মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
তোমরা ওই ব্যক্তিকে অনুসরণ করো না, যার ক্বলব বা অন্তর আমার যিকির থেকে গাফিল অর্থাৎ যার ক্বলবে আমার যিকির জারী নেই। সে নফসকে (শয়তানকে) অনুসরণ করে তাই তার কাজগুলো (আমলগুলো) সম্মানিত শরীয়ত উনার খিলাফ। নাউযুবিল্লাহ! যাদের ক্বলব বা অন্তরে যিকির জারি নেই তারা উলামায়ে হক্ব নয়, বরং তারা চরম পর্যায়ের ফাসিক ও উলামায়ে সূ’। নাউযুবিল্লাহ!
তাই সম্মানিত শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে তাদেরকে মুহব্বত, তা’যীম-তাকরীম ও অনুসরণ-অনুকরণ করা হারাম। অতএব, আলিম হোক আর জাহিল হোক প্রত্যেকের জন্যই একজন হক্কানী-রব্বানী শায়খ বা মুর্শিদ ক্বিবলা উনার নিকট বাইয়াত গ্রহণ করে তরীক্বা অনুযায়ী যিকির করতঃ ক্বলবে যিকির জারী করা ফরয। সুবহানাল্লাহ!
, ০৬ জুমাদাল ঊলা শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১২ সাদিস, ১৩৯২ শামসী সন , ০৯ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ২৪ কার্তিক, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) মহাপবিত্র ক্বওল শরীফ-১
রহমাতুল্লিল ‘আলামীন, ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, ইমামুল আইম্মাহ্, মুজাদ্দিদুয যামান, কুতুবুল আলম, মুহইউস সুন্নাহ, মাহিউল বিদয়াহ, গাউছুল আ’যম, আযীযুয যামান, ক্বইউমুয যামান, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, আস সাফফাহ, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি পবিত্র সূরা কাহাফ উনার ২৮ নম্বর পবিত্র আয়াত শরীফ উল্লেখ করে বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “তোমরা ঐ ব্যক্তিকে অনুসরণ করো না, যার ক্বলবকে আমার যিকির থেকে গাফিল করেছি অর্থাৎ যার ক্বলব আমার যিকির থেকে গাফিল রয়েছে, যার ক্বলবে আমার যিকির নেই। সে নফস (শয়তান)কে অনুসরণ করে। তাই তার কাজগুলো (আমলগুলো) শরীয়ত উনার খিলাফ। ” নাউযুবিল্লাহ!
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সকলের জন্যই ক্বলবী যিকির করা ফরযে আইন। কারণ, ক্বলবী যিকির হচ্ছে এমন এক যিকির যার মাধ্যমে বান্দা স্বীয় রব মহান আল্লাহ পাক উনাকে সর্বদা স্মরণ করে থাকে এবং বান্দার শরীরে যে বিশেষ এক টুকরা গোশত আছে যার নাম হচ্ছে ‘ক্বলব’ সেটা পরিষ্কার অর্থাৎ পরিশুদ্ধ হয়ে থাকে। সুবহানাল্লাহ! ক্বলবী যিকির ব্যতীত পাপ কাজ থেকে বিরত থাকা ও শয়তানী ওয়াস্ওয়াসা থেকে বেঁচে থাকা আদৌ সম্ভব নয়। কাজেই মহান আল্লাহ পাক উনার রহমত প্রাপ্তি, হক্ব মত ও পথে ক্বায়েম থাকা ও মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টি বা নৈকট্য লাভ করার একমাত্র মাধ্যম ক্বলবী যিকির। সুবহানাল্লাহ!
