তাপপ্রবাহ চলবে, বর্ষা আসতেও দেরি
, ১৫ যিলক্বদ শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ০৬ আউওয়াল, ১৩৯১ শামসী সন , ০৫ জুন, ২০২৩ খ্রি:, ২৩ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) আবহাওয়া
বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকায় অসহনীয় গরম, সেই সঙ্গে বিদ্যুতের লোড শেডিং; তবে কোনো ক্ষেত্রেই স্বস্তির খবর নেই।
জ্যৈষ্ঠ মাসে তীব্র গরমে অতিষ্ঠ দেশবাসীর মনে একটাই প্রশ্ন, তাপপ্রবাহ কাটবে কবে? বর্ষা আসতে আর কত দিন?
কিন্তু কোনো ক্ষেত্রেই স্বস্তির খবর আপাতত নেই আবহাওয়া অধিদপ্তরের কাছে। চলমান তাপপ্রবাহ এখনই কাটছে না বলে আভাস মিলেছে। আর বর্ষা আসতেও হচ্ছে দেরি।
এপ্রিলজুড়ে তাপপ্রবাহে নাভিঃশ্বাস উঠেছিল জনজীবনে; তাপমাত্রার রেকর্ডও হয়েছিল তখন। মে মাসের শুরুতে বৃষ্টিতে পরিস্থিতি কিছুটা সহনীয় হলেও গত সপ্তাহ খানেক ধরে প্রচ- গরমে প্রাণ আবার ওষ্ঠাগত।
তাপমাত্রা এপ্রিল ছাড়িয়ে না গেলেও বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকার কারণে গরম হয়ে উঠেছে অসহনীয়, সেই সঙ্গে বিদ্যুতের আসা-যাওয়া নগর জীবনে বাড়িয়েছে ভোগান্তি।
আবহাওয়াবিদ ড. আবুল কালাম মল্লিক বলেন, এই পাঁচ-ছয় দিনে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিচ্ছিন্নভাবে বৃষ্টি নামতে পারে। তবে ১৩ তারিখের আগে সামগ্রিকভাবে তাপমাত্রা কমিয়ে ফেলার মতো ভারী বৃষ্টির দেখা পাওয়া যাবে না।
তিনি জানান, গত কয়েকদিন ধরে দেশের তাপমাত্রা ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৪১ ডিগ্রির মাঝে ওঠানামা করছে, যা স্বাভাবিকের চেয়ে স্টেশন ভেদে ২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি।
কেন এত গরম?
ড. মল্লিক জানান, চলমান তাপপ্রবাহের মধ্যে গরম অসহনীয় হওয়ার মূল কারণ হল বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি।
তিনি বলেন, এল নিনো সক্রিয় অবস্থায় যাওয়া শুরু করায় এখানে আকাশ প্রায় মেঘমুক্ত। সুতরাং, ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা ধরে প্রখর সূর্যের আলো ভূপৃষ্ঠে পতিত হতে থাকে।
একারণেই বাতাসের গতিবেগ কম, বাতাসে জলীয় বাষ্পের আধিক্য বেশি। অস্বস্তিও বেশি। তবে এটা শুধু বাংলাদেশেই হচ্ছে, তা না। বাংলাদেশসহ আশেপাশের সকল অঞ্চলের তাপমাত্রাই এখন বেশি।”
বাংলাদেশে এখন মৌসুমী বায়ু প্রবাহিত হওয়ার সময়। কিন্তু এখনও তা না আসাকে চলমান তাপপ্রবাহের অন্যতম কারণ হিসেবে দেখান তিনি।
বর্ষা আসতে কত দেরি?
ঋতুর পরিক্রমায় জুন মাসের মাঝামাঝিতে বাংলায় বর্ষা ঋতু নামে। ভারত মহাসাগর থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী এই সময় প্রচুর জলীয় বাষ্প নিয়ে স্থলভাগে এসে ব্যাপক বৃষ্টি ঝরায়। তাতে অবসান ঘটে গ্রীষ্মকালের।
আষাঢ় মাস জুনের মাঝামাঝিতে শুরু হলেও দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু অধিকাংশ সময় জুন মাসের শুরুতেই স্থলভাগে এসে পড়ে, ফলে ধীরে ধীরে বৃষ্টির প্রবণতা বাড়ে।
তবে এবার সাগরে দুটি লঘুচাপের কারণে মৌসুমী বায়ু আসতে দেরি হবে বলে আবহাওয়াবিদরা বার্তা দিচ্ছেন।
ড. মল্লিক বলেন, “বঙ্গোপসাগরে মিয়ানমার উপকূলে ৭ তারিখ একটা লঘুচাপ তৈরি হতে পারে এবং আরব সাগরে একটি সুস্পষ্ট লঘুচাপ এখনও আছে। দুই সাগরে দুই লঘুচাপ বিদ্যমান থাকার কারণে বাংলাদেশ ও ভারতের উপর মৌসুমী বায়ু প্রবাহ আরম্ভ হতে কিছুটা দেরি হতে পারে।”
তিনি এটাও জানান, গত কয়েকবছর ধরেই জুনের প্রথম সপ্তাহে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের তাপমাত্রা কিছুটা অস্বাভাবিক আচরণ করছে।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
আবারও বইতে পারে তাপপ্রবাহ, কমবে বৃষ্টি
১৫ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ঝড়সহ বৃষ্টির পর বাড়তে পারে তাপমাত্রা
১১ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আরও ৩ দিন হতে পারে ঝড়, সতর্কতা জারি
০৯ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
২২ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মেঘলা আকাশ থেকে ঝরতে পারে বৃষ্টি, বাড়বে গরম
৩০ মার্চ, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আবহাওয়া: টানা ৩ দিন হতে পারে বৃষ্টি
২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
বজ্রসহ বৃষ্টি থাকতে পারে ৫ দিন
১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
শীতের তীব্রতা কী ফের বাড়বে, যা বলছে আবহাওয়া অফিস
০৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
২৩ জেলায় তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রির নিচে
১৬ জানুয়ারি, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মাসের শেষে কমবে তাপমাত্রা, বছরের শুরুতেই শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা
২৬ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা, ঘন কুয়াশা থাকবে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৩ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
শক্তিশালী ভূমিকম্প ফিলিপাইনে।
২২ নভেম্বর, ২০২৩ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)