পিঁপড়ারা একে অপরের ‘চিকিৎসা’ করে, ক্ষতস্থানে লাগায় অ্যান্টিবায়োটিক
, ০৩ জুমাদাল ঊলা শরীফ, ১৪৪৭ হিজরী সন, ২৭ খমীছ, ১৩৯৩ শামসী সন , ২৬ অক্টোবর, ২০২৫ খ্রি:, ১০ কার্তিক, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) পাঁচ মিশালী
মানুষ বা অন্যান্য উন্নত প্রাণীর মধ্যে আহতদের সেবা করার প্রবণতা দেখা যায়, কিন্তু তাই বলে পোকামাকড়? আশ্চর্য্য মনে হলেও, বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছে যে আফ্রিকার এক বিশেষ প্রজাতির পিঁপড়া তাদের আহতদের শুধুমাত্র উদ্ধারই করে না, বরং তাদের ক্ষতস্থানে রীতিমতো ‘অ্যান্টিবায়োটিক’ প্রয়োগ করে চিকিৎসাও করে।
এই পিঁপড়াটির নাম মাতাবেলে, যারা প্রধানত উঁইপোকা শিকার করে জীবনধারণ করে। উঁইপোকার দুর্গের ভেতর এই শিকার অভিযান খুবই বিপজ্জনক, যার ফলে প্রায়ই অনেক পিঁপড়া মারাত্মকভাবে আহত হয় বা অঙ্গপ্রত্যঙ্গ হারায়।
গবেষকরা দেখেছে, এই পিঁপড়ারা তাদের আহত সঙ্গীদের যুদ্ধক্ষেত্র থেকে উদ্ধার করে বাসায় ফিরিয়ে আনে। কিন্তু আসল চমকপ্রদ ঘটনাটি ঘটে বাসায় ফেরার পর।
জার্মানির ভ্যুর্সবুর্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের একটি দল আবিষ্কার করেছে যে, যখন কোনো আহত পিঁপড়াকে বাসায় আনা হয়, তখন অন্য ‘স্বাস্থ্যকর্মী’ পিঁপড়ারা এগিয়ে আসে। তারা প্রথমে ক্ষতস্থানটি পরীক্ষা করে।
গবেষণায় দেখা গেছে, পিঁপড়ারা তাদের শরীরের পাশে থাকা একটি বিশেষ গ্রন্থি থেকে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বা জীবাণুনাশক পদার্থ নিঃসরণ করে। এরপর তারা সেই পদার্থ সরাসরি আহতের ক্ষতস্থানে লাগিয়ে দেয়। এই পদার্থগুলো ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাকের সংক্রমণকে কার্যকরভাবে প্রতিরোধ করে।
বিজ্ঞানীরা ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষার মাধ্যমে দেখেছে, এই চিকিৎসা পদ্ধতি অবিশ্বাস্য রকম কার্যকর। যে সমস্ত আহত পিঁপড়া এই চিকিৎসা পায়নি, তাদের মধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশই ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সংক্রমণে মারা গেছে। অন্যদিকে, যে পিঁপড়ারা অন্যান্যদের কাছ থেকে এই ‘অ্যান্টিবায়োটিক’ চিকিৎসা পেয়েছে, তাদের বেঁচে থাকার হার বেড়ে প্রায় ৯০ শতাংশে পৌঁছেছে!
এই গবেষণা প্রমাণ করে যে, সামাজিক প্রাণী হিসেবে পিঁপড়ারা কতটা উন্নত এবং তাদের মধ্যে একে অপরের প্রতি যতœ নেওয়ার এমন জটিল ব্যবস্থা বিবর্তিত হয়েছে, যা তাদের কলোনির টিকে থাকাকে নিশ্চিত করে।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
আফ্রিকা ভেঙে সৃষ্টি হচ্ছে এক নতুন মহাসাগর
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মৌমাছির বিষে এক ঘণ্টায় ধ্বংস স্তন ক্যানসার কোষ
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
১৩ বছরের অপেক্ষার পর দেখা মিললো বিশ্বের সবচেয়ে বিরল ফুলের
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সন্তানের উচ্চতা স্বাভাবিকভাবে বাড়বে যে ৩ ফলের রসে
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
শুক্র গ্রহে একদিন পৃথিবীর এক বছরের চেয়েও দীর্ঘ
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
১২ ঘণ্টা না খেয়ে থাকলে নিজেকে পরিষ্কার করতে শুরু করে মস্তিষ্ক -গবেষণা
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
নাম দিয়েই জমির মালিকানা যাচাই করবেন যেভাবে?
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
হারিয়ে যাওয়া সুপারনোভার সন্ধান, পথ দেখালো ইসলামের স্বর্ণযুগের আরবি কবিতা
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
কোন বাদামের কেমন পুষ্টিগুণ, খাবেনই-বা কতটুকু?
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পৃথিবীতে প্রাণের প্রাচীনতম নিদর্শন আবিষ্কার!
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ইসবগুলের ভুসি কতটা কার্যকর?
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মহাকাশে এক নীরব সহযাত্রী পেলো পৃথিবী, উদ্বিগ্ন বিজ্ঞানীরা
২৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)












