নাগার্নো-কারাবাখ যুদ্ধবিরতির পর আজারবাইজান এবং জাতিগত আর্মেনীয়রা আলোচনায় বসেছে
এডমিন, ০৭ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২৫ রবি’ ১৩৯১ শামসী সন , ২৩সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ০৮ আশ্বিন, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) বিদেশের খবর

গত বৃহস্পতিবার নাগার্নো-কারাবাখের জাতিগত আর্মেনিয়ান প্রতিনিধিরা বিচ্ছিন্ন অঞ্চলের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনার করার জন্য আজারবাইজান সরকারের সাথে সাক্ষাৎ করেছে।
নাগার্নো-কারাবাখের স্থানীয় যোদ্ধারা আজারবাইজানের বাহিনীর অভিযান শেষ করতে অস্ত্র জমা দিতে সম্মত হওয়ার একদিন পর আজারবাইজানের ইয়েভলাখ-এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। গত বৃহস্পতিবার পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ নিজস্ব আলোচনায় বসে।
নাগার্নো-কারাবাখের প্রধান শহরে গত বৃহস্পতিবার বন্দুকযুদ্ধের খবর পাওয়া গেছে। এটিকে আর্মেনীয়রা স্টেপানাকার্ট বলে এবং আজারীরা বলে খানকেন্দি। জাতিগত আর্মেনীয়রা আজারবাইজানকে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের জন্য অভিযুক্ত করেছে। আজারবাইজানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
ওই অঞ্চলের রাশিয়ার শান্তিরক্ষী রয়েছে। তারা বলেছে, তারা ওই এলাকা থেকে পাঁচ হাজার বেসামরিক নাগরিককে সরিয়ে নিয়েছে।
নাগার্নো-কারাবাখে আর্মেনিয়ানদের রক্ষা করার জন্য এবং প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশনিয়ানের পদত্যাগের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাতে গত বুধবার হাজার হাজার বিক্ষোভকারী আর্মেনিয়ার রাজধানী ইয়েরেভানে জড়ো হয়।
আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ বুধবার এক ভাষণে নিজের বিজয় দাবি করে বলেছেন, আজারবাইজান এই অঞ্চলের সার্বভৌমত্ব পুনরুদ্ধার করেছে।
আজারবাইজান বলেছে, তারা ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণের প্রতিক্রিয়া হিসেবে মঙ্গলবার তাদের অভিযান শুরু করেছে। ওই বিস্ফোরণে চারজন সেনা সদস্য এবং দুজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে।
নাগর্নো-কারাবাখ অঞ্চলটি সম্পূর্ণরূপে আজারবাইজানের মধ্যে অবস্থিত কিন্তু এটি মূলত জাতিগত আর্মেনিয়ান অধ্যুষিত অঞ্চল। ১৯৯৪ সাল থেকে অঞ্চলটি জাতিগত আর্মেনিয়ানদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। ২০২০ সালের একটি যুদ্ধের পরে এটির কিছু অংশ আজারবাইজান পুনরুদ্ধার করেছিল।
এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি, এএফপি এবং রয়টার্স থেকে নেয়া হয়েছে।