নতুন সরকার গঠনের পর প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফরে ভারত ও চীন যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী

, ২৫ রমাদ্বান শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৬ হাদী আশার, ১৩৯১ শামসী সন , ০৫ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রি:, ২৩ চৈত্র, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) দেশের খবর

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ভারত ও চীনের সাথে বড় পরিসরে সম্পৃক্ত হওয়ার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী তিন মাসের মধ্যে নয়াদিল্লি ও বেইজিংয়ে দ্বিপক্ষীয় সফরে যেতে পারেন।

গত ৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনে জয় নিশ্চিত করে নতুন সরকার গঠনের পর প্রধানমন্ত্রী ফেব্রুয়ারিতে মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দিতে জার্মানি সফর করেন।

একটি কূটনৈতিক সূত্র বলছে, প্রতিবেশী দেশ জুনের প্রথম সপ্তাহে নতুন সরকার নির্বাচন করার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথমে ভারতের সাথে দ্বিপক্ষীয় সফর শুরু করবেন।

ভারতে পাঁচ বছরের জন্য সরকার নির্বাচনের জন্য নির্বাচন ১৯ এপ্রিল থেকে ১ জুনের মধ্যে সাত ধাপে অনুষ্ঠিত হবে এবং ভোট গণনা করা হবে ৪ জুন।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বাধীন জোট পার্লামেন্টের নির্বাচনে প্রায় তিন-চতুর্থাংশ আসনে জয়লাভ করতে পারে বলে এক জরিপে উঠে এসেছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর (শেখ হাসিনা) ভারত সফর অবশ্যই হবে। তবে তা হবে ভারতের নির্বাচনের পর। ’

তিনি বলেন, সফরটি ঠিক কবে হবে, তা নিয়ে সরকারি পর্যায়ে এখনো আলোচনা হয়নি।

জানুয়ারিতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আন্তরিক অভিনন্দন জানায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি।

এদিকে একটি কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, পুনর্নির্বাচিত হলে মোদি তার শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দক্ষিণ এশিয়া ও বিমসটেকের সদস্য দেশগুলোর সরকার প্রধানদের আমন্ত্রণ জানাতে পারেন।

ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাৎ করে বাংলাদেশে চীনা কোম্পানিগুলোর বৃহত্তর বিনিয়োগ এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে চীনের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে।

সে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বিশেষ করে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও জনগণ থেকে জনগণে যোগাযোগের ক্ষেত্রে উন্নয়নের সম্ভাবনা তুলে ধরে। পাশাপাশি জুলাইয়ে প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন চীন সফর এই বিষয়গুলোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হবে বলে আশা প্রকাশ করে।

ট্যাগসমূহঃ