নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যখন পবিত্র শা’বান শরীফ মাস উনার ১৫ তারিখ রাত্রি অর্থাৎ বরাত শরীফ উনার রাত্রি উপস্থিত হবে তখন তোমরা উক্ত রাত্রিতে (সজাগ থেকে) ইবাদত করো ও দিনে রোযা রাখো। সুবহানাল্লাহ!
পবিত্র শা’বান শরীফ মাসে তিনটি রোযা রাখা খাছ সুন্নত মুবারক। যারা পবিত্র শা’বান শরীফ মাসে তিনটি রোযা রাখবে তাঁদের সমস্ত গুণাহখতা ক্ষমা করে দেয়া হবে এবং জান্নাতী উটে চড়িয়ে জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে। সুবহানাল্লাহ! যারা তিনটি রোযা রাখতে চায় তাদেরকে ১৩, ১৪, ১৫ শা’বান শরীফ অর্থাৎ আগামী ইয়াওমুস সাব্ত, আহাদ ও ইছনাইনিল আযীম শরীফ এ ৩ দিন রোযা রাখতে হবে।
তাই, সরকারের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে, মুসলমানরা যেন পবিত্র লাইলাতুল বরাত শরীফ উপলক্ষে ৩ দিন রোযা রাখতে পারে সে জন্য উক্ত ৩ দিন বাধ্যতামূলক ছুটি ঘোষণা করার সাথে সাথে বাজেট বরাদ্দ ও ঘোষণাসহ প্রয়োজনীয় যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
, ০৯ শাবান শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২২ তাসি’, ১৩৯১ শামসী সন , ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ খ্রি:, ০৭ ফাল্গুন, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) মহাপবিত্র ক্বওল শরীফ-১

আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি পবিত্র শা’বান শরীফ মাস উনার রোযার ফযীলত সম্পর্কে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার উদ্ধৃতি উল্লেখ করে আরো বলেন, “হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পবিত্র খুতবা মুবারক-এ বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, তোমরা পবিত্র শা’বান শরীফ মাসে রোযা রেখে তোমাদের দেহকে রমাদ্বান শরীফ মাসে ইবাদত-বন্দেগীর জন্য প্রস্তুত করে নাও। যে ব্যক্তি পবিত্র শা’বান শরীফ মাসে তিনটি রোযা রাখবে মহান আল্লাহ পাক তিনি তার গুনাহখতাসমূহ ক্ষমা করে দিবেন।” সুবহানাল্লাহ!
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “শা’বান শরীফ মাস উনার ১৫ তারিখ দিনটিতে যে রোযা রাখবে, জাহান্নামের আগুন তাকে স্পর্শ করবে না।” সুবহানাল্লাহ! পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “পবিত্র শা’বান শরীফ মাসে রোযার ইফতারীর সময় যে ব্যক্তি তিনবার পবিত্র দুরূদ শরীফ পাঠ করবে, তার পূর্বের গুনাহখতা ক্ষমা করা হবে এবং তার রিযিকে বরকত দেয়া হবে।” সুবহানাল্লাহ!
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলকথা হলো- পবিত্র শা’বান শরীফ মাসে তিনটি রোযা রাখা খাছ সুন্নত মুবারক। যারা তিনটি রোযা রাখবে তাঁদের সমস্ত গুণাহখতা ক্ষমা করে দেয়া হবে এবং জান্নাতী উটে চড়িয়ে জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে। সুবহানাল্লাহ! যারা তিনটি রোযা রাখবে তারা ১৩, ১৪, ১৫ শা’বান শরীফ রোযা রাখবে। আর যদি তিনটি রোযা রাখা সম্ভব না হয়, তবে অন্ততঃপক্ষে পবিত্র লাইলাতুল বরাত শরীফ উনার দিন অর্থাৎ ১৫ই শা’বান শরীফ রোযাটি রাখবে। তাই সরকারের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে, মুসলমানরা যেন পবিত্র লাইলাতুল বরাত শরীফ উপলক্ষে ৩ দিন রোযা রাখতে পারে সে জন্য উক্ত ৩ দিন বাধ্যতামূলক ছুটি ঘোষণা করা।
-০-
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
আজ সুমহান ও বরকতময় পবিত্র ১৫ই রমাদ্বান শরীফ। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদু শা’বাবী আহলিল জান্নাহ, সিবতু রসূল আর রবি’, ইমামুল মুসলিমীন, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
১৬ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সম্মানিত হানাফী মাযহাব উনার ফতওয়া অনুযায়ী- পবিত্র তাহাজ্জুদ নামায জামায়াতে আদায় করা মাকরূহ তাহরীমী ও বিদয়াতে সাইয়্যিয়াহ। এ ফতওয়ার উপরই ইজমা বা ঐক্যমত প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
১৫ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার ফতওয়া অনুযায়ী- পবিত্র যাকাত ফরয হওয়ার পরও শরয়ী তারতীব অনুযায়ী যারা পবিত্র যাকাত আদায় করবে না- তাদের খাদ্য হালাল হবে না, ইবাদত কবুল হবে না, ধন-সম্পদ ধ্বংস হবে এবং পরকালে তারা অত্যন্ত কঠিন শাস্তির সম্মুখীন হবে। নাউযুবিল্লাহ!
