যিনি খালিক্ব, মালিক, রব, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “মহান আল্লাহ পাক তিনি মুবারক ইচ্ছা অনুযায়ী রহমত মুবারক উনার জন্য খাছ করেন বা মনোনীত করেন।”
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে যাদেরকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্তর্ভূক্ত হিসেবে ঘোষণা মুবারক করেছেন উনাদের মধ্যে সাইয়্যিদুনা হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি অন্যতম। সুবহানাল্লাহ!
কাজেই, প্রত্যেকের দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে সাইয়্যিদুনা হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত শায়েখ আলাইহিস সালাম উনার কায়িম মাক্বাম ও নায়িব হিসেবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত শায়েখ আলাইহিস সালাম উনার মতই সর্বাধিক মুহব্বত করা, তা’যীম-তাকরীম মুবারক করা এবং উনার প্রতি সর্বোচ্চ হুসনে যন পোষণ করা। যা প্রত্যেক সালিকের জন্য ফরয।
, ১৯ শাওওয়াল শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ৩০ হাদী আশার, ১৩৯১ শামসী সন , ২৯ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রি:, ১৬ বৈশাখ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) মহাপবিত্র ক্বওল শরীফ-২
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন, “মহান আল্লাহ পাক তিনি যাকে ইচ্ছা মনোনীত করেন আর যে উনার দিকে রুজু হয় উনাকে হিদায়েত দান করেন।” একইভাবে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন, “এবং মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিও যাকে ইচ্ছা মনোনীত করেন আর যে উনার দিকে রুজু হয় উনাকে হিদায়েত দান করেন।” এ পবিত্র আয়াত শরীফ উনার ব্যাখ্যায় বলা হয় যে, খ¦ালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের নিসবত মুবারক প্রাপ্ত ব্যক্তিগণ উনারা দু’শ্রেণীতে বিভক্ত। প্রথমত, যাদেরকে মহান আল্লাহ পাক তিনি মনোনীত করেই সৃষ্টি মুবারক করেন। উনারা নিয়ামত মুবারকপ্রাপ্ত হয়েই দুনিয়াতে তাশরীফ মুবারক গ্রহণ করেন। বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে উনাদের বিষয়গুলো প্রকাশ করা হয়। ইলমে তাছাউফ উনার পরিভাষায় উনাদেরকে ‘মাহবূব’ বা ‘মুরাদ’ বলা হয়। দ্বিতীয়ত, যারা নিজস্ব চেষ্টায় রিয়াযত মাশাক্কাত করে, কোশেশ করে করে নিছবত মুবারক হাছিল করেন। নিয়ামত মুবারক লাভ বা মাক্বম হাছিল করার ক্ষেত্রে উনাদের কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। ইলমে তাছাউফ উনার পরিভাষায় উনাদেরকে ‘মুহীব’ বা ‘মুরীদ’ বলা হয়।
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, সাইয়্যিদুনা হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি মাহবূব এবং মুরাদ উনাদের মধ্যে বিশেষ ব্যক্তিত্ব। সুবহানাল্লাহ! উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ফাযায়িল-ফযীলত মুবারক, বেমেছাল খুছুছিয়ত মুবারক সাধারণ মানুষের চিন্তা, কল্পনা ও উপলব্ধির উর্ধ্বে । নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে যাদেরকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্তর্ভূক্ত হিসেবে ঘোষণা মুবারক করেছেন উনাদের মধ্যে সাইয়্যিদুনা হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি অন্যতম। সুবহানাল্লাহ! একইভাবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে যাদেরকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ফয়েজ মুবারক হাদিয়া করেছেন উনাদের মধ্যেও সাইয়্যিদুনা হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি অন্যতম। সুবহানাল্লাহ! সর্বোপরি হযরত শায়েখ আলাইহিস সালাম উনার আওলাদ বা লখতে জিগার হিসেবে তিনি হযরত শায়েখ আলাইহিস সালাম উনার কায়িম-মাক্বাম, নায়িব। তিনি সালিকদের জন্য নিয়ামত, নিসবত ও নৈকট্য নিসবত মুবারক প্রাপ্তির সুমহান উছীলা। উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সন্তুষ্টি-রেযামন্দি মুবারক উনার মাঝেই রয়েছে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত শায়েখ আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সন্তুষ্টি-রেযামন্দি মুবারক।
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, কাজেই, প্রত্যেকের দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে সাইয়্যিদুনা হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত শায়েখ আলাইহিস সালাম উনার কায়িম মাক্বাম ও নায়িব হিসেবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত শায়েখ আলাইহিস সালাম উনার মতই সর্বাধিক মুহব্বত করা, তা’যীম-তাকরীম মুবারক করা এবং উনার প্রতি সর্বোচ্চ হুসনে যন পোষণ করা। যা প্রত্যেক সালিকের জন্য ফরয। মহান আল্লাহ পাক তিনি সবাইকে তাওফীক্ব দান করুন। আমীন!
