মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- “মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টি মুবারকই সবচেয়ে বড়।” সুবহানাল্লাহ!
পবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ হাক্বীকীভাবে পালন করা হলো সন্তুষ্টিপূর্ণ সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বোত্তম আমল মুবারক। সুবহানাল্লাহ! পবিত্র সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ শুধু একটি বরকতময় আমলই নয় বরং এটা হলো নাজাতের সনদপত্র তথা চুড়ান্ত কামিয়াবীর দলীল। সুবহানাল্লাহ!
যা পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ ও পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াছ শরীফ দ্বারা প্রমাণিত। তাই প্রত্যেকের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- যথাযথ তা’যীম-তাকরীমের সাথে পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করা এবং উনার সার্বিক খিদমতের আঞ্জাম দেয়া।
, ১৫ রমাদ্বান শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২৭ আশির, ১৩৯১ শামসী সন , ২৬ মার্চ, ২০২৪ খ্রি:, ১২ চৈত্র, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) মহাপবিত্র ক্বওল শরীফ-২
ছছাহিবাতু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, হাবীবাতুল্লাহ, ছাহিবায়ে নেয়ামত, রহমাতুল্লিল আলামীন, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, সন্তুষ্টি মুবারক অর্জন করতে চায় না এমন জ্বীন ইনসান খুজে পাওয়া দুষ্কর। কেউ অন্তর থেকে বলুক বা বাহ্যিক দৃষ্টিকোণ থেকে বলুক সকলেই মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সন্তুষ্টি মুবারক চান। মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- “মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টি মুবারকই সবচেয়ে বড়।” তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন- “যদি তারা মু’মিন হয়ে থাকে, তবে তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য হলো তারা যেনো মহান আল্লাহ পাক উনাকে ও উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদেরকে সন্তুষ্ট মুবারক করে। কেননা উনারাই সন্তুষ্টি মুবারক পাওয়ার সমধিক হক্বদার।” সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, অনেকেরই অজানা রয়েছে যে, কোন আমলটি করলে উনারা অনেক সন্তুষ্ট হবেন? কোন আমল করলে উনারা খুশি হবেন? সন্তুষ্টিপূর্ণ আমল কোনটি? এককথায় বলা যায় যে, আমল করলে মহান আল্লাহ পাক তিনি এবং উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনারা খুশি হবেন এবং সন্তুষ্টি হবেন সেটা হলো খুশি মুবারক প্রকাশ করা। যা পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে- আয় আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি বলে দিন, মহান আল্লাহ পাক উনার অনুগ্রহ ও রহমত তথা নূরে মুজাসাম, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পাওয়ার কারনে খুশি মুবারক প্রকাশ করো। এই খুশি প্রকাশ করা হচ্ছে সব কিছুর চাইতে উত্তম তথা সর্বোত্তম ইবাদত। সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, উক্ত সন্তুষ্টিপূর্ণ পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ শুধু একটি বরকতময় আমলই নয় বরং এটা হলো নাজাতের সনদপত্র তথা চুড়ান্ত কামিয়াবীর দলীল। দুনিয়াবী জীবনে অনেক কিছুরই সনদ তথা প্রমাণ লাগে। কিন্তু আখিরাতের জীন্দেগীতে কি সনদ বা নাজাতের দলীল লাগবে না? অবশ্যই প্রয়োজন হবে।
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, দুনিয়াতে কত রকম সনদই তো আছে। ডাক্তারী সনদ, ইঞ্জিনিয়ারীং সনদ, চারিত্রিক সনদ, স্কলারশিপ তথা খুদ-কুড়া শিপের সনদ- এমনকি মৃত্যু সনদও। এই রকম হাজারো সনদের জন্য মানুষ যারপর নাই ব্যাতিব্যস্ত। একটা ৬০ বছরের যিন্দেগীর প্রায় দুই-তৃতীয়াংশই কেটে যায় এরুপ একটা দুনিয়াবী সনদের পিছনে দৌড়াতে। এই সনদকে কেন্দ্র করে অনিয়ম, দূর্নীতি, হত্যা, লুন্ঠণসহ অনেক পাপাচার সংঘটিত হয়। এতকিছুর পরও কখনো এই সনদ অকেজোও হয়ে যায় অর্থাৎ তাতে মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সন্তুষ্টি মুবারক হাছিল করা সম্ভব হয় না। কিন্তু একজন মুসলমান হিসেবে এটাই কি আমাদের আদর্শ হওয়া উচিত ছিল যে, আমরা দুনিয়ার এসব সনদের পেছনে দৌড়াবো? কখনোই না। আমাদের যেহেতু ইন্তেকাল করতে হবেই সেক্ষেত্রে নাযাতের সার্টিফিকেটই বেশী জরুরী।
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, কায়িনাতবাসীকে পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ নামে এমন একটি পবিত্র আমল ও ইবাদত মুবারক হাদিয়া করা হয়েছে, যা পালন করলে নাজাতের সনদ প্রস্তুত হয়ে থাকবে। এই মহাসম্মানিত পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ, পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে মাত্র এক দিরহাম খরচ করার প্রতিদান হচ্ছে নিশ্চিতরূপে জান্নাত লাভ করা। সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, কাজেই পবিত্র সাইয়্যিদুল আইয়াদ শরীফ শুধু একটি বরকতময় আমলই নয় বরং এটা হলো নাজাতের সনদ তথা চুড়ান্ত কামিয়াবীর দলীল। যা সকলের জন্যই ইহকাল ও পরকালে নিশ্চিত নাজাত লাভের কারণ হবে। সুবহানাল্লাহ! তাই প্রত্যেকের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- যথাযথ তা’যীম-তাকরীমের সাথে অনন্তকালব্যাপী পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করা এবং উনার মাঝে সার্বিক খিদমতের আঞ্জাম দেয়া।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মালিকুল মিনআম , ছহিবুল কারাম, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানে নিয়মিত পবিত্র দুরূদ শরীফ পাঠকারীদরে জন্য অপরিসীম সুসংবাদ
২৭ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
“নিশ্চয়ই যারা ঈমান এনে আমলে ছলেহ করছেন উনারা ব্যতীত সমস্ত মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত।” যারা পরকালের পাথেয় সংগ্রহ করা থেকে বিরত থাকবে তারাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
২৬ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
রঊফুর রহীম, হারীছুন আলাল মু’মিনীন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি কায়িনাতবাসীর সমস্ত আরজী পূরণ করেন।
২৫ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
প্রত্যেক মুসলমান পুরুষ-মহিলা সকলের জন্যই কামিল শায়েখ বা মুরশিদ ক্বিবলা উনার নিকট বাইয়াত গ্রহণ করা, ছোহবত ইখতিয়ার করা, তরীক্বার সবক্ব আদায় করা ফরযে আইন। যার মাধ্যমে ইছলাহ বা আত্মশুদ্ধি লাভ হয়। ফলে মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সাথে নিসবত স্থাপিত হয়। সুবহানাল্লাহ!
