দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ পাহাড় পরিমাণ সমস্যা নয় সাধারণ কিছু ব্যবস্থাতেই দ্রব্যমূল্য নামিয়ে আনা সম্ভব ইনশাআল্লাহ
, ১৮ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৫ খ্বমীছ ১৩৯১ শামসী সন , ০৪ অক্টোবর, ২০২৩ খ্রি:, ১৯ আশ্বিন, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) সম্পাদকীয়
দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি বাংলাদেশে এখন সবচেয়ে আলোচিত বিষয়। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের অস্বাভাবিক এবং আকস্মিক মূল্যবৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস অবস্থা।
দ্রব্যমূল্য আওতার বাইরে চলে গেলে শুধু দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী মানুষজন নয়, এর প্রভাব পড়ে মধ্যবিত্ত থেকে উচ্চমধ্যবিত্ত শ্রেণী পর্যন্ত। সরেজমিনে বাজার পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, চিকন-মোটা চাল ভেদে দাম বেড়েছে ৩০-৩৪ শতাংশ, পেঁয়াজের দাম বেড়েছে দেশী আমদানিভেদে ৬৬-৬৭ শতাংশ, ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে প্রায় ৪৫ দশমিক ৪৫ শতাংশ, সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে প্রায় ৭৬ দশমিক ৮২ শতাংশ, আটার দাম বেড়েছে ৪২ দশমিক ৮৫ শতাংশ, চিনির দাম বেড়েছে ৩৩ দশমিক ৩৪ শতাংশ পর্যন্ত, ডিমের দাম বেড়েছে ৩৮ দশমিক ৫৬ শতাংশ, গরুর গোশতের দাম বেড়েছে ১৯ দশমিক ২৩ শতাংশ পর্যন্ত। এসব পণ্য ছাড়াও মাছ-গোশত, সবজি, মসলাসহ প্রায় সব রকম নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামই আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। শুধু খাদ্যদ্রব্য নয়, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য যেমন জ্বালানি তেল, গ্যাস, পানিসহ বিদ্যুৎ ও পরিবহন সেবার মূল্যও ঊর্ধ্বমুখী।
সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন যুক্তি উত্থাপন করা হলেও মানুষের মাঝে আশার সঞ্চার হচ্ছে না। বিশেষ করে মধ্যবিত্ত সমাজের অবস্থা আরও বেগতিক। সরকারের কর্তাব্যক্তিরা মাইকে গলা ফাটিয়ে বক্তব্য দিলেও কোনো কাজে আসছে না বরং দেখে মনে হচ্ছে, সবকিছুই যেন সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। বিশ্ববাজারের দোহাই দিয়ে ব্যবসায়ীরা অবৈধ মুনাফা অর্জনের নেশায় মত্ত হয়ে পড়েছে। সবমিলিয়ে বর্তমান অবস্থা এতটা নাজুক যে, সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় মেটাতে অতীতের সঞ্চয়কে নষ্ট করছে কিংবা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়ে জীবন-যাপনের জন্য প্রয়োজনীয় কাজগুলোর সমন্বয় সাধন করছে। বাজারের নিত্যপণ্যের মধ্যে চাল-ডাল-তেল-মসলা-সিলিন্ডার গ্যাসের সমন্বয় করতে গিয়েই সারা মাসের বাজেট ব্যয় করতে হচ্ছে।
বাজারে বিভিন্ন পণ্যের ঘাটতি দেখা দিতে পারে এমন সংবাদের ফলে সামর্থ্যবান মানুষ অধিক পরিমাণে পণ্যসামগ্রী ক্রয় করে থাকে যার ফলে বাজারে চাহিদা ও জোগানের মধ্যে ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয় এবং সে সুযোগটা নেয় অসাধু ব্যবসায়ীরা।
আমাদের দেশে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পায় কারণে অকারণে। কোনো একটি অজুহাত পেলেই নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বাড়িয়ে দেয়া হয়। কখনও রোজা, কখনও ঈদ বা কখনও জাতীয় বাজেট ঘোষণার কারণে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করা এক নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বরং বলা যায় যে সেই প্রবণতা এখন বেড়ে গেছে মাত্রাতিরিক্ত হারে। আর এর অনেক কারণের মধ্যে প্রধানতম কারণ আমদানিনির্ভর ব্যবসা কুক্ষিগত হয়ে আছে গুটিকয়েক বৃহৎ ব্যবসায়ীর হাতে। আরেকটা অন্যতম কারণ দেশে খাদ্য উৎপাদন বিশেষ করে কৃষিপণ্য উৎপাদন পর্যাপ্ত বাড়লেও এর সুফল জনগণ পায় না শুধু আধুনিক স্টোরেজ সিস্টেম এবং মানসম্পন্ন বাজার ব্যবস্থা গড়ে তুলতে না পারার কারণে।
