নিকলীর হাওরে জিরাতিদের কষ্টের জীবন
, ০৭ শাবান শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২০ তাসি’, ১৩৯১ শামসী সন , ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ খ্রি:, ০৫ ফাল্গুন, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) তাজা খবর
কিশোরগঞ্জ সংবাদদাতা:
কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার বিস্তীর্ণ হাওর জুড়ে বোরো ধানের সমারোহ। যত দূর চোখ যায়, যেন সোনালি ধানের সাম্রাজ্য! এই সাম্রাজ্য গড়তে গহিন হাওরে বছরের অর্ধেক জুড়ে পড়ে থাকে একদল মানুষ। স্থানীয়ভাবে এরা জিরাতি নামে পরিচিত, মূলত কৃষি শ্রমিক।
বোরো মৌসুমে হাওরে ছোট ছোট কুঁড়েঘর বানিয়ে এতে থাকেন জিরাতিরা। আশপাশের কয়েক কিলোমিটারের মধ্যে গাছপালা কিংবা ছায়া নেই। কিশোরগঞ্জের নিকলী, মিঠামইন, ইটনা ও অষ্টগ্রাম -এ চারটি হাওর উপজেলায় কার্তিক থেকে বৈশাখ মাস পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে গলাঘরে বসবাস করেন বিভিন্ন এলাকার প্রায় ৩০ হাজার জিরাতি।
লোকালয় থেকে বহু দূরে অবস্থিত কিশোরগঞ্জের বিভিন্ন হাওরে অস্থায়ী গলাঘর তৈরি করে বসবাস করছেন হাজার হাজার কৃষক। ‘জিরাতি’ নামে পরিচিত এসব কৃষক গবাদি পশুর সঙ্গে গাদাগাদি করে ঝড়ঝঞ্ঝা আর বজ পাতে ঝুঁকির মধ্যেই কষ্টে বোনা ফসল ঘরে তুলতে দিনরাত পরিশ্রম করেন।
হাওরে ধানখেতের মাঝখানে চোখে পড়বে ছোট ছোট এসব কুঁড়েঘর। সামান্য উঁচু জমিতে তৈরি এসব অস্থায়ী ঘরে বাস করেন কয়েক শ কৃষক। জীবনের ঝুঁকির নিয়ে বছরের ছয় মাস জীবনকে তুচ্ছ করে মাঠে পড়ে থাকেন হাজার হাজার কৃষক। গবাদি পশুর সঙ্গে গাদাগাদি করে গলাঘরে রাত কাটান তারা। এসব মানুষের নেই বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা, স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট কিংবা রাতে ঘুমানোর মতো জায়গা।
তবে এ সবকিছু তুচ্ছ করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কৃষকরা বছরের ছয়টি মাস পড়ে থাকেন হাওরে। নিজেদের ঘরবাড়ি, আত্মীয়স্বজন ফেলে কার্তিক মাসে তারা পাড়ি জমান হাওরে। জমি তৈরি করা, চারা রোপণ, সেচ, পরিচর্যা থেকে শুরু করে ধান কাটা, মাড়াই, ঝাড়াই শেষে নতুন ধান সঙ্গে নিয়ে বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসে বাড়ি ফেরেন জিরাতিরা। ফলন ভালো হলে তাদের মুখে হাসি ফোটে। ভুলে যান পেছনের দুঃখ-কষ্ট। আবারও প্রস্তুতি নেন পরের বার হাওরে যাওয়ার।
বছরের পর বছর, যুগের পর যুগ এভাবেই চলছে জিরাতিদের জীবনচক্র! বাপ-দাদা থেকে শুরু করে তাদেরও আগের বংশধররা এভাবেই চালাচ্ছেন নিজেদের কৃষিকাজ। কিন্তু নিজের জীবন বাজি রেখে দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এই খাদ্য সৈনিকদের খবর নেয় না কেউ। তাদের জিরাতিকালে জীবনমান উন্নয়ন কিংবা সামান্য পানি আর স্যানিটেশন নিশ্চিত করা হলে দেশের জন্য তারা আরো বেশি অবদান রাখতে পারবেন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
দখলদারদের কোটি কোটি ডলার অর্থব্যয়ে নির্মিত বহু ড্রোন সহজেই বিধ্বস্ত করেছেন যোদ্ধারা
২৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ট্রমায় শিল্প-বিনিয়োগ সরকার ধারদেনায়
২৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
৩০ দিনের মধ্যে হাদি হত্যার বিচার-দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি
২৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
বাকৃবিতে উদ্ভাবিত কৃষি প্রযুক্তি মাঠপর্যায়ে হস্তান্তর জোরদারের দাবি
২৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নিশ্চিদ্র নিরাপত্তায় সরকারের সঙ্গে দলেরও ব্যাপক প্রস্তুতি
২৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সঞ্চয়পত্র থেকে বাড়ছে সরকারের ঋণ
২৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ভারতীয় অস্ত্র মজুদের খবরে সীমান্ত এলাকায় অভিযান
২৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মাথায় বালিশ ঠেকিয়ে গুলি, কাটা হতো পেট
২৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
আল কাসসাম ব্রিগেডে ৩০ হাজার তরুণকে অন্তর্ভুক্ত করলো হামাস
২২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
চরমপন্থীরা ওই এলাকার মধ্যে আসতে পারবে কেন -পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
২২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
বিএনপিকে যে পরামর্শ দিলেন গণমাধ্যম কর্তাব্যক্তিরা
২২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
ফুলকপির কেজি মাত্র ২ টাকা!
২২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)