২৪ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজে উনার হাবীব মাহবূব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি পবিত্র ছলাত শরীফ-পবিত্র সালাম শরীফ পেশ করেন ও উনার পবিত্র যিকির শরীফ বা পবিত্র আলোচনা মুবারক করেন। প্রত্যেক মুসলমানের দায়িত্ব-কর্তব্য হলো- নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র মর্যাদা-মর্তবা মুবারক বর্ণনা করা বা আলোচনা মুবারক করা এবং পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠ করা। অর্থাৎ উনার প্রতি প্রতি পবিত্র ছলাত শরীফ পেশ করা এবং পবিত্র সালাম শ
২৩ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “যে ব্যক্তি খাদ্য খাওয়ানোর মাধ্যমে আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তারীখ মুবারক সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ (মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই শরীফ) রাত্র মুবারক (এবং দিবস মুবারক) তথা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ‘ফালইয়াফরহূ শরীফ’ সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ উনাকে সম্মান করবেন, আমি ক্বিয়ামতের দিন উনার জন্য শাফা‘য়াতকারী হবো। ” সুবহানাল্লাহ!
২২ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নেককারদের জন্য দুনিয়া ও আখিরাতে সুসংবাদ আর বদকারদের জন্য দুনিয়াতে লাঞ্চনা-গঞ্চনা এবং পরকালে কঠিন শাস্তি।
২১ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বান্দা-বান্দী যদি মহান আল্লাহ পাক উনার আনুগত্য করে, উনার প্রতি তাওয়াক্কুল করে, উনার শোকরগুজারী করে এবং তাক্বওয়া অবলম্বন করে, তাহলে মহান আল্লাহ পাক তিনি তাদেরকে ইতমিনান দান করবেন এবং এমন কুদরতী রিযিক দান করবেন, যা সে কল্পনাও করতে পারবে না।..
২০ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পবিত্র হাদীছে কুদসী শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “তুমি এমনভাবে মহান আল্লাহ পাক উনার ইবাদত করো, যেন তুমি মহান আল্লাহ পাক উনাকে দেখতে পাচ্ছো। আর যদি তুমি উনাকে দেখতে না পাও, তবে বিশ্বাস রাখবে মহান আল্লাহ পাক তিনি তোমাকে দেখছেন। ”
১৯ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
‘হে ঈমানদাররা! তোমরা ইহুদী-নাছারা তথা বিধর্মীদের বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করো না। মহাসম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার ফতওয়া হলো- মুসলমানদের জন্য কোনো অবস্থাতেই বিধর্মীদেরকে অনুসরণ-অনুকরণ করা, তাদের সাথে মিল-মুহব্বত রাখা, বন্ধুত্ব করা জায়িয নেই। বরং কাট্টা হারাম ও কুফরী।
১৮ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
প্রত্যেক মুসলমান পুরুষ-মহিলা সকলের জন্যই কামিল শায়েখ বা মুরশিদ ক্বিবলা উনার নিকট বাইয়াত গ্রহণ করা, ছোহবত ইখতিয়ার করা, তরীক্বার সবক্ব আদায় করা ফরযে আইন। যার মাধ্যমে ইছলাহ বা আত্মশুদ্ধি লাভ হয়। ফলে মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সাথে নিসবত স্থাপিত হয়। সুবহানাল্লাহ!
১৭ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র মদীনা শরীফ উনার নাম মুবারক রেখেছেন ত্ব-বাহ অর্থাৎ পবিত্র। ’ সুবহানাল্লাহ! পবিত্র মক্কা শরীফ ও পবিত্র মদীনা শরীফ উনারা পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ মর্যাদাসম্পন্ন স্থান। সুবহানাল্লাহ! পবিত্র মক্কা শরীফ ও পবিত্র মদীনা শরীফ উনাদেরকে যথাযথ তা’যীম বা সম্মান করা সকলের জন্যই ফরয।
১৬ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)