জাতীয় মাছ ইলিশ ক্রমসাই দুস্প্রাপ্য হয়ে পড়েছে। ইলিশ উৎপাদন ও প্রজননে সমন্বিত ও সক্রিয় প্রক্রিয়া চালাতে হবে ইনশাআল্লাহ।
, ১৪ মুহররমুল হারাম শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ০৩ ছালিছ, ১৩৯১ শামসী সন , ০২ আগস্ট, ২০২৩ খ্রি:, ১৮ শ্রাবণ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) সম্পাদকীয়
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় বলছে, বাংলাদেশে প্রায় ৭৩৫ প্রজাতির মাছ পাওয়া যায়।
তবে শত শত বছর ধরে পদ্মার ইলিশের স্বাদ ছিল বিখ্যাত। দেখতে উজ্জ্বল আর বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায়। কোনো চাষাবাদ ছাড়াই এই মাছ সহজে ধরা যায়। এসব বিবেচনা করে ইলিশকে জাতীয় মাছ করা হয়েছে।
২০০৬ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে দেশে ইলিশের উৎপাদন দুই লাখ টন থেকে প্রায় ছয় লাখ টনে পৌঁছায়। ঢাকা শহরের মধ্যবিত্তের পাশাপাশি মফস্বলের মধ্যবিত্ত, এমনকি গ্রামীণ মধ্যবিত্তের পাতে ইলিশ স্থান পেতে থাকে।
সর্বাপেক্ষা বেশি ইলিশ পাওয়া যায় বাংলাদেশে (৮৬.৭%)। তারপর ক্রমে ভারত (৮%), মায়ানমার (৪%), ইরান (১.১%). ইরাক (০.২%), পাকিস্তান (০.১%), কুয়েত (০.০৩%)। ভারতের দক্ষিণ-পশ্চিমে জুলাই থেকে আগস্ট মাসের মধ্যে সাগর থেকে মোহানা হয়ে ইলিশ নদীতে ঢোকে। মিষ্টি জলে ডিম ছেড়ে সমুদ্রে ফিরে যায় অর্থাৎ প্রজনন ও স্পনিংয়ের জন্য।
তাই বলতে হয় বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের অধিকার আছে ইলিশ মাছ খাওয়ার। ভৌগোলিক নির্দেশক হিসেবে ইলিশ মাছকে আমাদের দেশের মাছ মনে করা হয়। জলবায়ু পরিবর্তন, প্রাকৃতিক দূষণ ও পানি দূষণের ফলে ইলিশের প্রজনন বৃদ্ধিসহ নানা রকম জটিলতা তৈরি হচ্ছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ইলিশের মজুদের বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন হতে পারে। ইলিশের ঝাঁক মোহনার দিক পরিবর্তন করে নিম্নাঞ্চলে যেতে পারে, সাধারণ জেলে যারা ইলিশ মাছের সাথে জড়িত তারা সংখ্যায় কম মাছ পাবে। মাছ জেলেদের হাতের বাইরে চলে যাবে, বঙ্গোপসাগরের সাইক্লোন বা বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে। ইলিশের প্রজনন ক্ষমতা কমে যায়, গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা এই তিনটি নদীর মোহনায় পানি প্রবাহ কমে গেলে। ইলিশের প্রজনন ক্ষমতা কমে আসবে, কলকারখানার বর্জ্য বা কীটনাশকসহ পানি দূষণের ফলে।
প্রকৃতিগত ভাবেই ইলিশ মাছ দ্রুত দেশ্রুপন্তরকারী মাছ। অত্যধিক মাত্রায় পানি দূষণ ও পানিতে বিভিন্ন রকম রাসায়নিক পদার্থ মিশে যাওয়ার ফলে ইলিশ দ্রুতই দেশ রূপান্তর করতে পারে। ইলিশ মিঠা পানিতে ডিম পাড়ে এবং পরবর্তীতে নোনা পানিতে চলে যায়। একটি মা ইলিশের ডিম ধারণ করার ক্ষমতা ১৫ থেকে ২০ লাখ।
জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি দূষণের কারণে ইলিশের প্রজনন ক্ষমতা দিন দিন কমে বর্তমানে ১২ লাখ এসে দাঁড়িয়েছে। ইলিশ মাছ সাগরে থাকলেই ধরা পড়ে না। অনেক সময় ইলিশ মাছ গভীর পানি থেকে উঠে আসে না। এর জন্য প্রয়োজন অনুকূল আবহাওয়া। যেমন পর্যাপ্ত বৃষ্টি, পানির চাপ, খাদ্য ইত্যাদি। এই মাছের প্রথম দাবিদার হচ্ছেন অতিদরিদ্র জেলেরা তাদের জন্যই মাছ সংরক্ষণ করা হয়। প্রকৃতির এক আজব নিয়ম, মাছ না ধরলে এটা পাকৃতিকভাবেই শেষ হয়ে যাবে।
