গাজার মাটি খুঁড়ে একাই ১৮ হাজার মরদেহ দাফন করেছেন ইউসুফ
, ০৪ রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৭ হিজরী সন, ২৬ সাবি’, ১৩৯৩ শামসী সন , ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রি:, ১০ পৌষ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) বিদেশের খবর
আল ইহসান ডেস্ক:
গাজার খান ইউনিস শহরের বাসিন্দা ৬৫ বছর বয়সি ইউসুফ আবু হাতাব। সন্ত্রাসী ইসরায়েলের চালানো ভয়াবহ ও ধ্বংসাত্মক যুদ্ধে তিনি একাই প্রায় ১৮ হাজার ফিলিস্তিনির মরদেহ দাফন করেছেন বলে দাবি করেছেন। ফিলিস্তিনি ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ এই ট্র্যাজেডির তিনি এক জীবন্ত সাক্ষী হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করেছেন। সম্প্রতি আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে এই কবরখোদকের অভিজ্ঞতার কথা উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ফাটা হাতে কোদাল নিয়ে দিনের পর দিন একের পর এক মরদেহ কবর দিয়েছেন ইউসুফ। একসময় কবরস্থান পূর্ণ হয়ে উপচে পড়ার উপক্রম হয়। অধিকাংশ মরদেহের কোনো নাম-পরিচয় ছিলো না, ইসরায়েলি নির্বিচার বোমাবর্ষণে ছিন্নভিন্ন হয়ে যাওয়া দেহাবশেষই শুধু দাফন করা হয়েছে।
আনাদোলু এজেন্সিকে ইউসুফ বলেন, ‘অস্বাভাবিক চাপের মধ্যে গণকবর, একক কবর, এমনকি হাসপাতালের ভেতরেও মরদেহ দাফন করতে হয়েছে। একেকদিন মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ভয়ংকর রকম বেশি।’
তিনি জানান, একবার ইসরায়েলি বোমাবর্ষণের তীব্রতায় একটি কবরেই ১৫টি মরদেহ দাফন করতে তিনি বাধ্য হন। ২০০৫ সাল থেকে শুরু হওয়া তার কর্মজীবনের সবচেয়ে কঠিন সময় ছিলো এই যুদ্ধ। ইউসুফ বলেন, ‘যুদ্ধের সময় আমি ১৭ থেকে ১৮ হাজার ফিলিস্তিনির মরদেহ দাফনের তত্ত্বাবধান করেছি।’
ইউসুফ আবু হাতাব জানান, প্রতিদিন সকাল ছয়টায় তিনি কবর খোঁড়ার কাজ শুরু করেন। অনেক সময় সূর্যাস্ত পেরিয়েও তাকে কাজ চালিয়ে যেতে হয়।
তিনি বলেন, ‘পরিস্থিতি অসহনীয় হয়ে উঠেছে। কবর তৈরির উপকরণ নেই, কাফনের কাপড় নেই, যন্ত্রপাতিও নেই, ইসরায়েলি অবরোধের কারণে। যুদ্ধের প্রথম দিকে প্রতিদিন ৫০ থেকে ১০০টি মরদেহ দাফন করতে হতো বলে জানান ইউসুফ। বর্তমানে সংখ্যা কিছুটা কমলেও প্রতিদিনই নতুন মরদেহ আসছে।’
কর্মী ও সম্পদের অভাবে ইউসুফ আবু হাতাবকে সব কাজ একাই করতে হয়। মরদেহের গোসল দেওয়া, কাফন পরানো, দাফন এবং নথিভুক্ত করা-সবই তিনি একা হাতে সামলান। নিজের মোবাইল ফোনে তিনি সব তথ্য নথিভুক্ত করে রেখেছেন। তিনি বলেন, ‘কখনো কখনো শুধু ব্যাগে মরদেহ দাফন করেছি। অন্য আর কিছুই ছিলো না।’
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কারাবন্দি ইমরান খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ বন্ধ
২৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
তুরস্কে বিমান দুর্ঘটনায় লিবিয়ার সেনাপ্রধান নিহত
২৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ইসরায়েলি অবরোধে গাজার স্বাস্থ্যব্যবস্থা বিপর্যস্ত, ঝুঁকিতে হাজারো রোগী
২৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ভারতকে পেছনে ফেলে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত অংশীদার তালিকায় পাকিস্তান
২৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
তাইওয়ানে ৬ মাত্রার ভূমিকম্প
২৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ইসরাইলি সন্ত্রাসী সেনাদের স্বীকারোক্তি...!
২৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
চিনির হাইড্রোক্সিল মূলক জিভকে উদীপ্ত করে
২৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
‘গাজা বিক্রির জন্য কোনো পণ্য নয়’, ট্রাম্পকে হামাস
২৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
গাজায় সংযম দেখানোর আহ্বান যুক্তরাষ্ট্র, মিশর, কাতার ও তুরস্কের
২২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নিজের স্বাক্ষরে রাষ্ট্রীয় তহবিল থেকে শত কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ নিচ্ছে ট্রাম্প!
২২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
ভারত কোন ভয়ে শত শত কামিকাজি ড্রোন কিনছে, উদ্দেশ্য কি?
২২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
গাজা-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি, স্থিতিশীলতা ফেরাতে নতুন শাসন কাঠামো
২২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)












