মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি উম্মাহকে জানিয়ে দিন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ফদ্বল-করম এবং রহমত মুবারক হিসেবে উনার প্রিয়তম রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে যে হাদিয়াস্বরূপ দিয়েছেন সেজন্য তারা যেন খুশি প্রকাশ করে।”
পবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফই কুল-কায়িনাত সকলের জন্য সবচেয়ে বড় ঈদ; যা পালন করা ফরয। যারা বলে, ‘পবিত্র ইসলামী শরীয়ত উনার মধ্যে পবিত্র ঈদুল ফিতর ও পবিত্র ঈদুল আযহা এই দুই ঈদ ব্যতীত আর কোনো ঈদ নেই’- তারা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদেরকে অস্বীকারকারী।
আর যারা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদেরকে অস্বীকার করে তারা পবিত্র ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে কাফিরের অন্তর্ভুক্ত। অর্থাৎ পবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ অস্বীকারকারীরা কাট্টা কাফির ও চির জাহান্নামী।
, ০২ ছফর শরীফ, ১৪৪৭ হিজরী সন, ২৯ ছানী, ১৩৯৩ শামসী সন , ২৮ জুলাই, ২০২৫ খ্রি:, ১৪ শ্রাবণ, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) মহাপবিত্র ক্বওল শরীফ-১
রহমাতুল্লিল ‘আলামীন, ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, ইমামুল আইম্মাহ্, মুজাদ্দিদুয যামান, কুতুবুল আলম, মুহইউস সুন্নাহ, মাহিউল বিদয়াহ, গাউছুল আ’যম, আযীযুয যামান, ক্বইউমুয যামান, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, আস সাফফাহ, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের সম্মানিত দিনটিই প্রকৃতপক্ষে সবচেয়ে বড় ঈদ বা খুশির দিন। যা পবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ নামে মশহুর। যারা বলে, ‘পবিত্র ইসলামী শরীয়ত উনার মধ্যে দুই ঈদ ব্যতীত অন্য কোনো ঈদ নেই’- তারা প্রকৃতপক্ষে ‘কিল্লতে ইলম, কিল্লতে ফাহম’ অর্থাৎ কম জ্ঞান, কম বুঝ বা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের সম্পর্কে নেহায়েত অজ্ঞ এবং গুমরাহ হওয়ার কারণেই একথা বলে থাকে। কারণ পবিত্র ঈদুল ফিতর, পবিত্র ঈদুল আযহা অর্থাৎ বছরে দুই ঈদ ব্যতীত আরো অনেক ঈদ যে রয়েছে তা পবিত্র কুরআন শরীফ উনার একাধিক পবিত্র আয়াত শরীফ ও অসংখ্য পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের দ্বারাই অকাট্যভাবে প্রমাণিত। সুবহানাল্লাহ!
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র সূরা ইউনুস শরীফ উনার ৫৮ নম্বর আয়াত শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন, “(আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনি বলুন, মহান আল্লাহ পাক উনার ফযল ও রহমত মুবারক অর্থাৎ আমাকে পাওয়ার কারণে এবং আমার মুবারক উসীলায় সমস্ত ফযল-করম-নিয়ামত মুবারক লাভ করার কারণে তোমাদের উচিত ঈদ বা খুশি প্রকাশ করা।” এ পবিত্র আয়াত শরীফ উনার দ্বারা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যমীনে তাশরীফ মুবারক আনার পবিত্র দিনটিই সবচেয়ে বড় ঈদের দিন বা খুশির দিন হিসেবে সাব্যস্ত হয়েছে। সুবহানাল্লাহ!
