সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ মুবারক করেন, মহিলাদের জন্য সর্বোত্তম মসজিদ হলো তাদের বাড়ির গোপন প্রকোষ্ঠ।
পবিত্র ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- মহিলাদের জন্য পাঁচ ওয়াক্ত, জুমুয়া, ঈদাইন, তারাবীহসহ সর্বপ্রকার নামাযের জামায়াতের জন্য মসজিদ বা ঈদগাহে যাওয়া হারাম ও কুফরী। তাই, মহিলাদের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হলো- নিজের ঘরের অভ্যন্তরে নামায আদায় করা। জামায়াতে নামায পড়ার জন্য ঘর থেকে বের না হওয়া এবং কোন মসজিদ বা ঈদগাহে না যাওয়া।
, ১৯ রমাদ্বান শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ৩১ আশির, ১৩৯১ শামসী সন , ৩০ মার্চ, ২০২৪ খ্রি:, ১৬ চৈত্র, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) মহাপবিত্র ক্বওল শরীফ-২
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক যামানায়, সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার মুবারক যামানায় এবং সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার মুবারক খিলাফত উনার প্রথমদিকে মহিলাদের জামায়াত জারি ছিলো। অতঃপর আমীরুল মু’মিনীন সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি মেয়েদের সর্বপ্রকার নামাযের জামায়াত নিষিদ্ধ ও বন্ধ করে দেন। এ বিষয়টি মহিলাগণ উনারা সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার মুবারক খিদমতে পেশ করলে তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার প্রদত্ত ফতওয়া উনাকে তাছদীক্ব বা সত্যায়িত করেন। অর্থাৎ তিনিও মেয়েদের সর্বপ্রকার নামাযের জামায়াত নিষিদ্ধ হওয়ার পক্ষে রায় বা মত দেন। সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, কোনো কোনো জাহিল বা অজ্ঞরা বলে থাকে যে, আমীরুল মু’মিনীন সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি মহিলাদেরকে মসজিদে আসতে নিষেধ করেননি। নাঊযুবিল্লাহ! মূলত, তারা অজ্ঞ হওয়ার কারণেই এরূপ বলে থাকে। আমীরুল মু’মিনীন সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি যে মহিলাদেরকে মসজিদে আসতে নিষেধ করেছেন তা বহু নির্ভরযোগ্য কিতাবেই উল্লেখ আছে।
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র ফিক্বাহ শরীফ উনাদের বিখ্যাত কিতাব “ফতহুল ক্বাদীর, গায়াতুল আওতার, হিদায়া, নেহায়া, আইনুল হিদায়া, তাহতাবী, দুররুল মুখতার, রদ্দুল মুহতার, ফতওয়ায়ে হিন্দিয়া”সহ আরো অনেক কিতাবেই উল্লেখ আছে, “নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যামানায় মহিলা উনারা জামায়াতে উপস্থিত হতেন (পরবর্তীতে) আমীরুল মু’মিনীন সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি মহিলাগণকে জামায়াতে আসতে নিষেধ করেন। তখন মহিলা উনারা এ বিষয়টি উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছা সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার মুবারক খিদমতে পেশ করেন। তখন উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছা সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম তিনি সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার প্রদত্ত ফতওয়া উনাকে তাছদীক্ব বা সত্যায়িত করেন। অর্থাৎ তিনি বললেন, সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি ঠিকই করেছেন।” সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছা সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার কর্তৃক আমীরুল মু’মিনীন সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার উক্ত নিষেধাজ্ঞাকে যে তিনি তাছদীক্ব বা সত্যায়িত করেন অর্থাৎ পূর্ণ সমর্থন করেন তার প্রমাণ ছিহাহ ছিত্তাহ শরীফ উনাদের অন্যতম কিতাব “বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ ও আবূ দাঊদ শরীফ” উনাদের মধ্যেও উল্লেখ আছে। সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, অতঃপর হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের মধ্যে যারা তখন উপস্থিত ছিলেন উনারা সকলেই উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছা সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহিস সালাম উনার তাছদীক্বকৃত সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার উক্ত ইজতিহাদ উনার প্রতি একমত পোষণ করেন। উছূলে ফিক্বাহ উনার পরিভাষায় যাকে ইজমায়ে আযীমত বলা হয়। যা মহাপবিত্র কুরআন শরীফ ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের মতোই মহাসম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার একটি অকাট্য দলীল। সুবহানাল্লাহ! মহাপবিত্র কুরআন শরীফ, মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ অস্বীকার ও অবজ্ঞা করা যেরূপ কুফরী, তদ্রƒপ ইজমায়ে আযীমত উনাকে অস্বীকার ও অবজ্ঞা করাও কাট্টা কুফরী। অতএব, বলার অপেক্ষাই রাখে না যে, মহিলাদের যেকোনো নামাযের জামায়াতের জন্য মসজিদ বা ঈদগাহে যাওয়া ও যাওয়াকে জায়িয বলা কাট্টা কুফরীর অন্তর্ভুক্ত। কেননা এতে করে উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছা সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম। আমীরুল মু’মিনীন হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনাদেরসহ প্রায় সকল হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের বিরোধীতা করা হয়।
