ঘণ্টায় ৫৬ কিলোমিটার উড়তে পারে যে মাছ (২)
, ২৩শে রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ১৭ তাসি, ১৩৯০ শামসী সন , ১৫ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ খ্রি:, ০২ ফাল্গুন, ১৪২৯ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) পাঁচ মিশালী
উড়ন্ত মাছ ডিম পাড়ার সময় হলে তীরের নিকটবর্তী এলাকায় চলে আসে। পানি ছেড়ে শুণ্যে উঠে প্রায় ১০ সেকেন্ড ভেসে থেকে তীরের কাছাকাছি গাছপালায় ডিম পাড়ে। অন্য মাছের ডিম থেকে উড়ন্ত মাছের ডিম আলাদা ধরনের। এক প্রকার আঁকশি লাগানো থাকে ওদের ডিমে। জ্যান্ত উড়ন্ত মাছ বা ফ্লাইং ফিস অহরহ দেখা যায় আন্দামানের পোর্ট ব্লেয়ার যাওয়ার পথে। জাহাজের সামনের দিকের ডেকের রেলিং ধরে দাঁড়িয়ে নিচে সমুদ্রের পানির দিকে তাকিয়ে থাকলে দেখা যাবে, জাহাজের গা ঘেঁষে ছোট-ছোট পাখির মতো এক বা একাধিক মাছের ঝাঁক পানি থেকে উঠে ডানায় ভর করে অনেক দূর পর্যন্ত উড়ে গিয়ে আবার সাগরের পানিতে ঝুপ করে পড়ছে। এরাই হলো ফ্লাইং ফিস বা উড়ন্ত মাছ। তবে এদের পৃথিবীর সব সাগরেই কমবেশি দেখতে পাওয়া যায়। এমনকি কয়েক প্রজাতির ফ্লাইং ফিস বাণিজ্যিকভাবে পৃথিবীর নানান উপসাগর থেকে ধরা হয়।
আমাদের বঙ্গোপসাগর অঞ্চলেই অন্তত: দশ প্রজাতির উড়ন্ত মাছের সন্ধান পাওয়া গেছে। অন্যান্য প্রজাতির উড়ন্ত মাছ আকারে বড় ও গভীর সাগরে থাকে। অনুমান করা হয়, বড় প্রজাতির উড়ন্ত মাছ কন্টিনেন্টাল সেলফ অঞ্চলে ও বাইরের সাগরের উপরিভাগে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকে। এছাড়া ভারত মহাসাগরের পূর্ব উপকূলে ও শ্রীলঙ্কায় এদের বেশি দেখতে পাওয়া যায়। আগেই বলা হয়েছে সাগরের উপরিভাগে বসবাসকারী উড়ন্ত মাছ সাগরের পানি থেকে উপরে লাফিয়ে ওঠে। এরা কানকোর পাশে লাগানো লম্বা পাখনার সাহায্যে অনেক দূর পর্যন্ত পানির উপর দিয়ে উড়ে যেতে পারে। যখন এরা পানির মধ্যে সাঁতার কাটে তখন কানকোর পাশে থাকা লম্বা পাখনা, গোটা দেহের সঙ্গে আটকে রাখে। গরম আবহাওয়া পছন্দ করে বলে এরা সাধারণত না শীত না গরম এমন সাগর এলাকায় বসবাস করে।
সাধারণ একটি উড়ন্ত মাছ লম্বায় ১৮-২৪ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। বড় প্রজাতির উড়ন্ত মাছ লম্বায় ২৩-৩৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়। উড়ন্ত মাছ পানির উপরে ভাসমান বস্তুর চারদিকে ডিম ছাড়ে। এই ভাসমান বস্তুর মধ্যে আছে মাছ-ধরা জাল, দড়ি, জলজ উদ্ভিদ, ভাসমান কাঠের টুকরো ইত্যাদি। আকার অনুযায়ী প্রতিটি স্ত্রী মাছ ৫ হাজার থেকে ১২ হাজার ডিম দেয় একসঙ্গে। স্ত্রী মাছ ভাসমান বস্তুর চারদিকে আঠালো ফিতার মতো ডিম পাড়ে। পুরুষ-মাছ এই ডিমের উপর তাদের শুক্রাণু ঢেলে দেয়। যার ফলে ডিম নিষিক্ত হয়। নিষিক্ত হওয়ার প্রায় ১০০ ঘণ্টা পরে ডিমের ভেতর থেকে বাচ্চা বেরিয়ে আসে। এই বাচ্চা মাছ সাগরের পানির উপর ভাসতে থাকে। ক’দিন বাদে কিছুটা বড় হয়ে অপরিণত উড়ন্ত মাছের আকার নেয়। প্রায়ই দেখা যায় জেলেরা সাগরের পানি থেকে জাল ও মাছকে আকৃষ্ট করার জন্য পাতা ভাসমান বস্তু তুলে নেয়। এতে জমে-থাকা অনেক ডিম নষ্ট হয়ে যায়। উড়ন্ত মাছের খাবার হচ্ছে ছোট ছোট মাছ। খাবার শিকার করে সাধারণত রাতে। এই মাছ ১ থেকে ৩ বছর পর্যন্ত বাঁচে।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
আফ্রিকা ভেঙে সৃষ্টি হচ্ছে এক নতুন মহাসাগর
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মৌমাছির বিষে এক ঘণ্টায় ধ্বংস স্তন ক্যানসার কোষ
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
১৩ বছরের অপেক্ষার পর দেখা মিললো বিশ্বের সবচেয়ে বিরল ফুলের
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সন্তানের উচ্চতা স্বাভাবিকভাবে বাড়বে যে ৩ ফলের রসে
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
শুক্র গ্রহে একদিন পৃথিবীর এক বছরের চেয়েও দীর্ঘ
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
১২ ঘণ্টা না খেয়ে থাকলে নিজেকে পরিষ্কার করতে শুরু করে মস্তিষ্ক -গবেষণা
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নাম দিয়েই জমির মালিকানা যাচাই করবেন যেভাবে?
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
হারিয়ে যাওয়া সুপারনোভার সন্ধান, পথ দেখালো ইসলামের স্বর্ণযুগের আরবি কবিতা
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
কোন বাদামের কেমন পুষ্টিগুণ, খাবেনই-বা কতটুকু?
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পৃথিবীতে প্রাণের প্রাচীনতম নিদর্শন আবিষ্কার!
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ইসবগুলের ভুসি কতটা কার্যকর?
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মহাকাশে এক নীরব সহযাত্রী পেলো পৃথিবী, উদ্বিগ্ন বিজ্ঞানীরা
২৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)












