দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার খড়গে ২৭ মন্ত্রী-এমপিসহ ৬০ ব্যক্তি
, ২৭ ছফর শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ০৫ রবি , ১৩৯২ শামসী সন , ০২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ১৮ ভাদ্র , ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) দেশের খবর
নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি এবং অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়ার অভিযোগে ধীরে ধীরে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) জালে ধরা পড়ছে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রী-এমপিরা।
দুদকের জালে ধরা পড়ার আগেই কেউ কেউ দেশ ছেড়েছে, আবার কেউ আটক হচ্ছে বিভিন্ন সময়ে। অনেকেই আছে ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। তবে যারা এখনও গ্রেপ্তার হয়নি সেই সব মন্ত্রী-এমপি কিংবা তাদের পরিবার যাতে দেশত্যাগ করতে না পারে সেই উদ্যোগ নিয়েছে দুদকের অনুসন্ধান কর্মকর্তারা।
ইতোমধ্যে সাবেক ৮ মন্ত্রী ও ৬ সাবেক সংসদ সদস্যসহ বেশ কিছু ভিআইপির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘ তালিকার মন্ত্রী-এমপি কিংবা আমলা এবং তাদের পরিবারের সদস্য যাতে বিদেশে পালিয়ে যেতে না পারে সে কারণে ধাপে ধাপে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে দুদক।
প্রথম ধাপে ১৪ মন্ত্রী-এমপিকে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পর আরও ২৭ জন মন্ত্রী ও এমপিদের এবং তাদের পরিবারের সদস্যসহ অন্তত ৬০ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞায় কমিশনে প্রতিবেদন দাখিল করেছে অনুসন্ধান কর্মকর্তারা। পৃথক পৃথক তিনটি আবেদনে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিতে চিঠি দেওয়া হয়েছে। চলতি সপ্তাহে যা আদালতের অনুমোদনক্রমে বাস্তবায়ন হবে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে দুদকের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে একই দিনই সাবেক ৪১ মন্ত্রী-এমপির দুর্নীতি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর তিনটি পৃথক টিম গঠন করে কমিশন। তিনজন উপপরিচালকের নেতৃত্বে গঠিত ওই টিম ইতোমধ্যে নথিপত্র তলব করে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরে চিঠি দিয়ে তথ্য সংগ্রহ করছে। পাশাপাশি আরও বেশ কয়েকজন হেভিয়েট দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ভিআইপিরা যাতে দেশত্যাগ করতে না পারে সে কারণেই তাদের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা প্রয়োজন রয়েছে।
তিনি বলেন, দুদকের গোয়েন্দা অনুসন্ধানে দেখা গেছে আওয়ামী লীগ সরকারের তৎকালীন মন্ত্রী-এমপিরা পালিয়ে বেড়াচ্ছে। কেউ কেউ গ্রেপ্তার হয়েছে। তবে গ্রেপ্তার হোক বা না হোক আমাদের লক্ষ্য যাতে কেউই দেশত্যাগ করতে না পারে। সে কারণে বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে। কমিশন অনুমোদন দিলেই তালিকা আদালতে পাঠানো হবে। আদালতে আদেশ দেশের সব স্থল ও বিমানবন্দরে পাঠানো হবে।
আদালতে দেওয়া আবেদনে বলা হয়, বিগত সরকারের সাবেক মন্ত্রী ও বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকায় এমপিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম এবং দুর্নীতির মাধ্যমে অকল্পনীয় অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অভিযুক্ত সাবেক মন্ত্রী ও বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকার এমপিদের দেশ ছেড়ে বিদেশে পালাতে পারেন মর্মে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা প্রয়োজন।
সাবেক মন্ত্রী-এমপিদের দুর্নীতির যত অভিযোগ:
গত ১৫ বছরে মন্ত্রী-এমপিদের মধ্যে কারো আয় বেড়েছে, কারো বেড়েছে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ। এক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ১০০ গুন থেকে কয়েক হাজার গুন। কারও ক্ষেত্রে সম্পদ ও আয় বেড়েছে লাখগুন পর্যন্ত। নির্বাচনী হলফনামার তথ্য নিয়ে টিআইবির করা এক অনুসন্ধান প্রতিবেদনের সূত্র ধরেই ৪১ সাবেক মন্ত্রী ও এমপিদের অনুসন্ধান শুরু হয়েছে। এরপর ধাপে ধাপে মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ দুর্নীতি, সরকারি প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ, সরকারি বিভিন্ন বরাদ্দের অর্থ লোপাট ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে হাজার হাজার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তা বিদেশে পাচারের অভিযোগ যুক্ত হতে থাকে তাদের বিরুদ্ধে।
অন্যদিকে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে পুলিশ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও ফায়ার সার্ভিস থেকে বস্তায় বস্তায় টাকা আদায় করা অভিযোগ রয়েছে। তৎকালীন অতিরিক্ত সচিব ড. হারুন অর রশীদ বিশ্বাসের নেতৃত্বে সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন। এই সিন্ডিকেটের অন্য সদস্য ছিলেন যুগ্মসচিব ধনঞ্জয় কুমার, মন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) মনির হোসেন, জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফ মাহমুদ অপু, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোল্লা ইব্রাহিম হোসেন। টাকা আদায় বা উত্তোলনে মূল ভূমিকা পালন করতেন ড. হারুন অর রশীদ বিশ্বাস। হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন এই কামাল-হারুন সিন্ডিকেট। অভিযোগ রয়েছে- জেলায় পুলিশ সুপার নিয়োগে সর্বনিম্ন ৮০ লাখ থেকে ২ কোটি টাকা পর্যন্ত নিতো এই চক্র। এই সিন্ডিকেটের আশীর্বাদ ছাড়া পুলিশের কেউ কোনো জেলায় বা গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়ন পেতেন না। জেলা পুলিশ সুপার হিসেবে পদায়নের ক্ষেত্রে ১ থেকে ৩ কোটি টাকা নিতো এই সিন্ডিকেট।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
দিল্লির পর কলকাতায় বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশন ঘেরাওয়ের চেষ্টা!
২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ইসির সম্মেলনে পুলিশের ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার চাইলেন এসপিরা
২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
গণমাধ্যমকর্মীদের এড়িয়ে গেলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সরকারের ব্যর্থতায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যথেষ্ট অবনতি হয়েছে -ফখরুল
২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
বিএনপির মনোনয়ন পেলো উগ্র হিন্দুত্ববাদী সাবেক দুই আ. লীগ নেতা!
২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নোয়াখালীতে চর দখল নিয়ে দুই পক্ষের গোলাগুলি, নিহত ৫
২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণের পরামর্শ দিলো পুলিশ প্রশাসন
২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
১৩ বাংলাদেশি জেলেকে অপহরন করে নিয়ে গেলো আরাকান আর্মি
২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ভোটের আগে প্রকল্প অনুমোদন ও উদ্বোধন নয়
২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল ১০ম গ্রেডে, তারা গেজেটেড কর্মকর্তা
২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ঠাকুরগাঁওয়ে বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশা -ময়মনসিংহে ঘন কুয়াশায় দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ, আহত ১১
২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ছাত্রদলের সঙ্গে সংঘর্ষের পর এনসিপির কার্যালয় তছনছ
২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)












