পবিত্র সুন্নত মুবারক উনার ইত্তিবা” তথা অনুসরণ-অনুকরণ করার গুরুত্ব-তাৎপর্য এবং বেমেছাল ফযীলত মুবারক (৬)
, ১১ জুমাদাল ঊলা শরীফ, ১৪৪৭ হিজরী সন, ০৫ সাদিস, ১৩৯৩ শামসী সন , ০৩ নভেম্বর, ২০২৫ খ্রি:, ১৮ কার্তিক, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) সুন্নত মুবারক তা’লীম
আর স্বয়ং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
بُعِثْتُ لِاُتِـمَّ مَكَارِمَ الْاَخْلَاقِ.
অর্থ: “আমি সমস্ত চারিত্রিক গুণাবলীসমূহকে, উত্তম গুণাবলীসমূহকে পূর্ণতা দানের জন্য প্রেরিত হয়েছি। ” সুবহানাল্লাহ! (‘উকূদুয্ যাবারজুদ লিস সুয়ূত্বী ২/৪৬৮)
কাজেই, যারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ইত্তিবা’ তথা অনুসরণ-অনুকরণ করবে, তারা অবশ্যই সর্বোত্তম গুণাবলির অধিকারী হবে। সুবহানাল্লাহ!
যারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ইত্তিবা’ তথা অনুসরণ-অনুকরণ করবে, তারা খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার ইত্তিবা’ তথা অনুসরণ-অনুকরণকারী অর্থাৎ উনার খাছ বান্দা-বান্দী হিসেব সাব্যস্ত হবে:
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
اَطِيْعُوا اللهَ وَالرَّسُوْلَ.
অর্থ: “তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনার ও মহাসম্মানিত রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ইত্তিবা’ তথা অনুসরণ-অনুকরণ করো। ” সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা আলে ‘ইমরান শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৩২)
মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন-
اَطِيْعُوا اللهَ وَاَطِيْعُوا الرَّسُوْلَ.
অর্থ: “তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনার ইত্তিবা’ তথা অনুসরণ-অনুকরণ করো এবং মহাসম্মানিত রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ইত্তিবা’ তথা অনুসরণ-অনুকরণ করো। ” সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা নূর শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৪)
এখন বান্দা-বান্দী, উম্মত, জিন-ইনসান, কায়িনাতবাসী কিভাবে মহান আল্লাহ পাক উনাকে ইত্তিবা’ তথা অনুসরণ-অনুকরণ করবে? কারো পক্ষে কখনই সরাসরি মহান আল্লাহ পাক উনাকে অনুসরণ-অনুকরণ করা সম্ভব না। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে ছাড়া। উনাকে ইত্তিবা’ তথা অনুসরণ করাই হচ্ছে মহান আল্লাহ পাক উনার ইত্তিবা’। সেটাই মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
مَنْ يُّطِعِ الرَّسُوْلَ فَقَدْ اَطَاعَ اللهَ.
অর্থ: “যে ব্যক্তি মহাসম্মানিত রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ইত্তিবা’ তথা অনুসরণ-অনুকরণ করলো, সে মূলত মহান আল্লাহ পাক উনারই ইত্তিবা’ তথা অনুসরণ-অনুকরণ করলো। ” সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা নিসা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৮০)
আর যারা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ইত্তিবা’ তথা অনুসরণ-অনুকরণ করবে, তারা মহান আল্লাহ পাক উনার ইত্তিবাকারী অর্থাৎ উনার খাছ বান্দা-বান্দী হিসেবে সাব্যস্ত হবে। সুবহানাল্লাহ!
