নাজরান অভিযান
, ১৭ শা’বান শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২০ তাসি’, ১৩৯২ শামসী সন , ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রি:, ০৩ ফালগুন, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) আইন ও জিহাদ

সম্মানিত হিজরী তৃতীয় বৎসরের অন্যতম উল্লেখ যোগ্য ঘটনা হচ্ছে, নাজরানদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা। একে বানী সুলাইমের অভিযানও বলা হয়। ওই অভিযানের কারণ ছিলো এরকম- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সংবাদ জানানো হলো যে, সেখানে বানী সুলাইম গোত্রের লোকেরা হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের বিরুদ্ধে একত্রিত হচ্ছে।
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ৩০০ জন হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের নিয়ে সেখানে তাশরীফ মুবারক গ্রহণ করলেন। দেখলেন, বিভিন্ন পানির কূপ ও অন্যান্য পানির নালাগুলোতে তারা বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে আছে। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সামনে অগ্রসর হলেন। মোকাবেলা করার জন্য কেউ এগিয়ে এলো না। পরে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র মদীনা শরীফ উনার মধ্যে ফিরে এলেন। ঐ সময় নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র মদীনা শরীফ উনার প্রতিনিধি বানিয়েছিলেন সাইয়্যিদুনা হযরত ইবনে কুলছুম আলাইহিস সালাম উনাকে। এই অভিযানে সময় ব্যয় হয়েছিল ১০ দিন। সুবহানাল্লাহ!
সম্মানিত ৩য় হিজরীতেই কারওহ নামক স্থানের দিকে অভিযান পরিচালিত হয়। নজদের কূপসমূহের মধ্যে এটি একটি কূপের নাম। ওই কূপের নামানুসারেই সে জায়গাটির নামকরণ করা হয় কারওহ। ওই অভিযানের পটভূমি ছিলো এ রকম- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খিদমত মুবারকে সংবাদ জানানো হলো যে, কুরাইশ কাফির মুশরিকরা হিজাজের রাস্তা দিয়ে সিরিয়ায় যেতো। কিন্তু সম্মানিত বদর জিহাদের পর থেকে তারা ও পথ মাড়াতো না। বাণিজ্যে যেতো ইরাকের পথ ধরে। কথিত কাফিলা একটি বিরাট বাণিজ্য বহরের সঙ্গী হয়ে যাত্রা করেছিলো। উক্ত কাফিলায় ছিলেন হযরত আবু সুফিয়ান ইবনে হারব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু (তিনি তখনও উনার ঈমান আনার বিষয়টি প্রকাশ করেননি) এবং সাফওয়ান ইবনে উমাইয়া। তাদের সঙ্গে অনেক ধন-দৌলত এবং রৌপ্যের তৈজসপত্র ছিলো। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত যায়িদ ইবনে হারিছা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে হিজরত মুবারক উনার আটাশতম মাস জুমাদাল ঊখরা শরীফ উনার প্রথম তারিখে একশ’ আরোহীর সঙ্গে রওয়ানা হওয়ার নির্দেশ মুবারক দিলেন। তিনি উনার বাহিনী সহকারে উক্ত কাফিলার মুখোমুখি হয়ে গেলেন। বাহিনী দেখে কাফিলার নেতৃস্থানীয়রা পালিয়ে গেলো। অবশিষ্টদেরকে বন্দী করে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খিদমত মুবারকে নিয়ে আসলেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তাদের থেকে প্রাপ্ত মালের এক পঞ্চমাংশ বের করার নির্দেশ মুবারক দান করলেন। অপর এক বর্ণনানুসারে এই কাফিলায় সম্পদের পরিমাণ ছিলো, ২৫ হাজার দিরহাম। বাকি সম্পদ অভিযানে অংশগ্রহণকারী হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের মাঝে বন্টন করে দিলেন। সুবহানাল্লাহ! এই অভিযানটি কাট্টা কাফির কা’ব ইবনে আশরাফকে হত্যা করার পূর্বে সংঘটিত হয়েছিলো বলে হযরত ইবনে ইসহাক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বর্ণনা করেছেন। (মাদারেজুন নবুওওয়াত)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
বদরের জিহাদে সংঘটিত বিশেষ কয়েকটি ঘটনা
১৮ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, রহমাতুল্লিল আলামীন, ক্বয়িদুল মুরসালীন, রউফুর রহীম, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র জীবনী মুবারক (২২৭৫)
১৮ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, রহমাতুল্লিল আলামীন, ক্বয়িদুল মুরসালীন, রউফুর রহীম, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র জীবনী মুবারক (২২৭৪)
১১ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, রহমাতুল্লিল আলামীন, ক্বয়িদুল মুরসালীন, রউফুর রহীম, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র জীবনী মুবারক (২২৭৩)
০৪ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, রহমাতুল্লিল আলামীন, ক্বয়িদুল মুরসালীন, রউফুর রহীম, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র জীবনী মুবারক (২২৭২)
২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, রহমাতুল্লিল আলামীন, ক্বয়িদুল মুরসালীন, রউফুর রহীম, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র জীবনী মুবারক (২২৭১)
১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, রহমাতুল্লিল আলামীন, ক্বয়িদুল মুরসালীন, রউফুর রহীম, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র জীবনী মুবারক (২২৭০)
১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সম্মানিত জিহাদ মুসলমানদের একটি বিশেষ ফরয ইবাদত
১০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
৩য় হিজরী মুবারকের সম্মানিত গাতফানের জিহাদ (২)
১০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, রহমাতুল্লিল আলামীন, ক্বয়িদুল মুরসালীন, রউফুর রহীম, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র জীবনী মুবারক (২২৬৯)
০৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
৩য় হিজরী মুবারকের সম্মানিত গাতফানের জিহাদ (১)
০৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক
৩০ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)