আগে বৃহৎ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি অনেক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী নিজেরাই আমদানি করত। ফলে খুচরা বাজারের জন্য অনেক বিকল্প সরবরাহকারী ছিল। কিন্তু ক্ষুদ্র আমদানিকারকের অর্থনৈতিক সেবা প্রদানকারীদের এক ধরনের বিমাতাসুলভ আচরণের কারণে তারা আর আমদানি ব্যবসায় টিকে থাকতে পারেনি। এখন সময় এসেছে এসব ক্ষুদ্র আমদানিকারকদের নতুন করে আমদানি ব্যবসায় নিয়োজিত করা।
পাশাপাশি এখন অসংখ্য শিক্ষিত বেকার যুবক চাকরির জন্য ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাদের মধ্য থেকে আগ্রহী এবং যোগ্যদের মনোনীত করে টিসিবি বা অন্যকোনো প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিশেষ প্রশিক্ষণ দিয়ে সফল ব্যাক্তিদের একটি সনদ প্রদান বা নিবন্ধনের মধ্যে নিয়ে আসা যেতে পারে। আর এসব নিবন্ধিত এবং সনদপ্রাপ্ত আমদানিকারকরা অনায়াসে এবং সহজশর্তে ব্যাংক থেকে এলসি খোলাসহ প্রয়োজনীয় ব্যাংকিং-সুবিধা পেতে পারে তার নিশ্চিয়তা বিধান করতে হবে। তাদের আমদানিকাজ এবং আমদানি পণ্য বাজারজাত করার ক্ষেত্রে যাতে বৃহৎ ব্যবসায়ীরা কোনোরকম বিঘœ সৃষ্টি করতে না পারে এবং কোনোরকম ভয়ভীতি দেখাতে না পারে সেই ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে সরকারকে। এই উদ্যোগ সফল করতে পারলে যুগপৎ দুটো লাভ হবে।
একদিকে বেকার সমস্যার সমাধান হবে এবং সেসঙ্গে আমদানি ব্যবসা গুটিকয়েক আমদানিকারকের হাতে কুক্ষিগত না থেকে দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়বে ফলে সিন্ডিকেট বা কোনোরকম যোগসাজশে বাজার নিয়ন্ত্রণ করার কাজটি কঠিন হয়ে যাবে। উন্নত বিশ্বের বাজারও একসময় বৃহৎ রিটেইল কোম্পানির ওপর অতিমাত্রায় নির্ভরশীল হয়ে উঠেছিল। তখন কমিউনিটি-ভিত্তিক অসংখ্য ছোট ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানকে উৎসাহিত করে বাজারে একটা ভারসাম্য রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে।
আমাদের দেশে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে বহুগুণ। তাই এই কৃষির সফলতাকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে হলে আধুনিক স্টোরেজ সিস্টেম এবং সুশৃঙ্খল বাজার ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।
বলাবাহুল্য এসব তখনই সম্ভব হবে যখন সরকার সক্রিয় হবে। তবে সরকারকে কর্মতৎপর হওয়ার জন্য জনগণকেই জোর আওয়াজ তুলতে হবে।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। (আমীন)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
দেশে মানসিক রোগীর সংখ্যা প্রায় ৪ কোটি। বিপরীতে স্বাস্থ্য বাজেটের মাত্র ০.৪৪% ব্যয় হচ্ছে মানসিক চিকিৎসায়। রয়েছে মানসিক বিশেষজ্ঞ ও দক্ষ জনবল সঙ্কট। সরকারের উচিত, দেশের মানসিক চিকিৎসা ব্যবস্থায় উন্নত করা এবং পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দ করা।
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
অবৈধ পথে বিদেশে গিয়ে ভয়াবহ নির্যাতিত হওয়ার পাশাপাশি নিঃস্ব হচ্ছে বহু পরিবার। মানব পাচার রোধে শক্ত ও সমন্বিত ব্যবস্থা নেয়া জরুরী দরকার।
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
