নিঃশব্দে মারা যাচ্ছি, কেউ আমাদের আর্তনাদ শুনছে না!’
-আকাশ, সাগর ও স্থলপথে একযোগে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েল
, ৩০ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৭ খ্বমীছ ১৩৯১ শামসী সন , ১৬ অক্টোবর, ২০২৩ খ্রি:, ৩১ আশ্বিন, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) তাজা খবর
-গাজায় মানবিক বিপর্যয়, লাশ আর লাশ
আল ইহসান ডেস্ক:
গাজার বাসিন্দারা কতটা ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে আছে তা এই কথায় স্পষ্ট ফুটে উঠেছে। আল-জাজিরাকে গাজার বাসিন্দা আফনান এলমাসরি অডিও বার্তায় আকুতি জানিয়েছেন, যেন বিশ্ববাসী গাজাকে বাঁচাতে অবিলম্বে কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়।
অসহায় এই বাসিন্দা বলেন, ‘এই মুহূর্তে বেঁচে আছি। কিন্তু কতক্ষণ বেঁচে থাকব জানি না। হয়ত কয়েক মুহূর্ত পরে মারা যাবো।’
তিনি বলেন, ‘আমরা এখানে নিঃশব্দে মারা যাচ্ছি। কেউ আমাদের আর্তনাদ শুনছে না!’
আফনান এলমাসরি বলেন, ‘গাজায় ইসরাইলের রকেট আর মিসাইলের চেয়ে বিকট কোনো শব্দ নেই। মৃত্যুর চেয়ে প্রবল কোনো শব্দ নেই!’
‘আমার প্রশ্ন, গাজার গণহত্যা কি বিশ্বকে নাড়িয়ে দেয়ার জন্য যথেষ্ট নয়?’
তিনি বিশ্ববাসীকে অনুরোধ করেন, ‘যারা আমার কণ্ঠ শুনেছেন তাদের সবাইকে বলছি, দয়া করে গাজাকে বাঁচাতে অবিলম্বে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করুন।’
ইসরায়েলকে সহায়তায় সর্বাত্মক তৎপর পশ্চিমা বিশ্ব, ফিলিস্তিনের পাশে নেই কেউ:
ইসরায়েলের পক্ষে সক্রিয়ভাবে মাঠে নেমে গেছে মিত্ররা। অস্ত্র দিয়ে সহায়তার পাশাপাশি কূটনৈতিক তৎপরতাও চালিয়ে যাচ্ছে পশ্চিমারা। বিপরীতে ফিলিস্তিনের পাশে নেই প্রভাবশালী আরব দেশগুলো। কেবল বিবৃতি দিয়েই দায় সারছে তারা। নির্বিচারে ফিলিস্তিনিদের হত্যা করলেও নিশ্চুপ তারা। ক্ষুব্ধ গাজার মানুষের প্রশ্ন, কোথায় আরবরা? খবর আল জাজিরার।
মূলত হিজবুল্লাহসহ বিভিন্ন গোষ্ঠীর সমর্থন আর বিভিন্ন দেশে সাধারণ মানুষদের বিক্ষোভ-প্রতিবাদ ছাড়া, রাষ্ট্রীয়ভাবে ফিলিস্তিনের পাশে এগিয়ে আসেনি কোনো দেশ। মাতৃভূমিতে ফিলিস্তিনিদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার এই লড়াইয়ে যেন পাশে কেউই নেই। নিন্দা, সংঘাত বন্ধের আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি, মুসলিম বিশ্বের ভূমিকা কেবল এটুকুই। গাজাবাসীর কণ্ঠে ঝরছে আরব বিরোধী ক্ষোভ আর শেষ পর্যন্ত লড়ে যাওয়ার প্রত্যয়।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে তারা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ফ্রান্স সবাই সাহায্য করছে ইসরায়েলকে। তাদের অপরাধে পুরো পশ্চিমা বিশ্ব পাশে আছে।
মুসলিম বিশ্বের তৎপরতা নজরে না এলেও, ইসরায়েলের পক্ষে পশ্চিমাদের দৌঁড়ঝাপ চোখে পড়ার মতো। কেবল মুখে মুখে সমর্থন নয়। অস্ত্র সরঞ্জাম দিয়ে তেল আবিবের পাশে আছে তারা। অথচ বছরের পর বছর নিপীড়িত ফিলিস্তিনিদের এই দুর্দিনে সক্রিয়ভাবে পাশে নেই কোনো দেশ।
মর্গে জায়গা নেই, লাশ রাখা হচ্ছে আইসক্রিমের ট্রাকে:
ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর হামলায় মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে গাজা উপত্যকা। যেখানে–সেখানে পড়ে আছে লাশ। সেসব লাশ নিয়ে রাখা যাচ্ছে না হাসপাতালের মর্গেও। কেননা হাসপাতালের মর্গও এরই মধ্যে লাশে ভর্তি। এ কারণে আইসক্রিমের ট্রাকে রাখা হচ্ছে ফিলিস্তিনিদের লাশ।
এক প্রতিবেদনে এমন তথ্যই দিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন। এই ঘটনার একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরা। ভিডিওতে দেখা যায়, শুধু আইসক্রিমের ট্রাকে নয়, রেফ্রিজারেটর সুবিধা থাকা খাবার বহনকারী গাড়িতেও রাখা হচ্ছে লাশ।