মৎস্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, ২০২০-২১ অর্থবছরে ইলিশ আহরণ করা হয়েছে ৫.৬৫ লাখ টন, যা ছিল এ যাবৎকালের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে ২০১৯-২০ অর্থবছরে ইলিশের উৎপাদন ছিল ৫.৫ লাখ টন, ২০১৮-১৯-এ ছিল ৫.৩৩ লাখ টন, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ছিল ৫.১৭ টন, ২০১৬-১৭ সালে ছিল ৪.৯৬ লাখ টন। চলতি বছর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় পৌনে ছয় লাখ টন। ২০১৫ সালেও জুলাই থেকে ইলিশ আসত। এর পর থেকে প্রতি বছরই ইলিশ ক্রমান্বয়ে একটু দেরিতে আসছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবেও এটি হতে পারে। এ বছর মার্চ-এপ্রিলে বৃষ্টিই ছিল না। বৃষ্টি হয়েছে জুন-জুলাইয়ের দিকে। ইলিশ আসার উপযুক্ত পরিবেশ তো থাকতে হবে। কয়েক বছর ধরে নভেম্বর-ডিসেম্বরে প্রচুর ইলিশ মিলছে। তবে মোট উৎপাদন নির্ধারিত হয় সারা বছরের হিসাব দিয়ে। সরকারি গবেষণায় জানা গেছে, জলবায়ু পরিবর্তন, অনাবৃষ্টি, বর্জ্য থেকে পানিদূষণ, নির্বিচারে পোনা নিধন ও অভয়াশ্রমের প্রবেশপথ ভরাট হওয়ার কারণে ইলিশ হুমকিতে আছে। চাঁদপুর নদী কেন্দ্রে ইলিশ গবেষণা জোরদারকরণ (দ্বিতীয় সংশোধিত) প্রকল্পের গত বছরের এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে ইলিশের খাদ্যের মধ্যে শৈবালের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি, ৪২ শতাংশ। পরীক্ষা করে ইলিশের পেটে বালু ও ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে। এসবের পরিমাণ ৩৬ শতাংশ। গবেষকরা বলছেন, বেপরোয়া বালু উত্তোলন ছাড়াও নদীর গতি-প্রকৃতি পরিবর্তন এবং পানিতে তৈলাক্ত ও বিষাক্ত সামগ্রী ফেলার কারণে ইলিশের গঠন ও স্বাদের ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়ছে। দেশের নদনদীগুলোতে অপরিপক্ব প্রায় ২৭ শতাংশ ইলিশের পেটে ডিম পাওয়া যাচ্ছে। এমনকি ১৭ সেন্টিমিটার পর্যন্ত ইলিশের পেটেও ডিম হচ্ছে। এটিকে অদূর ভবিষ্যতে ইলিশ উৎপাদনের ক্ষেত্রে বড় ধরনের হুমকি হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। অল্প বয়েসেই ইলিশের পেটে ডিম চলে আসার পেছনে তারা প্রাথমিকভাবে দুটি কারণ খুঁজে পেয়েছেন। একটি হলো- খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন। এ ক্ষেত্রে তাপমাত্রাও প্রভাবক হিসেবে কাজ করছে। অন্যটি হলো চলাচলে পরিবর্তন (ইনকমপ্লিট মাইগ্রেশন)।
বিদ্যুৎকেন্দ্র, উন্নয়ন প্রকল্প ও শিল্পায়নের ফলে নদীর পানিদূষণ ইলিশকে পথ পরিবর্তনে বাধ্য করছে।
দক্ষিণাঞ্চলে প্রচুর তরমুজ চাষ হচ্ছে। সেখানে কীটনাশক ও রাসায়নিক ব্যবহার হয়, যা ইলিশের জন্য ক্ষতিকর।
ইলিশ মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য গণসচেতনতা সবচেয়ে জরুরি। বাংলার এই রুপালি ইলিশ নিয়ে আরও বিস্তৃত পর্যায়ে গবেষণা প্রয়োজন। পানি দূষণ রোধ, পানিতে যেন বর্জ্য পদার্থ, রাসায়নিক দ্রব্যাদি এছাড়াও কোন ধরনের দূষণ না ঘটে সেদিকে বিশেষ নজরদারি জোরদার করতে হবে।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। (আমীন)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
