চেতনাজীবি জাফর ইকবালের রাজাকারনামা (৩)
এডমিন, ৩০ ছফর শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৮ রবি’ ১৩৯১ শামসী সন , ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ০১ আশ্বিন, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) বিশেষ প্রতিবেদন

আল ইহসান ডেস্ক:
জাফর ইকবালের বড় ভাই হুমায়ুন আহমেদ তার এক বইয়ে লিখেছে, “১৬ ডিসেম্বর, ভোর। ১৯৭১। আমার বুক ধক ধক করছে। বাজিছে বুকে সুখের মতো ব্যথা। বিশ্বাসই হচ্ছে না, আমরা স্বাধীন। এখন আর মাথা উঁচু করে হাঁটতে সমস্যা নেই। ‘নিজের দেশের মাটি/দবদবাইয়া হাঁটি।’ আমি দবদবিয়ে হাঁটার জন্যে বের হলাম। প্রথমে খুঁজে বের করতে হবে আমার ছোট ভাইকে (জাফর ইকবাল)। শুনেছি, সে যাত্রাবাড়ীতে আছে। গর্তে বাস করে। যাত্রাবাড়ীতে আমার দূরসম্পর্কের এক মামা বাড়ির পেছনে গর্ত করেছেন। তিনি তাঁর স্ত্রী এবং দুই ছেলে নিয়ে গর্তে বাস করেন। জাফর ইকবাল যুক্ত হয়েছে তাদের সঙ্গে।” (সূত্র: বইয়ের নাম- কত না অশশ্রুজল।)
রাজাকার নানার বাড়িতে সপরিবারে পালিয়ে আশ্রয়,
রাজাকার সেজে থাকার জন্য রাজাকার পরিচালিত মাদরাসায় ভর্তির চেষ্টা,
এরপর মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের শেষ দিন পর্যন্ত গর্তে লুকিয়ে থাকা,
এতএত কাপুরুষোচিত জীবন, অথচ এই জাফর ইকবালরাই আজ স্বাধীনতার চেতনা ফেরি করে বুক ফাটায়।