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সমস্ত আউলিয়ায়ে কিরাম উনারা তাছাউফের কিতাবসমূহে ‘ক্বলবী যিকির’ করাকে ফরয বলেছেন। উল্লেখ্য যে, যাদের ক্বলবে যিকির জারি নেই বা যাদের ক্বলব বা অন্তর মহান আল্লাহ পাক উনার যিকির থেকে গাফিল, তারা মহান আল্লাহ পাক উনার রহমত থেকে সম্পূর্ণই বঞ্চিত। আর রহমত থেকে বঞ্চিত হওয়ার কারণেই তারা হয় গুমরাহ বা পথভ্রষ্ট। নাউযুবিল্লাহ! বিশ্ববিখ্যাত কিতাব ‘জামিউল উছূল’-এ উল্লেখ করা আছে, জেনে রাখ, মহান আল্লাহ পাক উনার নৈকট্য অর্জনের ক্ষেত্রে (ক্বলবী) যিকিরই হচ্ছে একমাত্র পদ্ধতি বা মাধ্যম। দায়িমী ক্বলবী যিকির ব্যতীত মহান আল্লাহ পাক উনার নৈকট্য বা সন্তুষ্টি অর্জন করা মোটেও সম্ভব নয়। আর দায়িমী ক্বলবী যিকির করা মহান আল্লাহ পাক উনারই নির্দেশ মুবারক, যা অসংখ্য, অগণিত দলীল দ্বারা প্রমাণিত। সুবহানাল্লাহ!
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের ছহীহ বর্ণনা সাপেক্ষে সকল ইমাম, মুজতাহিদ, আউলিয়ায়ে কিরাম ও মাশায়িখে ইজাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা একজন হক্কানী-রব্বানী শায়খ বা মুর্শিদ ক্বিবলা উনার নিকট বাইয়াত গ্রহণ করে তরীক্বা অনুযায়ী ক্বলবী যিকির জারি করতঃ অন্ততপক্ষে বিলায়েতে আম হাছিল করাকে ফরযে আইন বলেছেন। উনাদের মতে অন্তর পরিশুদ্ধ করে ইখলাছ অর্জন করার এটাই একমাত্র উপায় বা পদ্ধতি। নচেৎ শুধুমাত্র কিতাবাদী পাঠ করলে বা করালে আর তাছাউফ সম্পর্কীয় বিষয়সমূহের তথা মুহলিকাত ও মুনজিয়াতের তা’রীফ, আলামত ছবব ও এলাজ ইত্যাদি মুখস্ত করলে অথবা সারাজীবন চিল্লা দিলে বা তাসবীহ-তাহলীল পাঠ করলেও অন্তর পরিশুদ্ধ হবে না।
-০-
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ইহুদী, নাছারা ও মুশরিকদের বিরুদ্ধে সব সময় শক্ত বদ দুআ করা খাছ সুন্নত মুবারক ও জিহাদ স্বরূপ। বর্তমান সময়ে ইহুদী, নাছারা ও মুশরিকদের বিরুদ্ধে সব সময় শক্ত বদ দুআ করা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য আবশ্যক।
১০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব ও মাহবুব, নূরে মুজাস্সাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিই কুল-কায়িনাতের সকলের জন্য একমাত্র অনুসরণীয় ও অনুকরণীয়। সার্বিকভাবে সর্বক্ষেত্রে উনাকে অনুসরণ করা সকলের জন্যই ফরয। সুবহানাল্লাহ!
০৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ উনার ভাষায় ‘লাইলাতুম মুবারকাহ’ আর পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার ভাষায় ‘লাইলাতুন নিছফি মিন শা’বান’ মশহূর ‘পবিত্র লাইলাতুল বরাত শরীফ’ বা শবে বরাত। পবিত্র এ রাতে ইবাদত-বন্দেগী করা ও দিনে রোযা রাখা সম্পর্কে শরীয়তে সুস্পষ্ট অনেক নির্দেশনা রয়েছে।
০৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পবিত্র শা’বান শরীফ মাসে তিনটি রোযা রাখা খাছ সুন্নত মুবারক। যারা পবিত্র শা’বান শরীফ মাসে তিনটি রোযা রাখবে তাঁদের সমস্ত গুণাহখতা ক্ষমা করে দেয়া হবে এবং জান্নাতী উটে চড়িয়ে জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে। সুবহানাল্লাহ! যারা তিনটি রোযা রাখতে চায় তাদেরকে ১৩, ১৪, ১৫ শা’বান শরীফ অর্থাৎ আগামী ইয়াওমুল খমীস, জুমুয়াহ ও সাব্ত এ ৩ দিন রোযা রাখতে হবে।
০৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