বন্যা পরবর্তী পূণর্বাসন বন্যায় দুর্ভোগের চেয়েও কঠিন বন্যা দুর্গতদের এ কঠিন লড়াইয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে হবে ইনশাআল্লাহ
১৫ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
আসন্ন অর্থনৈতিক মহা বিপর্যয় ঠেকাতে গার্মেন্টস অস্থিরতা এক্ষনই বন্ধ করতে হবে ইনশাআল্লাহ
১৫ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
খাবারে ঢুকছে প্লাস্টিক কণা, বিপর্যয়ের মুখে জনস্বাস্থ্য। স্থায়ী বিকলাঙ্গতা ও স্বাস্থ্যহানির শঙ্কায় দেশের জনগণ। বিষয়টি ভয়াবহ- সত্বর গুরুত্বের সাথে নজর দিন।
১৪ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
খাবারে ঢুকছে প্লাস্টিক কণা, বিপর্যয়ের মুখে জনস্বাস্থ্য। স্থায়ী বিকলাঙ্গতা ও স্বাস্থ্যহানির শঙ্কায় দেশের জনগণ। বিষয়টি ভয়াবহ- সত্বর গুরুত্বের সাথে নজর দিন।
১৪ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
খাবারে ঢুকছে প্লাস্টিক কণা, বিপর্যয়ের মুখে জনস্বাস্থ্য। স্থায়ী বিকলাঙ্গতা ও স্বাস্থ্যহানির শঙ্কায় দেশের জনগণ। বিষয়টি ভয়াবহ- সত্বর গুরুত্বের সাথে নজর দিন।
১৪ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
বাংলাদেশে মিডিয়াগুলো ইহুদীদের অদৃশ্য ইশারায় দেশে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার বিরূপ পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাইছে। বাংলাদেশের মুসলমানদের উচিত- দেশের সব মিডিয়া বর্জন করে আলাদাভাবে সম্মানিত ইসলামী মিডিয়া গঠন করা।
১৪ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিতে ব্যয় বাড়লেও সুবিধার বাইরে ৭১ ভাগ দরিদ্র জনগোষ্ঠী। দারিদ্রের যাঁতাকল থেকে জনগণকে বের করে না আনলে দেশ ধীরে ধীরে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হবে।
১৩ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
হোটেল-রেস্তোরাঁয় দেদারসে বিক্রি হচ্ছে মরা মুরগি। দেখার কেউ নেই।
১৩ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
কথিত ফ্যাসিষ্ট সরকারের আমলের চেয়েও উর্ধ্বমূখী বর্তমান বাজার দর। বাজার নিয়ন্ত্রণে উপদেষ্টা সরকারের ব্যর্থতা জনগণকে সংক্ষুব্ধ করছে। এক্ষুনি এর উপশম না হলে ছাত্র জনতার বিপ্লব চরম ব্যর্থ বলে প্রতিপন্ন হবে। আবার ছাত্র জনতা মাঠে নামবে ইনশাআল্লাহ।
১২ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
দুরাবস্থায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উদ্যোক্তারা অন্যসব সরকারের মত বর্তমান উপদেষ্টারাও গুরুত্ব দিচ্ছে না
১২ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আসইয়াদ, সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ, মহাসম্মানিত রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার মহিমান্বিত, মহাপবিত্র ৭ তারিখ উনার সাথে সম্পর্কযুক্ত পবিত্র ৭ই রবীউছ ছানী শরীফ আজ।
১১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
শিশুদের খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা মূলতঃ এদেশের শিশু মৃত্যু বাড়িয়ে ও প্রতিবন্ধি তৈরি করে মুসলিম জনসংখ্যার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র সরকারী বেসরকারী পর্যায়ে যুৎপতভাবে এ বিষয়ে সচেতন ও সক্রিয় হতে হবে ইনশাআল্লাহ
১০ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)