সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়াদ শরীফ উনার সুমহান সম্মানার্থে অনন্তকালব্যাপী আয়োজিত বিশেষ মাহফিলে আজিমুশ^ান নসীহত মুবারক:
দ্বীনের চিন্তা বাদ দিয়ে দুনিয়ার ফিকিরে থাকলে রহমত বরকত হাসিল করা যাবে না
, ৫ই রমাদ্বান শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ৭ আশির, ১৩৯২ শামসী সন , ৬ মার্চ, ২০২৫ খ্রি:, ১৯ ফালগুন, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) তাজা খবর
প্রতিদিনের ন্যায় পবিত্র সুন্নতী জামে মসজিদে অনন্তকালব্যাপী জারীকৃত সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার সম্মানে বিশেষ মাহফিল মুবারক অনুষ্ঠিত হয়। বাদ ইশা মহান মুর্শিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি কুল-কায়িনাতের সকলের উদ্দেশ্যে নসীহত মুবারক পেশ করেন।
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলতানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আদবের সাথে রহমত থাকে আর বেয়াদবীর সাথে জহমত থাকে। বিষয়টি এখন বুঝা না গেলেও এক সময় ইহকালেও বুঝবে পরকালেও বুঝবে। জহমতের হাজারো ছুরত আছে। মানুষ কতটা বুঝে। বেয়াদব আল্লাহ পাক উনার রহমত হতে বঞ্চিত। যারা আদব কায়দা রক্ষা করতে পারে না, তারা বেয়াদবের অর্ন্তভুক্ত। যারা মাদরাসায় পড়বে তারা আদব কায়দা শরাফত বজায় রেখে পড়তে হবে। যারা দুনিয়া হাসিলের জন্য মাদরাসায় পড়ে তারা বেহেশতের ঘ্রানও পাবে না। লানত জহমত একবার যদি কারো উপর পড়ে যায় তবে তা হতে ছুটা খুব কঠিন। মসজিদে দুনিয়াবী কথা বললে আবার নামাজের মধ্যে এলোমেলো করলে, ফিতনা করলে কঠিন লানত বর্ষিত হবে। যারা কথা শুনে না আদব শরাফত নাই তাদেরকে মাদরাসায় রেখে কোন ফায়দা নেই।
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলতানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, যিকির আযকার হাকিকীভাবে করতে হবে। অন্তরে গালিজ রেখে কোন ফায়দা হবেনা। অন্তরের ভিতরে আদব থাকলেই আদবের কাজ করা হবে। এজন্য বেশী বেশী যিকির ফিকির করতে হবে। সারা দুনিয়ায় কোটি কোটি দলমত হয়েছে। তাদের অন্তরে গালিজ থাকার কারনেই এত দলমত হয়েছে। অন্তরে গালিজ থাকলে সম্মিলিতভাবে নেক কাজ করার জজবা আসবে না। ইসলাহর নিয়তে খাসভাবে যিকির ফিকির করলে কিছুটা হলেও তাছির হবার কথা। দ্বীনের চিন্তা বাদ দিয়ে দুনিয়ার ফিকিরে থাকলে রহমত বরকত হাসিল করা যাবে না। কার অন্তরে কি আছে সেটাতো আমলে প্রকাশ হবার কথা। অন্তরে যদি মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের চিন্তা ফিকির থাকতো তাহলে তার দ্বারা আদবের খেলাফ কোন কাজ হতে পারতো না।
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলতানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, প্রত্যেকটা জিনিসের একটা লক্ষণ আছে। যার মধ্যে যিকির জারী হবে তার মধ্যে আদব শরাফত থাকার কথা। কারণ যিকির জারী হলে তার মধ্যে শয়তান থাকার কথা নয়। এখন আখেরী জামানা অনেক কঠিন যুগ। মুহব্বত মারিফাত নিসবত হাসিল করা সোজা বিষয় না। এগুলো হাসিল করতে হলে তার অন্তরের অবস্থাকে সেদিকে রুজু করতে হবে। কিবলা কাফিরদের থেকে ঘুরিয়ে নিতে হবে। জাহেরী লেপাপা দুরস্ত অর্থাৎ বাহিরে পরিপাটি কিন্তু অন্তরে গালিজে ভরা, এমন অবস্থা নিয়ে কোনদিন মুহব্বত মারিফত নিসবত হাসিল করা যাবে না। সারাদিন গাইরুল্লাহর চিন্তায় মশগুল থেকে সুখের পায়রার মতো থেকে কিভাবে মুহব্বত মারিফত নিসবত হাসিল করবে। মানুষের হাকিকত অবস্থা সবকিছু পবিত্র কুরআন শরীফ ও হাদীস শরীফ উনাদের মধ্যে প্রকাশ করে দেয়া হয়েছে। অতীতের ইতিহাস দেখলে এবং কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ উনার মধ্যে যা বলা হয়েছে তা অনুধাবন করলে বুঝা যায়, মানুষ থেকে মানুষ নিরাশ হওয়া ছাড়া কোন ব্যবস্থা নাই।