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে মহিলাদের জন্য পাঁচ ওয়াক্ত, জুমুয়া, ঈদাইন, তারাবীহসহ সর্বপ্রকার নামাযের জামায়াতের জন্য মসজিদ বা ঈদগাহে যাওয়া হারাম ও কুফরী। তাই, মহিলাদের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হলো- নিজের ঘরের অভ্যন্তরে নামায আদায় করা। জামায়াতে নামায পড়ার জন্য ঘর থেকে বের না হওয়া এবং কোন মসজিদ বা ঈদগাহে না যাওয়া।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ইলমে তাসাউফ অর্জন করা ব্যতীত ইবাদত মূল্যহীন। প্রত্যেক মুসলমানের দায়িত্ব-কর্তব্য হলো- যামানার মুজাদ্দিদ ও কামিল শায়েখ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছোহবত মুবারক ইখতিয়ারের মাধ্যমে ইলমে ফিকাহ্ ও ইলমে তাছাউফ উভয় প্রকার ইলম অর্জন করে মু’মিনে কামিল হওয়া।
০৮ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
“আপনি বলুন, দুনিয়াবী সম্পদ সামান্য। আর মুত্তাকীগণ উনাদের জন্য পরকালই উত্তম এবং তোমাদের প্রতি সামান্য অবিচারও করা হবে না। " পরকালরে তুলনায় দুনযি়াবী সম্পদ অতি সামান্য।
০৭ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি “ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম” (সোমবার) পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করার কারণে এ মুবারক দিবসটি হচ্ছেন- পবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ বা শ্রেষ্ঠ দিনসমূহেরও সাইয়্যিদ। সুবহানাল্লাহ!
০৬ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
“তোমাদের কেউ ততক্ষণ পর্যন্ত ঈমানদার হতে পারবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত তোমরা আমাকে মুহব্বত না করবে। আর তোমরা আমাকে মুহব্বত করতে পারবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত তোমরা আমার মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে মুহব্বত না করবে। ” মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে হাক্বীক্বীভাবে মুহব্বত করা ব্যতীত কেউ কস্মিনকালেও ঈমানদার হতে পারবে না।
০৫ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাপবিত্র নসবনামাহ মুবারক দৈনিক পাঠ করা সকলের জন্য আবশ্যক।
০৪ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আখেরী যামানার ফিতনা ফাসাদ থেকে নাজাত লাভের একমাত্র উপায় হলো হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরা তথা অনুসরণ অনুকরণ করা, জীবনের সকল ক্ষেত্রে উনাদেরকে আদর্শ রূপে গ্রহণ করা।
০৩ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের প্রতি উত্তম আচরণকারীগণই ছালিহীন হিসেবে পরিগণিত হবেন। একইভাবে ছালিহীন হতে হলে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের প্রতি উত্তম আচরণ করতে হবে, উনাদের প্রতি সর্বোচ্চ হুসনে যন পোষণ করতে হবে।
০১ মে, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের মালিক হচ্ছেন উনারা।
৩০ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে যাদেরকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের অন্তর্ভূক্ত হিসেবে ঘোষণা মুবারক করেছেন উনাদের মধ্যে সাইয়্যিদুনা হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি অন্যতম। সুবহানাল্লাহ!
২৯ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আইয়্যামুল্লাহ শরীফ বা মহান আল্লাহ পাক উনার বিশেষ দিবসসমূহ পালন করা সকলের জন্য আবশ্যক। তাই, সকলের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- অত্যাধিক ধৈর্য্য ও শুকুরগুজারী, যওক্ব-শওক্ব, মুহব্বত, তা’যীম-তাকরীম ও সম্মানের সাথে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আইয়্যামুল্লাহ শরীফ উদযাপন করা, পালন করা।
২৮ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মালিকুল মিনআম , ছহিবুল কারাম, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানে নিয়মিত পবিত্র দুরূদ শরীফ পাঠকারীদরে জন্য অপরিসীম সুসংবাদ
২৭ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
“নিশ্চয়ই যারা ঈমান এনে আমলে ছলেহ করছেন উনারা ব্যতীত সমস্ত মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত।” যারা পরকালের পাথেয় সংগ্রহ করা থেকে বিরত থাকবে তারাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
২৬ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)