ধ্বংসস্তূপে ফিলিস্তিনিদের ফেরায় যত চ্যালেঞ্জ
, ২১ রবিউছ ছানী শরীফ, ১৪৪৭ হিজরী সন, ১৫ খমীছ, ১৩৯৩ শামসী সন , ১৪ অক্টোবর, ২০২৫ খ্রি:, ৩০ আশ্বিন, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) দেশের খবর
ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম ধাপে স্বাক্ষরের পর সব শর্ত ও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে সমঝোতা হয়েছে। এর ফলে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকায় ফিরছেন বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা। তবে তারা ফিরবেন কোথায়? সব জায়গাতো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। রাস্তাঘাট নেই। বাড়িঘর গুঁড়িয়ে গেছে। ধ্বংসাবশেষের নিচে চাপা পড়ে আছে প্রিয়জনের মরদেহ। এমন পরিস্থিতিতে নিজভূমে ফেরা ফিলিস্তিনিদের জন্য পদে পদে চ্যালেঞ্জিং হবে।
গাজার ফিলিস্তিনিরা স্থায়ী যুদ্ধবিরতির আশায় রয়েছেন। তবে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পরও তারা নিজেদের শহর, গ্রাম পুনর্গঠনের দীর্ঘ ও জটিল পথেই থাকবেন। আর তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফেরাও হবে কষ্টকর। এখন গাজাকে বাসযোগ্য করাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, গাজা পুনর্গঠনের জন্য ৫০ বিলিয়ন ডলারের বেশি খরচ হবে। আর পুরো উপত্যকাকে ফের বাসযোগ্য করতে কমপক্ষে ১৫ বছর সময় লাগতে পারে।
ট্রাম্পের পরিকল্পনার একটি শর্ত হলো-হামাসকে ক্ষমতা ছাড়তে হবে। তবে গাজার ভবিষ্যতের জন্য পুনর্গঠন গুরুত্বপূর্ণ হলেও ভয় রয়েছে যে, হামাস ক্ষমতা ছাড়লে উপত্যকাটি অরাজকতা ও সংঘাতে জড়িয়ে পড়তে পারে। গাজাভিত্তিক সাংবাদিক ইয়াসের আল-বানা বলছিলেন, ‘গাজায় হামাস সরকারের একটি সুবিধা হলো তারা নিরাপত্তা বজায় রাখে।’ ইসরায়েল গাজা ছাড়লে তারা টিকে থাকবে না। কারণ ফিলিস্তিনি সমাজ এমন লোকেদের উপেক্ষা করবে, যারা অধিকাংশের চোখে বিশ্বাসঘাতক। তবে দলীয় সংঘাত, বিশেষ করে ফাতাহ ও হামাসের মধ্যে সংঘাত সমস্যার কারণ হতে পারে বলে তিনি সতর্ক করেন।
গাজায় থাকতে বাধ্য ফিলিস্তিনিদের মানসিক ট্রমার সঙ্গে লড়তে হবে। ইসরায়েলি হামলায় তারা পরিবার, বন্ধু, বাড়ি আর ভবিষ্যৎ সব হারিয়েছেন। এসব ক্ষতি মেনে নেওয়ার বা শোক প্রকাশ করার জন্যও তাদের সময় হয়নি। গাজার ফিলিস্তিনিদের লড়াই কেবল শারীরিক নয়, মানসিকভাবেও অত্যন্ত কঠিন। যুদ্ধ শুরুর আগে ২০২২ সালে সেভ দ্য চিলড্রেনের এক সমীক্ষায় দেখা যায়, গাজার পাঁচটি শিশুর মধ্যে চারটিই অবসাদ, শোক ও ভয়ের মধ্যে জীবনযাপন করছে। ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস (এমএসএফ) জানায়, গাজার ফিলিস্তিনিদের ওপর চালানো এই গণহত্যার কারণে যে সামষ্টিক ট্রমা এসেছে, তা অতীতের সাধারণ যুদ্ধ বা বিপর্যয়ের চেয়ে অনেক গভীর ও ভয়ংকর।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
কারও দলীয় স্বার্থ বাস্তবায়ন করা এই সরকারের কাজ নয় -তারেক রহমান
০৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
চলতি সপ্তাহেই যেসব এলাকার নামবে ১৫ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা
০৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
‘দুই কোটি টাকা দিয়ে নিবন্ধন পেয়েছে ডেসটিনির আম জনগণ পার্টি’
০৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বাংলাদেশ ছাত্র হিযবুল্লাহ’র কেন্দ্রীয় কাউন্সিল
০৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মাদক পাচারের হটস্পট লালমনিরহাট সীমান্ত
০৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
‘জামাত মওদুদী’র ইসলামে বিশ্বাসী’
০৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
‘ভারত বহু চেষ্টা করেও হেজেমনিক রাষ্ট্র হতে পারেনি’
০৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বিচার বিভাগকে সময়ের সঙ্গে প্রাসঙ্গিক হতে হবে -প্রধান বিচারক
০৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বৈষম্যবিরোধী আইনের সংজ্ঞাই বৈষম্যমূলক -অ্যাটর্নি জেনারেল
০৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
‘হাসিনার মতো আর কোনো শিক্ষকের গায়ে হাত তুলবেন না’
০৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
জোর করে কিছু রাজনৈতিক দল দাবি আদায় করতে চায় -আমীর খসরু
০৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
‘শেখ হাসিনা-আ. লীগ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে’
০৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)












