ছহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ ইসলামী আক্বীদার গুরুত্ব, প্রয়োজনীয়তা ও আহকাম (২৬)
, ২১ শাবান শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৪ আশির, ১৩৯১ শামসী সন , ০৩ মার্চ, ২০২৪ খ্রি:, ১৯ ফাল্গুন, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
![ছহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ ইসলামী আক্বীদার গুরুত্ব, প্রয়োজনীয়তা ও আহকাম (২৬)](https://www.al-ihsan.net/uploads/1709409056_ শরীফ.jpg)
وَإِنَّ عَلَيْكَ لَعْنَتِي إِلَى يَوْمِ الدِّينِ
“মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, হে ইবলীস! তোমার জন্য অনন্তকাল ধরে লা’নত। ইবলীসের জন্য লা’নত কেন? সে কি অনেক হারাম কাজ করেছিলো? সে তো অনেক হারাম কাজ করেনি। সে কিন্তু ছয় লক্ষ বৎসর ইবাদত-বন্দেগী করেছে, হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালামগণ উনাদের সে মুআল্লিম ছিলো, ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে সে তা’লীম দিয়েছে। সে ওস্তাদ ছিলো, শিক্ষক ছিলো। এবং এই ছয় লক্ষ বৎসরে সে আসমান-যমীন, আরশ-কুরসী, লওহো-কলম, বেহেশত-দোযখ সব দেখেছে। একটা মাত্র আদেশ সে অমান্য করেছে। মহান আল্লাহ পাক তিনি বললেন-
وَإِذْ قُلْنَا لِلْمَلَائِكَةِ اسْجُدُوا لِآدَمَ فَسَجَدُوا إِلَّا إِبْلِيسَ أَبَى وَاسْتَكْبَرَ
মহান আল্লাহ পাক তিনি যখন বললেন, হে হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম! আপনারা সকলেই ইবলীসসহ আমার খলীফা হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনাকে সিজদা করুন, সকলেই করলো, ইবলীস করলো না। সে অস্বীকার করলো, অহঙ্কার করলো। ব্যাস! এতটুকুই। এই অস্বীকার, অহঙ্কার করার কারণে মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে বেয়াদবি করলো। মহান আল্লাহ পাক তিনি ঘোষণা দিলেন-
وَإِنَّ عَلَيْكَ لَعْنَتِي إِلَى يَوْمِ الدِّينِ
ইবলীস তোমার জন্য অনন্তকাল ধরে লা’নত।
এখন সেটা যদি এভাবে হয়ে থাকে। তাহলে ফিকির করতে হবে, ইবলীস তার আক্বীদা নষ্ট করে ফেললো। অথচ তার আমল ছিলো, আক্বীদা অশুদ্ধ হওয়ার কারণে অনন্তকালের জন্য সে জাহান্নামী হয়ে গেলো। তাহলে এখন যারা দাবি করে থাকে, তারা আমলের দ্বারা নাযাত লাভ করবে অথচ তাদের আক্বীদা নষ্ট হয়ে গেছে। যেমন তারা মনে করে থাকে, ছবি তোলা জায়িয। মনে করে থাকে, খেলাধুলা জায়িয। মনে করে থাকে, বেপর্দা জায়িয। মনে করে থাকে, টিভি চ্যানেল জায়িয, গান-বাজনা জায়িয। তাহলে তাদের ফায়সালা কি হবে? তারা তো ইবলীসের ক্বায়িম-মাক্বাম হবে। এতে তো কোনো সন্দেহ নেই। ইবলীস তো বলবে ক্বিয়ামতের দিন, হে বারে ইলাহী! ইবলীস একটা হারাম কাজ করেছে যার জন্য তার ছয় লক্ষ বৎসর ইবাদত-বন্দেগী বাদ হয়ে গেলো, চির জাহান্নামী সে হয়ে গেলো, তাহলে উলামায়ে ‘সূ’ যারা, যমীনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত উলামায়ে ‘সূ’ এরা যে হাজার হাজার হারাম কাজ করলো, কুফরী করলো, হারাম বেপর্দাকে জায়িয করলো, ছবিকে জায়িয করলো, গান-বাজনাকে জায়িয করলো, টিভি চ্যানেলকে জায়িয করলো, খেলাধুলাকে জায়িয করলো, এই সমস্ত উলামায়ে ‘সূ’ এখন কোথায় থাকবে হে মহান আল্লাহ পাক? এদের তাহলে ইবলীসের সাথে থাকতে হবে বরং ইবলীসের চাইতে বেশি তাদের শাস্তি হওয়া উচিত। ইবলীস তো একটা হারাম কাজ করেছে। এরা তো অনেক, লক্ষ কোটি হারাম কাজ করে যাচ্ছে। নাঊযুবিল্লাহ! এরা মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে অনুসরণ না করে অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক তিনি যে বললেন, আমার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে অনুসরণ করো। তারা তা না করে জাতী হিন্দু দাবীদার মুসলিম বিদ্বেষী কাট্টা কাফির গান্ধীকে অনুসরণ করে হরতাল করে। নাঊযুবিল্লাহ! কাট্টা নাস্তিক মুসলিম বিদ্বেষী মাওসেতুং সে লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি মুসলমানকে শহীদ করেছে। সেই মাওসেতুংকে অনুসরণ করে তারা লংমার্চ করে। নাউযুবিল্লাহ! আব্রাহাম লিংকন যে অর্ধেক ইহুদী, অর্ধেক খৃস্টান, অবৈধ সন্তান, তার মা ইহুদী সেও অবৈধ, তাকে অনুসরণ করে তার রচিত আধুনিক গণতন্ত্র তারা পালন করে থাকে। নাঊযুবিল্লাহ! তাহলে এই সমস্ত উলামায়ে ‘সূ’রা কি করে মুসলমান হিসেবে সাব্যস্ত হতে পারে। এরা দুনিয়া হাছিল করার জন্য গইরুল্লাহকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে। আর এই সমস্ত সাধারণ মুসলমান যারা রয়েছে তারা তাদের সরলতার কারণে উলামায়ে সূদের দ্বারা ধোঁকা খেয়ে বিভ্রান্ত হচ্ছে। কিন্তু এই ধোঁকায় ধোঁকা খেয়ে বিভ্রান্ত হলে কাজ কিন্তু হবে না। মাফ কিন্তু পাওয়া যাবে না। (অসমাপ্ত)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ছবি তোলা শক্ত হারাম, রয়েছে কঠিন শাস্তি
২৭ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
তরজমাতুল মুজাদ্দিদিল আ’যম আলাইহিস সালাম
২৭ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৭ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
২৭ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
কাফির-মুশরিক, বেদ্বীন-বদদ্বীনদের সঙ্গে কখনই মুহব্বত করা ও সাদৃশ্য রাখা যাবে না
২৬ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
অন্যায়কে ঘৃণা না করলে ঈমানদার থাকা যায় না
২৬ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
তা’বীয ও ঝাড় ফুঁক সম্পর্কে শরয়ী ফায়সালা (৪)
২৬ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৬ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৬ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৬ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৬ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
২৬ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)