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হযরত খুলাফায়ে রাশিদীন আলাইহিমুস সালাম উনারা প্রত্যেকেই পবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করেছেন এবং অন্যদেরকেও পালন করার ব্যাপারে ব্যাপক উৎসাহ প্রদান করেছেন। সুবহানাল্লাহ!
১৬ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
প্রত্যেক মুসলমান পুরুষ-মহিলা সকলের জন্যই কামিল শায়েখ বা মুরশিদ ক্বিবলা উনার নিকট বাইয়াত গ্রহণ করা, ছোহবত ইখতিয়ার করা, তরীক্বার সবক্ব আদায় করা ফরযে আইন। যার মাধ্যমে ইছলাহ বা আত্মশুদ্ধি লাভ হয়। ফলে মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সাথে নিসবত স্থাপিত হয়। সুবহানাল্লাহ!
১৫ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
দ্বীনি ইলম অর্জন করা ফরয। এই ফরয আদায় না করলে এর জন্য পরকালে জবাবদিহি করতে হবে। এজন্য তাকে শাস্তিও পেতে হতে পারে। তাই, প্রত্যেক মুসলমানের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- নিজে হাক্বীক্বী দ্বীনি ইলম শিক্ষা করা এবং অধীনস্তদেরকে হাক্বীক্বী দ্বীনি ইলম শিক্ষা দেয়া। পাশাপাশি সে অনুযায়ী আমল করা এবং নিজের জীবন পরিচালনা করা।
১৪ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি আমার উম্মতের প্রতি সবকিছুর পূর্বে নামাযকে ফরয করেছেন এবং ক্বিয়ামতের দিন সর্বপ্রথম নামাযেরই হিসাব গ্রহণ করবেন। ’ নামায অস্বীকার করা কুফরী এবং নামায না পড়া চরম নাফরমানী ও ফাসিকী। স্বেচ্ছায় নামায তরককারী ব্যক্তি জাহান্নামে কঠিন আযাবের সম্মুখীন হবে। নাউযুবিল্লাহ!
১২ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মুবাশশিরাও ওয়া নাযীরা, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন্ নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অবশ্যই হাযির ও নাযির। প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ফরয হচ্ছে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানে সর্বোচ্চ হুসনে যন পোষণ করা।
১১ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “অন্যান্য ফরযের পর হালাল কামাই করা ফরয। ” সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- প্রত্যেকের জন্য হালাল কামাই করা, হালাল কাপড় ও দ্রব্য সামগ্রী ব্যবহার করা এবং হালাল ও পবিত্র খাদ্য খাওয়া ফরয।
১০ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সর্বোচ্চ রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক হাছিল করার সর্বশ্রেষ্ঠ মাধ্যম মুবারক মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ
০৯ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ইলমে তাসাউফ অর্জন করা ব্যতীত ইবাদত মূল্যহীন। প্রত্যেক মুসলমানের দায়িত্ব-কর্তব্য হলো- যামানার মুজাদ্দিদ ও কামিল শায়েখ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছোহবত মুবারক ইখতিয়ারের মাধ্যমে ইলমে ফিকাহ্ ও ইলমে তাছাউফ উভয় প্রকার ইলম অর্জন করে মু’মিনে কামিল হওয়া।
০৮ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
“আপনি বলুন, দুনিয়াবী সম্পদ সামান্য। আর মুত্তাকীগণ উনাদের জন্য পরকালই উত্তম এবং তোমাদের প্রতি সামান্য অবিচারও করা হবে না। " পরকালরে তুলনায় দুনযি়াবী সম্পদ অতি সামান্য।
০৭ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি “ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম” (সোমবার) পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করার কারণে এ মুবারক দিবসটি হচ্ছেন- পবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ বা শ্রেষ্ঠ দিনসমূহেরও সাইয়্যিদ। সুবহানাল্লাহ!
০৬ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
“তোমাদের কেউ ততক্ষণ পর্যন্ত ঈমানদার হতে পারবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত তোমরা আমাকে মুহব্বত না করবে। আর তোমরা আমাকে মুহব্বত করতে পারবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত তোমরা আমার মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মুহব্বত না করবে। ” মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে হাক্বীক্বীভাবে মুহব্বত করা ব্যতীত কেউ কস্মিনকালেও ঈমানদার হতে পারবে না।
০৫ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাপবিত্র নসবনামাহ মুবারক দৈনিক পাঠ করা সকলের জন্য আবশ্যক।
০৪ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)