তিনশো বছরের পুরনো মসজিদ, লুকিয়ে আছে সুলতানি শিল্পের চূড়ান্ত নিদর্শন
, ১৬ শাওওয়াল শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১৬ হাদি আশির, ১৩৯২ শামসী সন , ১৫ এপ্রিল, ২০২৫ খ্রি:, ২ বৈশাখ, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) পাঁচ মিশালী
১.৮৩ মিটার বা ছয় ফুট পুরু দেয়ালবিশিষ্ট মসজিদটির দৈর্ঘ্য উত্তর-দক্ষিণে ১৭.২২ মিটার বা ৫৬ ফুট এবং পূর্ব-পশ্চিমে ৮.০৮ মিটার বা ২৬ ফুট।
দেয়ালগুলোতে বহুখাঁজবিশিষ্ট খিলানযুক্ত প্রবেশপথ রয়েছে। পূর্বদিকে তিনটি ও উত্তর-দক্ষিণ দেয়ালে একটি করে মোট পাঁচটি প্রবেশপথ রয়েছে। মসজিদের পূর্ব পাশের মধ্যবর্তী প্রবেশপথটি তুলনামূলক বড় হওয়ায় এটিকে প্রধান ফটক হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
মসজিদের কিবলা দেয়ালে তিনটি অর্ধ-অষ্টভুজ মিহরাব রয়েছে। এর মধ্যে মাঝখানের মিহরাবটি বাইরের দিকে উঁচু করে নির্মিত এবং দু’প্রান্তে দুটি ছোট অষ্টভুজ বুরুজ রয়েছে।
মসজিদের অভ্যন্তর ভাগকে খিলানের সাহায্যে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রতিটি ভাগে একটি করে সামান্য কলাকৃতির গম্বুজ রয়েছে। মধ্যবর্তী কেন্দ্রীয় গম্বুজটি অপর দুটি থেকে বড়। প্রতিটি গম্বুজের শীর্ষে রয়েছে পদ্ম ও কলসের অলঙ্করণ।
মসজিদের অলংকরণে রয়েছে সুলতানি বৈশিষ্ট্যের পোড়ামাটির নিপুণ কাজ। প্রবেশপথের আয়তাকার অংশজুড়ে প্যাঁচানো ফুল, গোলাপ, জালির নকশা ইত্যাদি মোটিফে সাজানো পোড়ামাটির ফলক ব্যবহৃত হয়েছে।
মিহরাবের বহুখাঁজ খোদাই এখনো দৃষ্টি কাড়ে। মসজিদের তিন পাশে রয়েছে হাঁটার রাস্তা ও সামনে রয়েছে একটি বিশাল খোলা বসার স্থান, যার পূর্ব দিকে চারটি ছোট স্তম্ভ রয়েছে।
মসজিদের দেখভালের দায়িত্বে থাকা সৈয়দ সুমন আহম্মেদ জানান, প্রধান ফটকে থাকা শিলালিপিটি হারিয়ে যাওয়ায় মসজিদের সঠিক নির্মাণ সময় নিরূপণ সম্ভব হচ্ছে না। তবে প্রতœতত্ত্ব বিভাগের হিসেবে এটি সতেরো শতকের শেষভাগে নির্মিত।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ১৯৭৫ সালে প্রতœতত্ত্ব অধিদপ্তর এ মসজিদটিকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয়। এরপর একাধিকবার সংস্কার করা হয়। ১৯৮৭ ও ২০১২ সালের সংস্কার কাজ নিজ চোখে দেখেছেন বলেও জানান তারা।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মসজিদ কমপ্লেক্সটি প্রায় ২৬ শতক জায়গা জুড়ে, যার পাশে একটি মাদ্রাসা রয়েছে। সেখানে পড়ানো শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাই মসজিদের দেখভাল করছেন। মসজিদের উত্তর-পূর্ব কোণে একটি বিদেশি সংস্থা ওজুখানা নির্মাণ করে দিয়েছে। এছাড়াও পূর্ব পাশে একটি পুকুর রয়েছে ওজুর জন্য।
মসজিদের নিয়মিত মুসল্লিরা জানান, ভেতরে তিন কাতারে ৮০ থেকে ৯০ জন মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন। আর বাহিরের খোলা অংশে প্রায় দুই থেকে তিন শত মুসল্লি একসাথে নামাজ আদায় করে থাকেন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
খালি পায়ে থাকে যে গ্রামের মানুষ
২১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
অভিযোগ নিয়ে আদালতে হাতি!
২১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
৯৯ শতাংশ জিনের গঠন একরকম, তারপরও কেন মানুষকে দেখতে আলাদা লাগে?
২১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
জমির মালিকানা অনলাইনে কিভাবে সহজে যাচাই করবেন?
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
কলার থোড় খাওয়ার উপকারিতা
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
২১ ডিসেম্বরে বছরের সবচেয়ে ছোট দিন ও দীর্ঘতম রাত
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ঘুম ভাঙতেই বুকে ব্যথা? সাবধান হোন
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ভাত খেলে কি ওজন বাড়ে?
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
কানাডার রাস্তায় ৫০ লাখ মৌমাছি!
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
হাতি যখন মাদকের সন্ধানদাতা!
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
এক কাপ ডালিমের দানা খেলে কি হয়?
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
গাজায় ভারী বৃষ্টিতে ১০ জনের মৃত্যু
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)












