মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘তোমরা (পবিত্র হজ্জ ও পবিত্র কুরবানী উনাদের) নির্দিষ্ট কয়েক দিন মহান আল্লাহ পাক উনাকে স্মরণ করো।’
ছহীহ ও গ্রহণযোগ্য ফতওয়া হলো- পবিত্র ৯ই যিলহজ্জ শরীফ ফজর হতে পবিত্র ১৩ই যিলহজ্জ শরীফ আছর পর্যন্ত প্রত্যেক পুরুষ-মহিলা, মুকীম-মুসাফির, একা বা জামায়াতে, শহরে-গ্রামে প্রত্যেকের জন্যই প্রতি ফরয নামাযের পর একবার তাকবীরে তাশরীক পাঠ করা ওয়াজিব আর তিনবার পাঠ করা মুস্তাহাব।
তাই, আগামীকাল ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) পবিত্র ফজর থেকে আগামী ইয়াওমুল খমীস (বৃহস্পতিবার) পবিত্র আছর পর্যন্ত মোট ২৩ ওয়াক্ত ফরয নামাযের পর তাকবীরে তাশরীক পাঠ করতে হবে। তাকবীরে তাশরীক হলো- ‘আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদ।’
, ০৮ যিলহজ্জ শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৭ আউওয়াল, ১৩৯২ শামসী সন , ১৫ জুন, ২০২৪ খ্রি:, ০১ আষাঢ়, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) মহাপবিত্র ক্বওল শরীফ-১
রহমাতুল্লিল ‘আলামীন, ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, ইমামুল আইম্মাহ্, মুজাদ্দিদুয যামান, কুতুবুল আলম, মুহইউস সুন্নাহ, মাহিউল বিদয়াহ, গাউছুল আ’যম, আযীযুয যামান, ক্বইউমুয যামান, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, আস সাফফাহ, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, তাকবীরে তাশরীক উনার উৎপত্তি ইতিহাস সম্পর্কে বলা হয়, মহান আল্লাহ পাক উনার খলীল আলাইহিস সালাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট দোয়া করলেন, হে বারে ইলাহী! আমাকে একজন নেক সন্তান হাদিয়া করুন। মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত খলীলুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকে একজন ধৈর্যশীল সন্তান হাদিয়া করার সুসংবাদ প্রদান করেন। অর্থাৎ হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র বিলাদত শরীফ সম্পর্কে সুসংবাদ হাদিয়া করেন।
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, অতঃপর হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করলেন এবং যখন হাঁটাহাঁটির বয়সে উপনীত হলেন তখন হযরত খলীলুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকে মিনায় নিয়ে গিয়ে বললেন, ‘হে আমার প্রিয় বৎস! আমি স্বপ্নে দেখেছি যে, আমি আপনাকে যবেহ বা পবিত্র কুরবানী করছি। এ ব্যাপারে আপনার অভিমত কি?’ হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি জবাব দেন, ‘হে আমার সম্মানিত পিতা! আপনাকে যা ওহী মুবারক করা হয়েছে আপনি তা বাস্তবায়িত করুন। ইনশাআল্লাহ আপনি আমাকে ধৈর্যশীলদের অন্তর্ভুক্ত পাবেন।’ সুবহানাল্লাহ!
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, অতঃপর হযরত খলীলুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি যখন হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার গলা মুবারক উনার মধ্যে ছুরি চালাতে থাকেন; মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত! যতই ছুরি চালানো হচ্ছে হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার গলা মুবারক কিন্তু কাটছে না। সুবহানাল্লাহ! হযরত খলীলুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি ছুরির ধার পরীক্ষা করার জন্য ছুরিটি একটি পাথরে আঘাত করলেন। সাথে সাথে পাথরটি দ্বিখ-িত হয়ে গেলো। হযরত খলীলুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি বললেন, হে ছুরি! তুমি পাথরকে দ্বিখ-িত করে দিলে অথচ হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার গলা মুবারক কাটতে পারছো না? মহান আল্লাহ পাক তিনি ছুরির যবান খুলে দেন। ছুরি বললো, ‘হে মহান আল্লাহ পাক উনার হযরত খলীল আলাইহিস সালাম! আপনি একবার কাটার জন্য আদেশ মুবারক করেন আর আমার রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাকে ৭০ বার কাটতে নিষেধ মুবারক করছেন। সুবহানাল্লাহ!
