চাকরি ছেড়ে ড্রাগন চাষে স্বপ্ন দেখছেন আশিকুল
এডমিন, ১১ই রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ০৫ তাসি, ১৩৯০ শামসী সন, ৩রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ খ্রি:, ২০ই মাঘ, ১৪২৯ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) তাজা খবর
কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার আশিকুল ইসলাম একটি বেসরকারি এগ্রো কোম্পানিতে চাকরি করতেন। নিজে কিছু করার ইচ্ছায় চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন, বাণিজ্যিকভাবে কৃষিকাজ শুরু করেছেন। ধান, গম ও প্রচলিত শস্যের পরিবর্তে উচ্চমূল্যের ফল চাষ করছেন তিনি।
এবছর ড্রাগন, কমলা, মালটা, পেয়ারা, কুলসহ লিচুর চাষ করেছেন। তবে ড্রাগনেই বেশি গুরুত্ব তার।
আশিকুলের বাড়ি মিরপুর উপজেলার আমলা ইউনিয়নের কুশাবাড়িয়া-চরপাড়া এলাকায়। তিনি এখন ঐ এলাকার একজন মডেল কৃষক। তার দেখাদেখি আরো অনেকেই করছেন আধুনিক ফসলের চাষাবাদ।
ড্রাগন বিদেশি ফল। বাজারে দাম ও চাহিদা ভালো হওয়ায় তিনি গতবছর এক বিঘা জমিতে ড্রাগনের আবাদ শুরু করেছেন। এবছর আরো এক বিঘাতে নতুন করে চারা রোপণ করেছেন এই ফলটির। প্রথম বছরেই ফল ধরেছিলো গাছে। এবছর আরো ভালো ফলনের আশা করছেন এই মডেল কৃষক।
আশিকুল ইসলাম বলেন, আমার কাছে চিরকালই চাষাবাদ ভালোলাগে। চাকরির সুবাদে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখেছি যে ড্রাগন ফল চাষ বেশ লাভজনক। অনেকদিন ধরে এই আবাদ করা সম্ভব। তবে খরচ একটু বেশি। একবার রোপণ করলে অনেক বছর ধরে এর ফল পাওয়া সম্ভব।
তিনি বলেন, চুয়াডাঙ্গা ঝিনাইদহের বিভিন্ন বাগানে ঘুরে দেখেছি, কৃষকদের সাথে কথা বলেছি। পরে আমি ঠিক করি আমিও ড্রাগন চাষ করবো। তাই আমি এই ফলের চাষ শুরু করেছি।
তিনি আরো বলেন, গত বছর এক বিঘা জমিতে আমি পিংক রোজ নামের ড্রাগনের চাষ করি। এবছর নতুন করে আরো এক বিঘা জমিতে রেড ভেলভেট জাতের ড্রাগনের চাষ করছি। এক বিঘা জমিতে ২২০টি ড্রাগনের খুঁটি দেওয়া আছে। প্রতিটি খুটিতে ৩-৪টি গাছ দেওয়া রয়েছে।
তিনি বলেন, ড্রাগনের জন্য বেলে-দোআঁশ মাটি বেশ ভালো। এর সাথে যদি এঁটেল মাটির মিশ্রন থাকে তাহলে আরো ভালো হয়। ড্রাগনের জন্য চারা বাইরে থেকে কেনার প্রয়োজন হয় না। একবার রোপণ করলে ঐ গাছ থেকেই কাটিং করে চারা তৈরি করা যায়। খুঁটি দিলে আশানুরুপ ফল পাওয়া যায়। সেই সাথে বাগানও সুন্দর হয়।
তিনি আরো বলেন, ড্রাগন চাষের খরচ অন্য ফসলের তুলনায় একটু বেশি। এক বিঘায় আমার ২ লাখ টাকার মতো খরচ হয়েছে। আশা করছি এ বছর ৮০০-৯০০ কেজি ড্রাগন পাবো। সেই সাথে আগামী বছর আরো বেশি ফলন পাবো। এবছর যে ড্রাগন হবে সেখানে ৭০% খরচ উঠে আসবে আশা করি। পরের বছর দ্বিগুণ ফলন দেবে। ড্রাগনকে ভালোমতো যতœ করলে ২০-২৫ বছর ধরে ফল দেয়।