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ‘ইবনে মাযাহ শরীফ ও মুয়াত্তা শরীফ’ উনাদের বরাত দিয়ে বলেন, হযরত উবাইদ ইবনে সাব্বাক রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে মুরসাল হিসেবে বর্ণিত। আর হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে মুত্তাছিল সনদে বর্ণিত; নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি একদিন পবিত্র জুমুয়া শরীফ উনার দিনে ইরশাদ মুবারক করেন, হে মুসলমানগণ! এই যে পবিত্র জুমুয়া উনার দিন, এ দিনকে মহান আল্লাহ পাক তিনি আপনাদের জন্য পবিত্র ঈদ উনার দিন হিসেবে নির্ধারণ করে দিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি ‘তিরমিযী শরীফ’ উনার উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, “হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি একদা ‘আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের পবিত্র দ্বীন উনাকে পূর্ণ করলাম’ এ পবিত্র আয়াত শরীফ মুবারক শেষ পর্যন্ত পাঠ করলেন। তখন উনার নিকট এক ইহুদী ছিলো সে বলে উঠলো, ‘যদি এই পবিত্র আয়াত শরীফ আমাদের ইহুদী সম্প্রদায়ের প্রতি নাযিল হতো আমরা পবিত্র আয়াত শরীফ নাযিলের দিনটিকে ‘পবিত্র ঈদ উনার দিন বলে ঘোষণা করতাম।’ এটা শুনে হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহু তিনি বললেন, এ পবিত্র আয়াত শরীফ সেই দিন নাযিল হয়েছে যেদিন এক সাথে দু’ঈদ ছিল- (১) পবিত্র জুমুয়া উনার দিন এবং (২) পবিত্র আরাফা উনার দিন।” অর্থাৎ পুনরায় ঈদ ঘোষণা করতে হবে না। কেননা ঈদের দিনেই এ পবিত্র আয়াত শরীফ নাযিল হয়েছে। এখানেও পবিত্র জুমুয়ার দিনের পাশাপাশি পবিত্র আরাফার দিনকেও পবিত্র ঈদের দিন হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। সুবহানাল্লাহ!
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “প্রত্যেক মু’মিনের জন্য প্রতি মাসে চারটি ঈদ অথবা পাঁচটি ঈদ রয়েছে।” এ পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে মু’মিনের জন্য প্রতি মাসে ৪টি বা ৫টি ঈদের কথা বলা হয়েছে। কারণ, প্রতি মাসে ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ ৪টি বা ৫টি হয়ে থাকে। আর জুমুয়াবার প্রতি মাসে ৪টি বা ৫টি হয়ে থাকে। অর্থাৎ পবিত্র ঈদুল আযহা ও পবিত্র ঈদুল ফিতর- এ দুটিই নয়, আরো অনেক ঈদ রয়েছে। কাজেই, জুমুয়াবার মু’মিনদের পবিত্র ঈদের দিন। আরবী বা চন্দ্র বছর অনুযায়ী এক বছরে প্রায় ৫০টি জুমুয়াবার হয়ে থাকে। সে হিসেবে এ ৫০টি দিনও মু’মিনদের জন্য ঈদের দিন। আবার ইছনাইনিল আযীম শরীফ দিনও মু’মিনদের ঈদের দিন। চন্দ্র বছর অনুযায়ী এক বছরে প্রায় ৫০টি ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ হয়ে থাকে। সে হিসেবে এ ৫০টি দিনই মু’মিনদের জন্য ঈদের দিন। সুবহানাল্লাহ! আর আরবী বছরে ১২টি মাসের মধ্যে একটি মাস হচ্ছে পবিত্র রমাদ্বান শরীফ। যা ২৯ বা ৩০ দিনে হয়ে থাকে। এবং এ ২৯ বা ৩০ দিন রোযাদার মু’মিনের জন্য খুশির দিন বা ঈদের দিন। পবিত্র সুন্নত রোযার ৪২ দিন খুশির বা ঈদের দিন। মু’মিনের জন্য পবিত্র আরাফার দিন ঈদের দিন বা খুশির দিন। তন্মধ্যে সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ অর্থাৎ ১২ই শরীফই হচ্ছেন সবচেয়ে বড় ঈদ উনার দিন বা খুশির দিন। পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ দ্বারা যেভাবে দু’ঈদ ছাবিত হয়েছে বা রয়েছে ঠিক একইভাবে অন্যান্য ঈদও। এছাড়া খাছভাবে পবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম ও সাইয়্যিদে ঈদে আকবর বা পবিত্র ঈদে বিলাদতে রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হিসেবে ছাবিত বা প্রমাণিত হয়েছে। সুবহানাল্লাহ!