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, হযরত খলীলুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকে যবেহ করার চেষ্টায় নিয়োজিত ছিলেন ঠিক এমতাবস্থায় মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম উনাকে বেহেশত থেকে একটি দুম্বা এনে হযরত খলীলুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার নিকট দেয়ার নির্দেশ মুবারক দিলেন। হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম তিনি যখন দুম্বা নিয়ে সেখানে উপস্থিত হয়ে দেখলেন, হযরত খলীলুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার প্রাণাধিক প্রিয় সন্তান হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার গলা মুবারক উনার মধ্যে ছুরি মুবারক চালাচ্ছেন। হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম তিনি আশ্চর্যান্বিত হয়ে মহান আল্লাহ পাক উনার বড়ত্ব, মহত্ব প্রকাশ করতে গিয়ে বলে উঠলেন, ‘আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার।’ একথা বলে হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম তিনি হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনাকে সরিয়ে ছুরির নিচে দুম্বাটি দিয়ে দিলেন। হযরত খলীলুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি বিষয়টি বুঝতে পেরে তখন তিনিও মহান আল্লাহ পাক উনার একত্ববাদের ঘোষণা দিয়ে বললেন, ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু, ওয়াল্লাহু আকবার’। এদিকে হযরত যাবীহুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনিও যখন বুঝতে পারলেন যে, তিনি যবেহ না হয়ে উনার পরিবর্তে একটি দুম্বা যবেহ হচ্ছে তিনিও তখন মহান আল্লাহ পাক উনার প্রশংসা করে বললেন, আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদ।’ সম্মানিত শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে এটাই তাকবীরে তাশরীক।’ সুবহানাল্লাহ!
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র যিলহজ্জ শরীফ মাস উনার ৯ তারিখ পবিত্র ফজর থেকে ১৩ তারিখ পবিত্র আছর পর্যন্ত মোট ২৩ ওয়াক্ত ফরয নামায উনার পর তাকবীরে তাশরীক পাঠ করা সম্মানিত শরীয়ত উনার নির্দেশ মুবারক। পুরুষ হোক, মহিলা হোক, শহরে হোক, গ্রামে হোক, মুক্বীম হোক, মুসাফির হোক, একা হোক বা জামায়াতে হোক প্রত্যেকের জন্য প্রত্যেক অবস্থায় প্রতি ফরয নামাযের পর একবার তাকবীর পাঠ করা ওয়াজিব আর তিনবার পাঠ করা সুন্নত। যা এ বছরের (অর্থাৎ ১৪৪৫ হিজরীর) জন্য আগামীকাল ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) পবিত্র ফজর থেকে আগামী ইয়াওমুল খমীস (বৃহস্পতিবার) পবিত্র আছর পর্যন্ত।
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, কেউ কেউ বলে ‘তাকবীর’ একবার পাঠ করতে হবে; তিনবার পাঠ করা যাবে না- তাদের কথা সম্পূর্ণ অশুদ্ধ ও দলীলবিহীন।
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সর্বজনমান্য এবং স্বীকৃত ইমাম-মুজতাহিদ ও ফুক্বাহায়ে কিরামগণ উনাদের বিশ্ববিখ্যাত ফতওয়ার কিতাবে একাধিকবার তাকবীরে তাশরীক বলা মুস্তাহাব বা ফযীলতের কারণ বলে উল্লেখ করেছেন। যেমন, “দুররুল মুখতার” কিতাব উনার মধ্যে উল্লেখ আছে যে, “তাকবীরে তাশরীক একবার বলা ওয়াজিব, তবে যদি (কেউ) একাধিকবার বলে, তাহলে তা ফযীলতের কারণ হবে।” আর “ফতওয়ায়ে শামীতে” উল্লেখ আছে, “কেউ কেউ বলেছেন (তাকবীরে তাশরীক) তিনবার।”
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, “গায়াতুল আওতার”, “শরহে দুররুল মুখতার” কিতাব উনার মধ্যে উল্লেখ আছে, “বিশুদ্ধ বর্ণনা মতে (মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে) আদিষ্ট হওয়ার কারণে একবার তাকবীরে তাশরীক বলা ওয়াজিব। আর যদি একবারের চেয়ে অতিরিক্ত বলে তবে ছওয়াবের অধিকারী হবে।” “মুলতাক্বাল আবহুর” কিতাব উনার মধ্যে উল্লেখ আছে, যদি “তাকবীরে তাশরীক” একাধিকবার বলে তাহলে তা মুস্তাহাব বা সুন্নত হবে। “মারাকিউল ফালাহ” কিতাব উনার ৩৫১ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে, “সাধারণভাবে একাধিকবার “তাকবীরে তাশরীক পড়া মুস্তাহাব-সুন্নত।” “শরহে নেকায়া” কিতাব উনার মধ্যে ৩০৭ পৃষ্ঠায় উল্লেখ আছে, “তাকবীরে তাশরীক একবার পাঠ করা ওয়াজিব। আর একাধিকবার পাঠ করা মুস্তাহাব।”
