আল ইহসান ডেস্ক:

প্রতিদিনের ন্যায় পবিত্র সুন্নতী জামে মসজিদে অনন্তকালব্যাপী জারীকৃত সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার সম্মানে বিশেষ মাহফিল মুবারক অনুষ্ঠিত হয়। বাদ ইশা মহান মুর্শিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি কুল-কায়িনাতের সকলের উদ্দেশ্যে নছীহত মুবারক পেশ করেন।

সাইয়্যিদুনা হযরত সুলতানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র মিরাজ শরীফ উনার আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বুলন্দী শান মুবারক প্রকাশ করা হয়েছে। সৃষ্টিকে বিষয়টি জানিয়ে দেয়া হয়েছে অনুষ্ঠান করার মাধ্যমে। এখন মুসলমানরা তাদের আইয়ামুল্লাহ শরীফ বিষয়ে কোন খোঁজ খবরই রাখে না। অথচ এই পবিত্র শবে মিরাজ শরীফ রাতেই নামাজ ফরজ করা হয়েছে । মনে রাখতে হবে, আইয়ামুল্লাহ শরীফ উনাদের মধ্যে পবিত্র মিরাজ শরীফ উনার রাত্রি অনেক বড় একটি আইয়ামুল্লাহ শরীফ। সারারাত ইবাদত বন্দেগী করে, সাহরী খেয়ে দিনের বেলা সবাইকে রোজা রাখতে হবে।

সাইয়্যিদুনা হযরত সুলতানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সমস্ত কিছুর বর্ণনা কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে রয়েছে কিন্তু মানুষ তা বুঝে না। মহান আল্লাহ পাক উনার আলোচনা যেখানে হবে সেখানেই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আলোচনা মুবারক হবে। যেহেতু তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার সাথেই সংশ্লিষ্ট। এর বড় উদাহরণ হলো পবিত্র কালেমা শরীফ। এখানে কোন দাড়ি কমা ছাড়াই এক কাতারে উনারা পাশাপাশি অবস্থান মুবারক করছেন। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কুদরতীভাবে জাহির হওয়ার সময় থেকেই মহান আল্লাহ পাক উনার সাথেই আছেন। মানুষ নিজের মতো ক্বিয়াস করার কারণেুই উনার সুমহান শান মুবারকে কুফরী কথা বলে থাকে।

সাইয়্যিদুনা হযরত সুলতানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, জান্নাত আরশে আজীমের নীচে। বেহেশতের ছাদ হলো আরশের মধ্যে। সিদরাতুল মুনতাহা আরশের মাঝামাঝি। আরশে আজীম আলমে খলক্বের মধ্যে। এখানে ৭০ হাজার পর্দা। তার মানে অসংখ্য অগণিত পর্দা। বেহেশত সৃষ্টি করা হয়েছে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে যারা মুহ্ববত করবে তাদের জন্য। আর দোজখ হলো উনার যারা বিরোধিতা করবে তাদের জন্য। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাক্বাম মুবারক হলো মহান আল্লাহ পাক উনার সাথেই। এজন্য সমস্ত সৃষ্টিকেই উনার মুহতাজ করা হয়েছে।

সাইয়্যিদুনা হযরত সুলতানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, একসময় সমস্ত কিছু ধংস হয়ে যাবে। অর্থাৎ সৃষ্টির সমস্ত কিছু ধ্বংস হয়ে যাবে। তখনও নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত মুবারকের মধ্যে অবস্থান করবেন। মহান আল্লাহ পাক উনার সৃষ্টির মধ্যে সবচাইতে সম্মানিত স্থান বলা হয় আরশে আজীম উনাকে। সেই আরশে আজীম আরো বেশী সম্মানিত বোধ করলেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নালাইন শরীফ হতে নুরুল ফখর, নুরুশ শরাফত উনার স্পর্শ মুবারক লাভ করার মাধ্যমে।

সাইয়্যিদুনা হযরত সুলতানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার হাক্বিকত মুবারক, পবিত্র মিরাজ শরীফ উনার হাক্বিকত মুবারক মানুষের বুঝার উপলব্ধি করার বাহিরে। মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার হাবীব নুরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা যদি কাউকে জানান বুঝান তাহলে জানা বুঝা সম্ভব। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অজুদ মুবারক নূর মুবারক উনার তাশরীফ সবার প্রথমে জাহির করা হয়েছে। এরপর উনার সেই নুর মুবারক হতেই হযরত আহলূ বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের প্রকাশ করা হয়েছে। এরপরেই অন্যান্য তামাম সৃষ্টি মুবারক পর্যায়ক্রমে করা হয়েছে। আসল কথা হলো, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে সংশ্লিষ্ট সমস্ত বিষয়গুলোই কুদরতময়। যা বুঝা সাধারণভাবে মানুষের আক্বল সমঝের বাহিরে। সবাইকে পবিত্র মিরাজ শরীফ উনার রাত্রে ইবাদত বন্দেগী করার জন্য নির্দেশনা মুবারক দান করে তিনি আজিমুশ্বান নছীহত মুবারক সমাপ্ত করেন।