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলতানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মোবাইলে দেখে কুরআন শরীফ তেলাওয়াত করা জায়েজ নাই। ওজু ছাড়া পবিত্র কুরআন শরীফ পড়াও যায়, দেখাও যায়, তবে মোবাইল বা হাতিফ সেটার মধ্যে পবিত্র কুরআন শরীফ রাখা ঠিক নয় এটা আদবের খিলাফ হবে। কারো গোসল ফরজ হলে পবিত্র কুরআন শরীফ পড়তে পারবে না, তবে শুনতে পারবে। পবিত্র কুরআন শরীফ মোবাইলে রাখা যাবে তখন যখন সরাসরি পবিত্র কুরআন শরীফ উনাকে যেভাবে সম্মান ইজ্জত রক্ষা করা যায় সেভাবে সেখানেও সম্মান করা যাবে তখন- এটাই হচ্ছে মূল ফতোয়া। পবিত্র কুরআন শরীফ স্পর্শ করলে ওজুর প্রয়োজন হবে। পবিত্র মিলাদ শরীফ পড়ার জন্য পবিত্র আয়াত শরীফ পড়া শর্ত নয়। সেখানে সলাত সালাম পড়াটাই উদ্দেশ্য। পবিত্র আয়াত শরীফ বরকতের জন্য পড়া হয়ে থাকে।
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলতানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র কুরআন শরীফ উনার সম্মান সব অবস্থায় রক্ষা করতে হবে। বাচ্চাদেরকে ছোটবেলা হতে ভয় দেখিয়ে পবিত্র কুরআন শরীফ উনার গুরুত্ব মর্যাদা ফজীলত বুঝানোর চেষ্টা করতে হবে। তাহলে তারা আস্তে আস্তে পবিত্র কুরআন শরীফ উনাকে সম্মান করার বিষয়টা বুঝতে পারবে। একইভাবে বাচ্চাদেরকে রোজা রাখার অভ্যাসটা করানো দরকার। তারা যদি নেক কাজ হিসেবে রোজা রাখতে চায় তাদেরকে উৎসাহিত করা উচিত। কোন নেক কাজেই তাদের বাধা দেয়া উচিত নয়। এখনতো পারলে জন্মের পরেই বাচ্চাদেরকে রাস্তায় খেলতে পাঠিয়ে দেয়, কিন্তু নেক কাজের বিষয় আসলে নানাপ্রকার চুচেরা করা হয়। সন্তানরা বাবা মা তাদের থেকেই প্রথমে শিখবে। এজন্য জন্মের পর থেকেই নেক কাজে বাচ্চাদেরকে উৎসাহিত করা উচিত। মুসলমানরা এখন নেক কাজে সন্তানদেরকে উৎসাহিত করে না। ছোটবেলা থেকেই নেক কাজের সমস্ত কিছু তালিম দিতে হয় বুঝাতে হয়, তাহলেই সন্তানের জন্য আল্লাহওয়ালা-আল্লাহওয়ালী হওয়া সহজ হবে।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
যোদ্ধাদের হামলায় ভাঙারি হওয়া দখলদারদের আরেকটি ট্যাংক
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মাদ্রাসায় চালু হচ্ছে ‘ব্যবসায় শিক্ষা’, অনুমোদন পেতে শর্ত প্রযোজ্য
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সুদানে হতাহত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের পরিচয়সহ সর্বশেষ তথ্য জানাল আইএসপিআর
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মনোনয়ন বাণিজ্য গোপনে হয়, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা -ইসি সানাউল্লাহ
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নির্বাচন প্রশ্নে উভয় সংকটে জিএম কাদের!
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
বিচার বিভাগ পুরোপুরি স্বাধীনতা পায়নি -প্রধান বিচারক
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
যোদ্ধাদের হামলায় জঞ্জালে পরিণত দখলদারদের ট্যাংক
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সারা দেশের তাপমাত্রা নিয়ে যা জানাল আবহাওয়া অফিস
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ভারতের পেঁয়াজেও লাগাম পড়েনি বাজারে, আমদানি বাড়ছে
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
‘দিল্লির মসনদ’ জ্বালিয়ে দেয়ার হুঁশিয়ারি
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বিদেশি আগ্রাসী মাছ-কচ্ছপ ছেড়ে দেয়ায় চরম সংকট
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বিদেশি আগ্রাসী মাছ-কচ্ছপ ছেড়ে দেয়ায় চরম সংকট
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)












