্তি হয় না।
দিনাজপুর সদর উপজেলার নশিপুর গ্রামের একটি মাটির ঘরের বাসিন্দা জানান, দিনে খানিকটা গরম হলেও রাতে তাদের ঘরে তাপমাত্রা দ্রুত কমে যায়। তাই তীব্র তাপপ্রবাহ ও ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটেও তারা অন্যদের চেয়ে ভালো আছেন।
দিনাজপুর পৌরসভা এলাকার মির্জাপুর গ্রামের এক বাসিন্দা জানান, ৩৯ বছর আগে দুই শতক জমির ওপর তাদের চার কক্ষের মাটির বাড়ি তৈরি করা হয়।
তিনি বলেন, গ্রীষ্ম বা শীত যাই হোক না কেন, এসব ঘরে যেকোনো আবহাওয়ায় স্বাচ্ছন্দ্যে থাকা যায়।
এক সময় গ্রামাঞ্চলে ধনী-দরিদ্র সবার কাছেই জনপ্রিয় ছিল মাটির বাড়ি। এখন মানুষ ইটের তৈরি বাড়ির দিকে ঝুঁকে পড়ায় দ্রুত বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে পরিবেশবান্ধব এই বাড়ি। এখন শুধু দরিদ্রদের মাটির বাড়িতে থাকতে দেখা যায়।
দিনাজপুরের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষজন মনে করেন, মাটির ঘর তাদের রীতিনীতি ও ঐতিহ্যের অংশ। তবে ২০১৭ সালে বন্যায় মাটির বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর তারাও ঝুঁকে পড়েছেন আধা-পাকা ইটের বাড়ির দিকে।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ, ইঁদুর ও উইপোকার আক্রমণ, কাঁচামাল না পাওয়া, অভিজ্ঞ শ্রমিক না পাওয়াসহ নানা কারণে মাটির ঘরের সংখ্যা কমে যাচ্ছে বলে জানান স্থানীয়রা।
দিনাজপুরের বিরল, ঘোড়াঘাট, নবাবগঞ্জ, কাহারোল ও বীরগঞ্জ উপজেলায় এখনও কিছু মাটির বাড়ি দেখা যায়। এসব বাড়িতে টিনের ছাউনি ব্যবহার করা হয়। আগের ঘরগুলোতে টিনের কোনো ব্যবহার ছিল না। আগে ছাউনি হিসেবে ব্যবহার করা হতো খড়। তবে স্থায়িত্ব কম হওয়ায় পরে টিন জনপ্রিয় হয়।
খড় দিয়ে চালা তৈরি করা হলে মাটির তৈরি ঘর সম্পূর্ণ ঠান্ডা থাকবে। কিন্তু আজকাল মানুষ এটা ব্যবহার করছে না। কারণ এর পানি ভেতরে ঢুকে যায়।
একই উপজেলার তরপনঘাট এলাকার জহরুল ইসলাম বলেন, 'গ্রামের মাটির ঘরের সংখ্যা কমে যাচ্ছে প্রতি বছর। মূলত স্থায়িত্বের সমস্যার জন্য। এখন মানুষ ইটের ঘরের দিকে ঝুঁকছে।
'তবে মাটির ঘরে স্বস্তি আছে', বলেন তিনি।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
স্বাভাবিকভাবেই পড়ছে শীত মাসের শেষে শৈত্যপ্রবাহ
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সুপ্রিম কোর্টের এজলাসে প্রবেশ সীমিত
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
হাসিনা-কামালের আমৃত্যু কারাদ- বাড়িয়ে মৃত্যুদ- চেয়ে আপিল
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
আইজিপির বিরুদ্ধে রিট আবেদন খারিজ
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
বিজয় দিবস ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে নৌবাহিনীতে অনারারী কমিশন প্রদান
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
‘দেড় বছরে দেড় কোটি মানুষের কর্মসংস্থানের পরিকল্পনা’
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
‘বাংলার মাটিতে আ’লীগের রাজনীতি আর চলবে না’
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নির্বাচনী পরিবেশ বজায় রাখতে বিভাগীয় কমিশনার-জেলা প্রশাসকদের ইসির চিঠি
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
‘২০২৪-কে ১৯৭১-এর মুখোমুখি দাঁড় করানোর প্রচেষ্টাকে প্রত্যাখ্যান করি’
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
‘জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের অবদান আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত’
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
‘দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি সন্তোষজনক’
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
‘নির্বাচন নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই, দুশ্চিন্তা ঝেড়ে প্রস্তুতি নিন’
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)