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলকথা হলো- ছহীহ ও গ্রহণযোগ্য ফতওয়া হলো- পুরুষ হোক, মহিলা হোক, মুক্বীম হোক, মুসাফির হোক, একা হোক বা জামায়াতে হোক, শহরে হোক, গ্রামে হোক, প্রত্যেকের জন্য প্রতি ফরয নামায উনার পর একবার তাকবীরে তাশরীক পাঠ করা ওয়াজিব আর তিনবার পাঠ করা সুন্নত। যারা এর ব্যতিক্রম বলে তাদের কথা সম্পূর্ণ অশুদ্ধ ও দলীলবিহীন।
-০-
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
আগামীকাল দিবাগত সন্ধ্যায় পবিত্র রজবুল হারাম শরীফ মাসের চাঁদ তালাশ করতে হবে। যদি চাঁদ দেখা যায় তবে আগামীকাল দিবাগত রাতটিই হবে পবিত্র রজবুল হারাম শরীফ মাস উনার পহেলা রাত অর্থাৎ মহাপবিত্র দুয়া কবুলের খাছ রাত। সুবহানাল্লাহ! আর ইয়াওমুল খমীস (বৃহস্পতিবার) দিবাগত রাত বা জুমুয়ার রাতটি হবে বার হিসেবে মহাপবিত্র লাইলাতুর রগায়িব শরীফ। সুবহানাল্লাহ! তাই প্রত্যেকের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- পবিত্র রজবুল হারাম শরীফ মাস উনার চাঁদ শরঈ তারতীব অনুযায়ী তালাশ করা এবং উক্ত মহাপবিত্র রাতে ইবাদত-বন্দেগী, তওবা ইস্তেগফার ও দুয়া করা, আর পরের দিন রোযা রাখা।
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মহাসম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার ফতওয়া অনুযায়ী- মুসলমানদের জন্য বিধর্মীদেরকে অনুসরণ-অনুকরণ করা, তাদের সাথে মিল-মুহব্বত রাখা, বন্ধুত্ব করা জায়িয নেই বরং কাট্টা হারাম ও কুফরী। তাই সকল মুসলমানের জন্য ফরয হচ্ছে, প্রত্যেক অবস্থায় এবং দায়িমীভাবে সমস্ত বিধর্মীদের সর্বপ্রকার নিয়ম-নীতি, তর্জ-তরীক্বা থেকে আন্তরিকভাবে দূরে থাকা।
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
বাংলাদেশে পবিত্র রজবুল হারাম শরীফ মাস উনার চাঁদ তালাশ করতে হবে- আগামী ২৯শে জুমাদাল ঊখরা শরীফ ১৪৪৭ হিজরী, ২২শে সাবি’ ১৩৯৩ শামসী, ২১শে ডিসেম্বর ২০২৫ খৃঃ, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) দিবাগত সন্ধ্যায়। দেশের অনেকেই কোন্টি হিজরী সনের প্রথম মাস সেটি জানে না। নাঊযুবিল্লাহ! আরবী মাস কখন শুরু হচ্ছে এবং কখন শেষ হচ্ছে, সে ব্যাপারেও থাকে সম্পূর্ণ বেখবর। নাঊযুবিল্লাহ!
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
অনন্তকালব্যাপী জারীকৃত সুমহান বরকতময় মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনাকে হাক্বীক্বী তা’যীম-তাকরীম করতে পারলেই- দেশের স্বাধীনতা রক্ষা করা, সার্বিক শান্তি ও কল্যাণ লাভ করা এবং বিজয় দিবসের যথাযথ সম্মান করা সহজ ও সম্ভব হবে। সুবহানাল্লাহ! কাজেই সরকার ও জনগণ সকলের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- অনন্তকালব্যাপী জারীকৃত মহাসম্মানিত সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনাকে তা’যীম-তাকরীম করা এবং উনার সম্মানার্থে সর্বপ্রকার হারাম-নাজায়িয ও শরীয়ত বিরোধী কাজ অর্থাৎ গান-বাজনা, বেপর্দা-বেহায়াপনা, ছবি, মূর্তি, ভাস্কর্য ইত্যাদি হারাম কাজ থেকে নিজে বিরত থাকা ও জনগণকে বিরত রাখা।
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
আজ সুমহান বরকতময় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২৩শে জুমাদাল ঊখরা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, আত্বওয়ালু ইয়াদান, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আস সাবি’য়াহ আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ! তাই সকলের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- এ মহান দিবস উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করার পাশাপাশি উনাকে মুহব্বত করা, অনুসরণ-অনুকরণ করা ও উনার যথাযথ খিদমত মুবারক উনার আনজাম দেয়া।
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
আজ সুমহান বরকতময় ২২শে জুমাদাল ঊখরা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! খলীফাতু রসূলিল্লাহ সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ! পাশাপাশি খলীফায়ে ছানী, আমীরুল মু’মিনীন, সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত খিলাফত মুবারক উনার দায়িত্ব গ্রহণের সুমহান দিন। সুবহানাল্লাহ!