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মু’মিনের জন্য সর্বমোট ঈদ উনার দিন বা খুশির দিন হলো- জুমুয়াবার ৫০ দিন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ বা সোমবার ৫০ দিন, পবিত্র আরাফা উনার ১ দিন, পবিত্র ১২ই রবীউল আউওয়াল শরীফ ১ দিন, পবিত্র ঈদুল ফিত্র ১ দিন, পবিত্র ঈদুল আযহা বা পবিত্র কুরবানী উনার ৩ দিন, ফরয রোযার ২৯ বা ৩০ দিন, সুন্নত রোযার ৪২ দিন সর্বমোট ১৭৭ বা ১৭৮ দিন। অর্থাৎ বছরের প্রায় অর্ধেক দিনই মু’মিন-মুসলমান উনাদের জন্য ঈদ বা খুশির দিন। সুবহানাল্লাহ!
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মূলকথা হলো- যারা বলে, ‘পবিত্র ইসলামী শরীয়ত উনার মধ্যে পবিত্র ঈদুল ফিতর ও পবিত্র ঈদুল আযহা এই দুই ঈদ ব্যতীত আর কোনো ঈদ নেই’- তারা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদেরকে অস্বীকারকারী। আর যারা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদেরকে অস্বীকার করে তারা পবিত্র ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে কাফিরের অন্তর্ভুক্ত।
-০-
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- গান-বাজনা করা ও শ্রবণ করা কবীরাহ গুনাহ। গান-বাজনার আসরে বসা ফাসিক্বী এবং গান-বাজনার স্বাদ গ্রহণ করা কুফরী। তাই প্রত্যেকের জন্য ফরয হচ্ছে- হারাম গান-বাজনাসহ সর্বপ্রকার অশ্লীল-অশালীন হারাম কাজ থেকে বিরত থাকা।
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আজ পবিত্র ১৪ই জুমাদাল উখরা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! পঞ্চম হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ, হুজ্জাতুল ইসলাম, হযরত ইমাম গাজ্জালী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ! এ উপলক্ষে সকলের দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- উনার পবিত্র সাওয়ানেহ উমরী মুবারক আলোচনা করার লক্ষ্যে মাহফিল করে এবং পবিত্র মীলাদ শরীফ, পবিত্র ক্বিয়াম শরীফ করে উনার পবিত্র সাওয়ানেহ উমরী মুবারক হতে ইবরত-নসীহত মুবারক হাছিল করে তা আমলে বাস্তবায়ন করা।
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- রাস্তা উন্নয়ন, নদী সংরক্ষণ, মেট্রোরেল ও উড়াল সেতু নির্মাণ, সৌন্দর্যবর্ধন ইত্যাদি যে কোন অজুহাতে পবিত্র মসজিদ ভাঙ্গা বা স্থানান্তর করা সম্পূর্ণরূপে হারাম, কবীরা গুনাহ ও কুফরী। নাউযুবিল্লাহ!
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মালিকুত তামাম, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাপবিত্র নূরুত তাশরীফ মুবারক উনার তারিখ পবিত্র ১২ই শরীফ। সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার ফতওয়া অনুযায়ী- আজ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই জুমাদাল ঊখরা শরীফ হচ্ছেন সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ এবং সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনার অন্তর্ভুক্ত। সুবহানাল্লাহ! তাই কুল-কায়িনাতের সকলের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- প্রতি আরবী মাসের মহাপবিত্র ১২ই শরীফ উনাকে সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ হিসেবে উদযাপন করা। সুবহানাল্লাহ!
