মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের উভয়ের প্রতি পবিত্র ঈমান আনো এবং মহান রসূল পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খিদমত মুবারক করো, উনাকে সম্মান করো ও উনার ছানা-ছিফত মুবারক বা আলোচনা মুবারক করো সকাল-সন্ধ্যা অর্থাৎ দায়েমীভাবে। ’ সুবহানাল্লাহ!
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র সাওয়ানেহ উমরী মুবারক বা পবিত্র জীবনী মুবারক জানা ও বেশি বেশি সর্বত্র আলোচনা করা এবং প্রতিক্ষেত্রে উনাকে পরিপূর্ণরূপে অনুসরণ-অনুকরণ করা সকলের জন্যই ফরয।
আর মুসলিম-অমুসলিম সব সরকারের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- সমস্ত পাঠ্যপুস্তকে অর্থাৎ মাদরাসা, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়সহ সর্বপ্রকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সিলেবাসে উনার পবিত্র জীবনী মুবারক অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত করা।
, ২৩ যিলক্বদ শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২৩ ছানী আ’শার, ১৩৯২ শামসী সন , ২২ মে, ২০২৫ খ্রি:, ৯ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) মহাপবিত্র ক্বওল শরীফ-২

আল-ইহসান প্রতিবেদন:
ছাহিবাতু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, হাবীবাতুল্লাহ, ছাহিবায়ে নেয়ামত, রহমাতুল্লিল আলামীন, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের অনেক পবিত্র আয়াত শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ দ্বারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাপবিত্র সাওয়ানেহ উমরী বা জীবনী মুবারক আলোচনা করা এবং উনার অনুসরণ-অনুকরণ মুবারক করা ফরয সাব্যস্ত। মহান আল্লাহ পাক উনার মা’রিফত-মুহব্বত ও উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের উভয়ের রেযামন্দি মুবারক হাছিলের প্রধান ও একমাত্র মাধ্যম- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাপবিত্র সাওয়ানেহ উমরী বা জীবনী মুবারক জানা ও বেশি বেশি আলোচনা করা এবং উনাকে পরিপূর্ণভাবে সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম, পুঙ্খানুপুঙ্খ অনুসরণ-অনুকরণ করা। কেননা তিনিই হচ্ছেন জিন-ইনসানসহ সকল মাখলুকাতের জন্য অনুসরণীয় ও অনুকরণীয় এবং উত্তম আদর্শ মুবারক। সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, “হে আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি বলে দিন, যদি তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনাকে মুহব্বত কর বা মহান আল্লাহ পাক উনার মুহব্বত হাছিল করতে চাও, তবে তোমরা আমার অনুসরণ কর। তাহলেই মহান আল্লাহ পাক তিনি তোমাদের মুহব্বত করবেন এবং তোমাদের গুনাহখাতা ক্ষমা করবেন। আর মহান আল্লাহ পাক তিনি অত্যধিক ক্ষমাশীল ও দয়ালু। ” সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, অর্থাৎ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে যারা অনুসরণ-অনুকরণ করবে না মহান আল্লাহ পাক তিনি তাদেরকে মুহব্বত ও ক্ষমা করবেন না এবং তাদের প্রতি দয়ালু ও ক্ষমাশীলও হবেন না; বরং তারা জাহান্নামী হবে। নাউযুবিল্লাহ! এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “আমার প্রত্যেক উম্মত জান্নাতে প্রবেশ করবে, একমাত্র তারা ব্যতীত যারা আমাকে অস্বীকার করেছে। জিজ্ঞাসা করা হলো- কে আপনাকে অস্বীকার করলো ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন যে, যারা আমাকে অনুসরণ করেছে, তারা জান্নাতে যাবে, আর যারা আমাকে অনুসরণ করেনি তারা আমাকে অস্বীকার করেছে (তারা জাহান্নামী হবে)। ” নাউযুবিল্লাহ!