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে যারা ইত্তিবা’ তথা অনুসরণ-অনুকরণ করবে, তারা অনুসরণীয়-অনুকরণীয় হবে:
এ সম্পর্কে যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
یٰۤاَیُّها الَّذِيْنَ اٰمَنُوْاۤ اَطِيْعُوا اللهَ وَاَطِيْعُوا الرَّسُوْلَ وَاُولِـى الْاَمْرِ مِنْكُمْ
অর্থ: “হে ঈমানদারগণ! তোমরা মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং তোমাদের মধ্যে যিনি উলিল আমর তথা নায়িবে নবী, ওয়ারাসাতুল আম্বিয়া, হক্কানী-রব্বানী আলিম-উলামা’ উনাদের ইত্তিবা’ তথা অনুসরণ-অনুকরণ করো। ” সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা নিসা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৫৯)
উলিল আমর হচ্ছে ঐ সমস্ত ব্যক্তিত্ব, যারা পবিত্র সুন্নত উনার ইত্তিবা’ তথা অনুসরণ-অনুকরণ করে। সুবহানাল্লাহ! নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
فَعَلَيْكُمْ بِسُنَّتِـىْ وَسُنَّةِ الْـخُلَفَاءِ الرَّاشِدِيْنَ الْمَهْدِيِّـيْـنَ تَـمَسَّكُوْا بِـهَا وَعَضُّوْا عَلَيْهَا بِالنَّوَاجِذِ.
অর্থ: “তোমাদের উপর আমার মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক এবং আমার হিদায়েতপ্রাপ্ত হযরত খুলাফায়ে রাশেদীন আলাইহিমুস সালাম উনাদের সুন্নত মুবারক লাযিম তথা আবশ্যক করে দেয়া হলো। তোমরা তা মাড়ির দাঁত দিয়ে শক্তভাবে আঁকড়িয়ে ধরো। ” সুবহানাল্লাহ! (আবূ দাউদ শরীফ, তিরমিযী শরীফ, ইবনে মাজাহ শরীফ, মুসনাদে আহমদ শরীফ, মিশকাত শরীফ)
কাজেই যারা পবিত্র সুন্নত উনার ইত্তিবা’ তথা অনুসরণ করবে; তারা অনুসরণীয়-অনুকরণীয় হবে। সুবহানাল্লাহ! (সমাপ্ত)
-০-
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ঘরে চন্দন কাঠ পোড়ানো এবং ধূপ জ্বালানো সম্মানিত সুন্নত মুবারক উনার অর্ন্তভূক্ত
১৫ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মহান আল্লাহ পাক এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মহাসম্মানিত সন্তুষ্টি মুবারক হাছিলের উদ্দেশ্যেই নিকাহ বা বিবাহ করতে হবে
১৪ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার একখানা মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক হচ্ছে, বিবাহ-শাদী করা। যার দ্বারা রিযিক বৃদ্ধি পায়
১৩ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র সুন্নতী তরীক্বায় বিবাহের মোহর
১২ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
বিবাহের পূর্বে বরকে ও কনেকে দেখার সম্মানিত শরয়ী অর্থাৎ মহাসম্মানিত সুন্নতী তরীক্বাহ
১১ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
বিবাহের ক্ষেত্রে কুফু বা সমকক্ষতা রক্ষা করা পবিত্র সুন্নত মুবারক উনার অন্তর্ভুক্ত
১০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
বিবাহের প্রস্তাব দেয়া এবং সম্মতি জ্ঞাপন করার মহাসম্মানিত সুন্নতী তরীক্বাহ
০৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বিবাহ-শাদীর গুরুত্ব-ফযীলত ও খাছ সুন্নতী তারতীব (৩)
০৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বিবাহ-শাদীর গুরুত্ব-ফযীলত ও খাছ সুন্নতী তারতীব (২)
০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম সুন্নত মুবারক অনুসরণে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের বেমেছাল দৃষ্টান্ত
০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র সুন্নত মুবারক জিন্দা করার বেমেছাল ফযীলত
০৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
বিবাহ-শাদীর গুরুত্ব-ফযীলত ও খাছ সুন্নতী তারতীব (১)
০৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)