১৪ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
আজ সুমহান বরকতময় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই রমাদ্বান শরীফ। অর্থাৎ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ। সুবহানাল্লাহ!
১৩ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
আজ সুমহান পবিত্রতম বরকতময় ১১ই রমাদ্বান শরীফ। সুবহানাল্লাহ! আখাছ্ছুল খাছ আহলু বাইত শরীফ ও আওলাদে রসূল হযরত সাইয়্যিদুল উমাম আছ ছানী আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ! হযরত আহলু বাইত শরীফ ও হযরত আওলাদে রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস কায়িনাতবাসীদের জন্য সুমহান ঈদ বা খুশির দিন। সুবহানাল্লাহ!
১১ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার ফতওয়া অনুযায়ী- পবিত্র তারাবীহ নামাযে বা অন্য যে কোনো সময় পবিত্র কুরআন শরীফ খতম বা তিলাওয়াত করে বা করিয়ে উজরত বা পারিশ্রমিক নেয়া ও দেয়া উভয়টাই হালাল এবং জায়িয। সুবহানাল্লাহ!
১১ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
আজ সুমহান মহাপবিত্র ও মহাবরকতময় ৯ই রমাদ্বান শরীফ। সুবহানাল্লাহ! আখাছ্ছুল খাছ আহলু বাইত শরীফ ও আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা হযরত খলীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম উনার মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ! যা কুল-কায়িনাত সকলের জন্যই মহাপবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার সুমহান দিন। সুবহানাল্লাহ!
১০ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
২০ রাকায়াত তারাবীহ নামায উনার উপর সকলেরই ইজমা বা ঐক্যমত প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। যা সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ। তাই পবিত্র তারাবীহ নামায বিশ রাকায়াতই আদায় করতে হবে। এক রাকায়াতও যদি কেউ কম আদায় করে তাহলে ওয়াজিব তরকের গুনাহ হবে।
০৯ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
আজ সুমহান বরকতময় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৭ই রমাদ্বান শরীফ। সুবহানাল্লাহ! আখাছ্ছুল খাছ আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ উনার সম্মানিত আ’দাদ শরীফ। সুবহানাল্লাহ!
০৮ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আজ সুমহান বরকতময় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৬ই রমাদ্বান শরীফ। সুবহানাল্লাহ! বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছালিছাহ আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
০৭ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার ছহীহ ও গ্রহণযোগ্য ফতওয়া হলো- রোযা অবস্থায় যেকোনো ধরণের ইনজেকশন, স্যালাইন, টিকা, ইনসুলিন ও ইনহেলার নেয়া হোক না কেন, তাতে অবশ্যই রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে। এর বিপরীত ফতওয়া সম্পূর্ণরূপেই পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের খিলাফ ও হারামকে হালাল বলার কারণে কুফরীর অন্তর্ভুক্ত।
০৫ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পবিত্র রমাদ্বান শরীফ ও পবিত্র রোযা উনার মূলই হচ্ছে তাক্বওয়া হাছিল করা। অর্থাৎ সর্বপ্রকার হারাম, নাজায়িয বা ইসলামী শরীয়ত উনার বিরোধী সর্বপ্রকার কাজ থেকে বিরত থাকা। সুবহানাল্লাহ! তাই প্রত্যেকের জন্য ফরয হচ্ছে- ‘পবিত্র রমাদ্বান শরীফ’ উনার তা’যীমার্থে ও পবিত্রতা রক্ষার্থে দিনের বেলা প্রকাশ্য পানাহার থেকে বিরত থাকা, দিনের বেলা সর্বপ্রকার পানাহার-রেস্তোরা বন্ধ রাখা এবং সর্বাবস্থায় গান-বাজনা, বেপর্দা, ছবি, টিভি চ্যানেল, সিনেমা, নাটক, নোবেল, খেলাধুলা ইত্যাদিসহ সর্বপ্রকার হারাম কাজ থেকে বিরত থাকা।
০৫ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)