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, ইলম হচ্ছেন আমলের ইমাম। অর্থাৎ উনার পবিত্র সাওয়ানেহ উমরী বা জীবনী মুবারক জানা থাকলেই মূলত উনাকে পরিপূর্ণভাবে সম্মান করা ও অনুসরণ, অনুকরণ করা সম্ভব। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি জিন-ইনসানসহ সকল মাখলুকাতের জন্য রসূল হিসেবে প্রেরিত হয়েছেন। জিন-ইনসানসহ সকল মাখলুকাতের জন্যই উনাকে পরিপূর্ণভাবে অনুসরণ-অনুকরণ করা ফরয। আর সেজন্য উনার বরকতময় মহাপবিত্র সাওয়ানেহ উমরী বা জীবনী মুবারক পড়া ও জানা এবং বেশি বেশি সর্বত্র ও দায়েমীভাবে আলোচনা করা জিন-ইনসানসহ সকল মাখলুকাতের জন্য ফরয। তাই সরকারের জন্যও সমস্ত পাঠ্যপুস্তকে অর্থাৎ মাদরাসা, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়সহ সর্বপ্রকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সিলেবাসে উনার মহাপবিত্র সাওয়ানেহ উমরী বা জীবনী মুবারক অন্তর্ভুক্ত করাও ফরয।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু”মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা সমস্ত সৃষ্টির জন্য মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদী বা হিদায়াতদানকারী।
২৩ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবত্রি সুন্নত মুবারক পালনরে অফুরন্ত ফযীলত মুবারক।
২২ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
“নিশ্চয়ই যারা ঈমান এনে আমলে ছলেহ করছেন উনারা ব্যতীত সমস্ত মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। ” যারা পরকালের পাথেয় সংগ্রহ করা থেকে বিরত থাকবে তারাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
২১ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বান্দা-বান্দী যদি মহান আল্লাহ পাক উনার আনুগত্য করে, উনার প্রতি তাওয়াক্কুল করে, উনার শোকরগুজারী করে এবং তাক্বওয়া অবলম্বন করে, তাহলে মহান আল্লাহ পাক তিনি তাদেরকে ইতমিনান দান করবেন এবং এমন কুদরতী রিযিক দান করবেন, যা সে কল্পনাও করতে পারবে না। ..
২০ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নামায অস্বীকার করা কুফরী এবং নামায না পড়া চরম নাফরমানী ও ফাসিকী। স্বেচ্ছায় নামায তরককারী ব্যক্তি জাহান্নামে কঠিন আযাবের সম্মুখীন হবে। নাউযুবিল্লাহ!
১৯ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহান আল্লাহ পাক উনার যিকিরকারী ব্যক্তি জীবিত আর যে মহান আল্লাহ পাক উনার যিকির করেনা সে ব্যক্তি মৃত।
১৮ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাপবিত্র নসবনামাহ মুবারক দৈনিক পাঠ করা সকলের জন্য আবশ্যক।
১৭ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
“যদি তারা আপনাদের মতো (হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের মতো) ঈমান আনতে পারে; অবশ্যই তারা হিদায়েত লাভ করবে। ” হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারাই সত্যের মাপকাঠি।
১৫ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
“আপনি বলুন, দুনিয়াবী সম্পদ সামান্য। আর মুত্তাকীগণ উনাদের জন্য পরকালই উত্তম এবং তোমাদের প্রতি সামান্য অবিচারও করা হবে না। " পরকালের তুলনায় দুনিয়াবী সম্পদ অতি সামান্য।
১৪ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বর্তমানে মুসলমানরা যে সারাবিশ্বে ইহুদী-নাছারাদের দ্বারা যুলুম ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছে তার একটাই কারণ- মুসলমানরা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের থেকে অনেক দূরে সরে গেছে। নাঊযুবিল্লাহ!¬ অতএব, সমস্ত মুসলমান পুরুষ-মহিলা জ্বীন-ইনসান সকলের জন্য ফরয হচ্ছে- খালিছ তওবা-ইস্তিগফার করে পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের উপর ইস্তিকামত বা দৃঢ়চিত্ত থাকা এবং হাক্বীক্বী মুত্তাক্বী হওয়া।
১৩ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
“আমি তোমাদের জন্য যা রেখে গেলাম তা তোমরা গ্রহণ করলে কখনোই গুমরাহ হবে না; তা হচ্ছেন পবিত্র কিতাবুল্লাহ এবং আমার সম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারা। হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনারাই হিদায়েতের মূল এবং ভিত্তি। উনাদের মুহব্বত ঈমান আর উনাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করা কুফরী।
১২ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র ঈদুল আদ্বহা উনার রাতে দোয়া সুনিশ্চিতভাবে ক্ববুল হয়।
০৫ জুন, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)