ঝুলতে থাকা গুলিবিদ্ধ নাফিজ তখনো রিকশার রড ধরে ছিল!
, ০৭ ছফর শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১৫ ছালিছ, ১৩৯২ শামসী সন , ১৩ আগষ্ট, ২০২৪ খ্রি:, ২৯ শ্রাবণ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) দেশের খবর
গুলিবিদ্ধ গোলাম নাফিজকে পুলিশ যখন রিকশার পাদানিতে তুলে দেয়, তখনো সে রিকশার রডটি হাত দিয়ে ধরে রেখেছিল। রিকশাচালক নূর মোহাম্মদ তাকে নিয়ে রাজধানীর ফার্মগেটের একটি হাসপাতালে ঢুকতে গেলে আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা বাধা দেন বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিক। পরে ১৭ বছরের গোলাম নাফিজকে নিয়ে রিকশাচালক খামারবাড়ির দিকে চলে যান।
গোলাম নাফিজ সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ছড়িয়ে পড়া সংঘর্ষে গুলিতে মারা যায়। সে রাজধানীর বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়ে পাস করে কলেজে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছিল। পরিবারসহ থাকত মহাখালীতে। দুই ভাই তারা। নাফিজ ছোট।
নাফিজের পরিবারের সদস্য, বন্ধুসহ আরও কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আন্দোলন করতে গিয়ে ৪ আগস্ট বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ফার্মগেটের পদচারী-সেতুর নিচে নাফিজ গুলিবিদ্ধ হয়। নাফিজ নিজের মুঠোফোন বাসায় রেখে গিয়েছিল। তিনটার দিকে এক বন্ধুর মুঠোফোন থেকে মাকে ফোন করে বলেছিল, ফার্মগেটের দিকে আছে সে। ভালো আছে। তাড়াতাড়ি বাসায় ফিরবে।
গোলাম রহমান জানান, ওই দিন রাস্তার অবস্থা খুব খারাপ ছিল। ছেলেকে খুঁজতে বের হয়েছিলেন তিনি। কয়েকবার পুলিশি বাধার মুখেও পড়েন। ফার্মগেট আর সোনারগাঁও মোড়ে কয়েকবার ঘুরে আসেন। বিভিন্ন থানায় খোঁজ নেন। ভেবেছিলেন, ছেলেকে হয়তো আটক করে থানায় নেওয়া হয়েছে। না পেয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল আর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়েও খুঁজতে যান।
গোলাম রহমান বলেন, ‘কোথাও না পেয়ে রাত ১২টা নাগাদ বাসায় ফিরি। এরপরই বড় ছেলে মানবজমিনে ছাপা হওয়া ছবিটা দেখায়। বুঝতে পারি, ছেলেটা হয়তো ততক্ষণে আর বেঁচে নাই। বিভিন্ন হাসপাতালে ছেলেকে খুঁজতে শুরু করি।’
গোলাম রহমান বলেন, ‘ঢাকা মেডিকেলের মর্গে ২৭টি লাশ। আমরা তো লাশ দেইখ্যা অভ্যস্ত না। তারপরও দেখি যদি ছেলেরে পাই। মানবজমিনের ছবিটা দেখার পর বুঝতে পারি ছেলে মারা গেছে। তবে যে করেই হোক ছেলের লাশটা পাইতে হবে। মন তো মানে না।’
ঘড়ির কাঁটা ততক্ষণে দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার ঘরে। নাফিসের মামা আবুল হাসেম ফোন করে গোলাম রহমানকে জানান, নাফিজের লাশ শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে আছে। লাশ আনার পর নিজেই ছেলেকে গোসল করান তিনি। বলেন, ‘ছেলের লাশ নিজেই গোসল করাই। কী যে কষ্ট।’
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকটে গার্মেন্টস মালিকরা বিপদে, উৎপাদন ব্যাহত
১৩ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
শ্রমিক ধর্মঘট, ১৭ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে বোয়িং
১৩ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
শত শত কর্মী ছাঁটাই করছে টিকটক
১৩ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
চট্টগ্রাম ওয়াসায় প্রতিদিন ৯ কোটি লিটার পানি অপচয়
১৩ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
রংপুরে সম্পদ ফেলে এমপিদের চম্পট
১৩ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
দুই মাসে মোবাইল ইন্টারনেট গ্রাহক কমলো ২ লাখের বেশি
১৩ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বাংলাদেশকে উগ্রবাদী চিহ্নিত করতে ভারতের অপপ্রচার -উপদেষ্টা নাহিদ
১৩ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাবের চৌধুরীকে বিদেশিদের চাপে মুক্তি দিয়েছে সরকার -নুর
১৩ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বাসাবাড়িতে নতুন গ্যাস সংযোগ নিয়ে যা জানালেন জ্বালানি উপদেষ্টা
১৩ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ছিনতাই-চাঁদাবাজি প্রতিরোধে শুরু হচ্ছে সাঁড়াশি অভিযান -আইজিপি
১৩ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাবেক আইজিপি জাবেদ পাটোয়ারী কেন পালালেন?
১৩ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাবেক আইজিপি জাবেদ পাটোয়ারী কেন পালালেন?
১৩ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)