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
আজ সুমহান বেমেছাল ফযীলতপূর্ণ ২১শে জুমাদাল ঊখরা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা, সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ! এ দিনটি সকলের জন্য সুমহান ঈদ বা খুশির দিন। অর্থাৎ পবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ। সুবহানাল্লাহ!
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আজ সুমহান বরকতময় মহাপবিত্র ২০শে জুমাদাল ঊখরা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা, আন নূরুর রবি’য়াহ, সাইয়্যিদাতুনা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ! পাশাপাশি উনার সম্মানিত আওলাদ সাইয়্যিদাতুনা হযরত সিবত্বতু রসূল আছ ছালিছাহ আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ! যা কুল-কায়িনাতের সকলের জন্যই সুমহান ঈদ বা খুশির দিন। সুবহানাল্লাহ!
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার হাবীব ও মাহবুব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান মুবারক উনার খেলাফ কোনো বিষয় কখনোই বরদাশত করেন না। তাই বর্তমানে যারাই উনার মহান শান মুবারক উনার খিলাফ কথা বলবে এবং মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার বিরোধীতা করবে তারা কাট্টা কাফির আবূ লাহাবের ন্যায় গযবে পড়ে ধ্বংস হয়ে যাবে। প্রত্যেক মুসলমানের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হলো- নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহান শান মুবারক সম্পর্কে কটূক্তির বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিবাদ করা।
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহাসম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- শরাব বা মদসহ সর্বপ্রকার মাদকদ্রব্য বা নেশা জাতীয় দ্রব্যই হারাম। অথচ বাংলাদেশে সরাসরি শরাব বা মদ তো বিক্রি হচ্ছেই; এমনকি কোমল পানীয় ও এনার্জি ড্রিংকসের নামেও প্রকাশ্যে শরাব বা মদ অর্থাৎ মাদকদ্রব্য বিক্রি হচ্ছে। নাঊযুবিল্লাহ! প্রায় ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত এদেশে কোনো মতেই কোনো মোড়কেই শরাব বা মদ অর্থাৎ মাদকদ্রব্য বা নেশা জাতীয় দ্রব্য চলতে পারে না এবং শরাব বা মদ তৈরির অনুমতিও সরকার দিতে পারে না।
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সালাম আদান-প্রদান করা হচ্ছে ‘শিয়ারুল ইসলাম’। সুবহানাল্লাহ! মহাসম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- এক মুসলমান আরেক মুসলমানকে সালাম দেয়া খাছ সুন্নত। আর ‘সালাম’ উনার জাওয়াব দেয়া হচ্ছে ওয়াজিব। সুবহানাল্লাহ! তাই প্রত্যেকের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- কাফির-মুশরিক, বেদ্বীন-বদদ্বীনদের নিয়ম-নীতি, তর্জ-তরীক্বা বাদ দিয়ে মহাপবিত্র সুন্নত তরীক্বা অনুযায়ী পরস্পর-পরস্পরকে সালাম আদান-প্রদান করা। যা ইহকাল ও পরকালে বেমেছাল রহমত-বরকত ও সাকীনা লাভের কারণ হবে।
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি “ইছনাইনিল আযীম শরীফ” (সোমবার) মহাপবিত্র ও মহাসম্মানিত নূরুত তাশরীফ মুবারক প্রকাশ করার কারণে এ মুবারক দিবসটি হচ্ছেন- সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার অন্তর্ভুক্ত। তাই কুল-কায়িনাতের সকলের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- প্রতিটি সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ বা মহাসম্মানিত মহাপবিত্র ইছনাইনিল আযীম শরীফ উনাকে মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ হিসেবে উদযাপন করা। সুবহানাল্লাহ!
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)