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার ফতওয়া অনুযায়ী- নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মানহানী ও কটাক্ষ করে লেখা সমস্ত বই ও পত্র-পত্রিকার লেখক, অনুবাদক, প্রকাশক, প্রচারক, সমর্থক সকলেই কাট্টা মুরতাদের অন্তর্ভুক্ত।
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
খালিক্ব মালিক রব হিসেবে মহান আল্লাহ পাক তিনি যেরূপ এক এবং একক। তদ্রুপ হাবীব ও মাহবুব হিসেবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিও এক এবং একক। সুবহানাল্লাহ!
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
আজ সুমহান বরকতময় মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৯ই জুমাদাল ঊখরা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! আখাছ্ছুল খাছ আহলু বাইত শরীফ ও আওলাদে রসূল, ইবনে হাদিউল উমাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সাইয়্যিদুল উমাম আল খ¦মিস আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ! হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস কায়িনাতবাসীদের জন্য সুমহান ঈদ বা খুশির দিন। সুবহানাল্লাহ!
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহাসম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- প্রত্যেক মুসলমান জিন-ইনসান, পুরুষ-মহিলা সকলের জন্যই তাযকিয়া বা আত্মশুদ্ধি লাভ করা ফরয। সুবহানাল্লাহ! আর সেজন্য একজন হক্কানী রব্বানী শায়েখ বা মুরশিদ ক্বিবলা উনার নিকট বাইয়াত গ্রহণ করে ইলমে তাছাউফ অর্জন করাও ফরয। সুবহানাল্লাহ!
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
আজ সুমহান মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৭ই জুমাদাল ঊখরা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! যা আখাছ্ছুল খাছ আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশের আ’দাদ শরীফ। সুবহানাল্লাহ! অতএব, সকলের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- এ মুবারক দিবস উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করার পাশাপাশি উনাকে মুহব্বত করা, অনুসরণ-অনুকরণ করা ও উনার যথাযথ খিদমত মুবারক উনার আঞ্জাম দেয়া।
২৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ উনার সুস্পষ্ট ঘোষণা মুবারক অনুযায়ী- ইহুদী-নাছারা, কাফির-মুশরিক, হিন্দু-বৌদ্ধ, বেদ্বীন-বদদ্বীনদেরকে যে কোন অবস্থাতেই বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করা, মুহব্বত করা ও অনুসরণ-অনুকরণ করা হারাম ও কুফরী। কাজেই, প্রত্যেক মুসলমান ও দেশের সরকারের জন্য ফরয হচ্ছে- কোনো অবস্থাতেই কাফির-মুশরিকদেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ ও মুহব্বত না করা এবং সর্ব ক্ষেত্রেই তাদেরকে অনুসরণ-অনুকরণ করা থেকে বিরত থাকা।
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার ফতওয়া অনুযায়ী- কাউকে কোন কাজে নিযুক্ত করার পর তাকে যথাযথ পারিশ্রমিক প্রদান করার পরও পারিশ্রমিকের অতিরিক্ত কিছু গ্রহণ করাকে গুলূল বা খিয়ানত তথা ঘুষ বলা হয়। তাই প্রত্যেকের জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে, হক্কুল ইবাদ বা বান্দার হক্ব যথাযথ সম্পাদন করা, আমানত রক্ষা করা ও হালালভাবে উপার্জন করে তা হালাল পথে খরচ করা।
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব ও মাহবুব, নূরে মুজাস্সাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিই কুল-কায়িনাতের সকলের জন্য একমাত্র অনুসরণীয় ও অনুকরণীয়। সার্বিকভাবে সর্বক্ষেত্রে উনাকে অনুসরণ করা সকলের জন্যই ফরয। সুবহানাল্লাহ! তাই, মুসলমানদের জন্য ফাসিক, ফুজ্জার, বেদ্বীন-বদদ্বীনদেরকে অনুসরণ-অনুকরণ করা সম্পূর্ণরূপে হারাম, নাজায়িয এবং জাহান্নামী হওয়ার কারণ। নাউযুবিল্লাহ!
২৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)