প্রশস্ত শিরোনাম আজ সুমহান মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৭ই শা’বান শরীফ। সুবহানাল্লাহ! যা আখাছ্ছুল খাছ আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ উনার সম্মানিত আ’দাদ শরীফ। সুবহানাল্লাহ! অতএব, সকলের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- এ মুবারক দিবস উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করার পাশাপাশি উনার মুবারক শানে সর্বো”” হুসনে যন পোষণ করা, মুহব্বত করা, অনুসরণ-অনুকরণ করা ও যথাযথ খিদমত মুবারক উনার আঞ্জাম দেয়া।
০৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
এ বছরের জন্য আগামী ১৭ই তাসি’ ১৩৯২ শামসী, ১৪ই ফেব্রুয়ারী ২০২৫ খৃঃ, ইয়াওমুল জুমুয়াহ শরীফ দিবাগত রাত হচ্ছেন ‘পবিত্র লাইলাতুল বরাত শরীফ’। সুবহানাল্লাহ! যা আর মাত্র ৭ দিন পর প্রত্যেক মুসলমানের জন্য দায়িত্ব এবং কর্তব্য হচ্ছে- দোজাহানে কামিয়াবী হাছিলে অত্যন্ত জওক্ব-শওক্ব, মুহব্বত ও ইখলাছের সাথে আসন্ন পবিত্র লাইলাতুল বরাত শরীফ পালন করার জন্য এখন থেকেই ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা।
০৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
আজ সুমহান বরকতময় পবিত্র ৫ই শা’বান শরীফ। সুবহানাল্লাহ! সিবতু রসূল আল খমিস সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুর রবি’ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
০৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
আজ সুমহান বরকতময় পবিত্র ৪ঠা শা’বান শরীফ। সুবহানাল্লাহ! নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আর রবি’য়াহ ইবনাতু আবীহা আলাইহাস সালাম উনার মহাপবিত্র নিসবাতুল আযীমাহ শরীফ দিবস। সুবহানাল্লাহ! তাই সারাবিশ্বের মুসলিম উম্মতের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- উক্ত দিবস উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করার পাশাপাশি উনাদেরকে মুহব্বত করা, অনুসরণ-অনুকরণ করা ও উনাদের মুবারক গোলামীতে যথাযথ আঞ্জাম দেয়া।
০৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি “ইছনাইনিল আযীম শরীফ” (সোমবার) মহাপবিত্র ও মহাসম্মানিত বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করার কারণে এ মুবারক দিবসটি হচ্ছেন- সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার অন্তর্ভুক্ত।
০৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
আজ সুমহান পবিত্রতম বরকতময় ২রা শা’বান শরীফ। সুবহানাল্লাহ! আখাছ্ছুল খাছ আহলু বাইত শরীফ ও আওলাদে রসূল হযরত সাইয়্যিদুল উমাম আছ ছালিছ আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ! হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস কায়িনাতবাসীদের জন্য সুমহান ঈদ বা খুশির দিন। সুবহানাল্লাহ!
০১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার ফতওয়া হলো ইহুদী-মুশরিক অর্থাৎ বিধর্মীদের সাহায্য সহযোগিতা করা কাট্টা হারাম ও কুফরী। প্রত্যেক মুসলমান ও মুসলমান সরকারের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে, সমস্ত বিধর্মীদের বিশেষ করে ভারত ও ইসরাইলের সর্বপ্রকার পণ্য ক্রয়-বিক্রয় থেকে বিরত থাকা। এদের সর্বপ্রকার পণ্যদ্রব্যগুলো বর্জন করা, বয়কট করা।
৩১ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
অতএব এ মাস হচ্ছেন- তওবা-ইস্তিগফারসহ খালিছভাবে ইবাদত-বন্দেগী করার মাস। সুবহানাল্লাহ! তাই প্রত্যেকের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- এ পবিত্র মাসে হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সর্বোচ্চ ছানা-ছিফত মুবারক বর্ণনা করা ও উনাদের গোলামী মুবারকের আঞ্জাম দেয়া এবং উনাদের উছীলা দিয়ে বেশি বেশি তওবা-ইস্তেগফারসহ ইবাদত-বন্দেগী করা।
৩০ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)