আজ মহাসম্মানিত ১২ই জুমাদাল উখরা শরীফ। যা সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম, মহাসম্মানিত রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার মহিমান্বিত, মহাপবিত্র ১২ তারিখ উনার সাথে সম্পর্কযুক্ত। সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার শান মান মুবারক অনুভব করা, মর্যাদা-মর্তবা মুবারক জানা, দয়া-ইহসান মুবারক উপলব্ধি করা সর্বোপরি নেক ছায়াতলে উপনীত হওয়া বর্তমান যামানায় সবার জন্যই ফরজ।
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
৩ লাখ কোটি টাকা মূল্যের ৯ হাজার একর বেদখল হওয়া রেলের জমি উদ্ধারে অতীতের মত বর্তমান সরকারও ব্যার্থ হচ্ছে কথিত গলদ আইন ও লোক দেখানো উদ্ধার প্রক্রিয়া এবং লোভী জনগণের বিপরীতে খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র চেতনাতেই সফলতা ও প্রাপ্তি সম্ভব ইনশাআল্লাহ
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
স্বামী-স্ত্রীর সহজাত খুনসুটিকে বৈবাহিক ধর্ষণ সংজ্ঞায়িত করার সরকারী উসকানি এখন বাবা-মায়ের শাসনকেও মামলায় গড়িয়েছে। পারিবারিক বন্ধন ধ্বংস, এল.জি.বি.টি.কিউ আন্দোলনের কুচক্রী, কুশীলবদের কুতৎপরতা রোধে ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানকে এক্ষণি সোচ্চার হতে হবে ইনশাআল্লাহ
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রতি বছর সাপের কামড়ের শিকার ৯৬ হাজার মানুষ, মৃত্যু ১০ হাজারের বেশী। প্রতিদিন মারা যায় প্রায় ২৫ জন। অ্যান্টিভেনম সহজলভ্য করতে হবে। দেশেই উৎপাদনের ব্যবস্থা করতে হবে। ইনশাআল্লাহ!
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
জনঘনত্বের কারণে- বেশী তাপমাত্রা, রোগব্যাধি, বায়ূ দূষণ, শব্দ দূষণ, যানজট পানিবদ্ধতা সহ বিভিন্ন দুর্বিষহ ও দমবদ্ধ অবস্থায় বিপর্যস্থ ঢাকা এখন সম্পূর্ণভাবে বসবাসের অযোগ্য। নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার আগেই ঢাকাকে বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে ইনশাআল্লাহ
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মুবারক হো মহিমান্বিত ৯ই জুমাদাল ঊখরা শরীফ! আজ ক্বায়িম-মাক্বামে সিবতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সাইয়্যিদুল উমাম আল খ¦মিস আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
দেশের ৪ কোটি মানুষ না খেয়ে থাকে। অথচ বছরে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার শস্য নষ্ট হয় খাদ্য অপচয় রোধ করতে ‘নিশ্চয়ই অপব্যয়কারীরা শয়তানের ভাই’- পবিত্র কুরআন শরীফ উনার এই নির্দেশ সমাজের সর্বাত্মক প্রতিফলন ব্যতীত কোনো বিকল্প নেই।
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
দেশে মানসিক রোগীর সংখ্যা প্রায় ৪ কোটি। বিপরীতে স্বাস্থ্য বাজেটের মাত্র ০.৪৪% ব্যয় হচ্ছে মানসিক চিকিৎসায়। রয়েছে মানসিক বিশেষজ্ঞ ও দক্ষ জনবল সঙ্কট।
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ, মহাসম্মানিত রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার মহিমান্বিত, মহাপবিত্র ৭ তারিখ উনার সাথে সম্পর্কযুক্ত পবিত্র ৭ই জুমাদাল ঊখরা শরীফ আজ।
২৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নিজেদের ক্যাশিয়ারদের সুযোগ করে দেয়ার জন্য পতিত সরকার দেশের চিনি শিল্পকে ধ্বংস করেছিলো। (নাউযুবিল্লাহ) যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করলে অতীতের মত চিনি রফতানী করা যাবে ইনশাআল্লাহ খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পরিক্রমায় চললেই সে প্রজ্ঞা পাওয়া সম্ভব ইনশাআল্লাহ!
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)