এসব গাড়ি গাজার স্থানীয় কয়েকটি ফ্যাক্টরি থেকে এনেছে একটি হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ। দেইর আল বালাহ এলাকার সেই হাসপাতালের ফরেনসিক প্যাথলজিস্ট ইয়াসির খাতাব বলেন, প্রতিদিন মৃত্যু বাড়ছেই। এ কারণে বাধ্য হয়ে ট্রাকে লাশ রাখতে হচ্ছে।
ধ্বংস করে দেয়া ভবন থেকে প্রতিক্ষণই বেরুচ্ছে মৃতদেহ। আল শিফা হাসপাতাল একবারে প্রায় ৩০টি মৃতদেহ হ্যান্ডেল করতে পারে। কিন্তু তার চেয়ে তিনগুন চারগুন লাশ আসছে। ফলে মর্গের করিডোরে রাখা হচ্ছে তা। পার্কিং এলাকায় পাশাপাশি শুইয়ে রাখা হয়েছে বহু মৃতদেহ। তা ঘিরে আত্মীয়স্বজনরা। তারা প্রিয়জনের মৃতদেহটি শনাক্ত করার চেষ্টা করছেন।
আল শিফা হাসপাতালের একজন নার্স আবু ইলিয়াস শোবাকি বলেন, মৃতদেহ বহনকারী ব্যাগ আসছে তো আসছেই। এখন এই হাসপাতাল যেন একটি গোরস্তানে পরিণত হয়েছে। আমি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছি। শরীর আর কাজ করছে না। এই পরিস্থিতি আরও কত ভয়াবহ হবে তা নিয়ে চিন্তাভাবনা বাদ দিয়েছি। এখন লাশের সারি পার্কিং এলাকায় বিস্তৃত হয়েছে।
গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল কিদরা বলেন, আমাদের অবস্থা শোচনীয়। জ্বালানি না থাকায় আহতদের উদ্ধারে যেতে পারছে না অ্যাম্বুলেন্স। আহতদেরকে আইসিইউতে নেয়া যাচ্ছে না। মৃতদের নেয়া যাচ্ছে না মর্গে। হাসপাতালের বাইরে সাদা ব্যাগে ভর্তি লাশ দেখেই বোঝা যায় গাজায় কি নৃশংসতা চালাচ্ছে ইসরাইল।
গাজায় আকাশ, সাগর ও স্থলপথে একযোগে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েল:
গাজায় আকাশ, সাগর ও স্থলপথে একযোগে হামলার পরিকল্পনা করছে ইসরায়েল। কোনো সুনির্দিষ্ট সময়সীমা উল্লেখ না করে এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী এ কথা জানিয়েছে। খবর বিবিসি’র।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু যুদ্ধক্ষেত্রে সম্মুখ যুদ্ধের সেনাদের জানায় খুব শিগগিরই গাজায় ব্যাপক আকারের স্থল অভিযান শুরু হচ্ছে। এ সময় সে বলেছে, ‘যুদ্ধের পরবর্তী ধাপ আসছে।’
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
দখলদারদের সজ্জিত সামরিক যানের দিকে তাক করা অস্ত্রই বলে দেয় কত জানবাজ একেকজন বীর যোদ্ধা
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
বাজার থেকে কিটক্যাট চকলেটের লট অপসারণের নির্দেশ
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ওমরাহ করানোর কথা বলে ভোট চাচ্ছে জামাতের প্রার্থী
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ওমরাহ করানোর কথা বলে ভোট চাচ্ছে জামাতের প্রার্থী
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
হাদির হামলাকারীদের পালিয়ে যাওয়ার তথ্য নিশ্চিত না -বিজিবি
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
‘রাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ ও প্রার্থীদের আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স দিতে নীতিমালা জারি
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
বন্যহাতির ভিডিও করতে গিয়ে পিষ্ট হয়ে চা দোকানির মৃত্যু
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিক ডেকে মামলা দায়েরের ঘটনায় সম্পাদক পরিষদের নিন্দা
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মোবাইল আমদানিতে শুল্ক কমাবে এনবিআর
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
যোদ্ধাদের হামলায় ভাঙারি হওয়া দখলদারদের আরেকটি ট্যাংক
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মাদ্রাসায় চালু হচ্ছে ‘ব্যবসায় শিক্ষা’, অনুমোদন পেতে শর্ত প্রযোজ্য
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সুদানে হতাহত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের পরিচয়সহ সর্বশেষ তথ্য জানাল আইএসপিআর
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)












