প্রতি বছর মেরামত, প্রতি বছর বাঁধে ভাঙন
, ১৯ মুহররমুল হারাম শরীফ, ১৪৪৭ হিজরী সন, ১৬ ছানী, ১৩৯৩ শামসী সন , ১৫ জুলাই, ২০২৫ খ্রি:, ৩১ আষাঢ়, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) তাজা খবর
ফেনী সংবাদদাতা:
বছরের পর বছর ফেনীর হাজার হাজার পরিবারের করুণ দশার কারণ এখন বাঁধ। প্রতি বছর মেরামত হলেও মেলে না স্থায়ী সমাধান। প্রতিবারই আশ্বাস দিয়ে দায় এড়িয়ে যায় সংশ্লিষ্টরা। ২০১৭ সাল থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৭ কোটির বেশি টাকা গচ্ছা গেছে শুধু মেরামতেই। ২০২৪ এর ভয়াবহ বন্যার বছর না যেতেই আবারো একই দশা।
নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে এখনো জনপদে ঢুকছে পানি। গত ৭ জুলাই রাত থেকেই শুরু হয় এই ভাঙন। পানির প্রবল তোড়ে তছনছ হয় চারপাশ। চোখের নিমিষেই গ্রামের পর গ্রাম তলিয়ে যায়, পানিবন্দি হন ১১২টি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ। পানি নেমে যেতেই ফুটে উঠেছে ফেনীর উত্তরের উপজেলা ফুলগাজী, পরশুরাম, ছাগলনাইয়া ও সদরের শত শত পরিবারের করুণ চিত্র। দৃশ্যমান হচ্ছে ক্ষতচিহ্ন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদী প্রতি বছর এই জনপদের লাখো পরিবারের জন্য দুঃখ নিয়ে আসে। অথচ এসব নদীর আগ্রাসন থেকে রক্ষায় ২০০৪-০৫ অর্থবছরে ১৩৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ১২২ কিলোমিটার অংশে মাটি দিয়ে দীর্ঘ বাঁধ নির্মাণ শুরু করে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। ২০১১ সালে বাঁধের নির্মাণকাজ শেষ হলে পরের কয়েক বছর বন্যামুক্ত ছিল স্থানীয়রা।
কিন্তু ২০১৩ সালে বাঁধের ৩ স্থানে ভেঙে যায়। পরে তা মেরামত করা হয়। এরপর প্রতিবছর ভাঙে বাঁধের বিভিন্ন স্থান। সেই বাঁধ ভাঙার কারণেই প্রতিবছর পড়তে হয় বন্যার কবলে। ভোগান্তি পোহাতে হয় প্রতি বর্ষা মৌসুমে। ক্ষতি ছাড়িয়ে যায় কোটি টাকার।
হিসাব বলছে, ২০১৭ সাল থেকে প্রতি বছর ভাঙনে সাড়ে ৭ কোটির বেশি টাকা খরচ হয়েছে বাঁধ মেরামতে। অথচ কোনো সংস্কারই টেকসই হয়নি।
স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, বেড়িবাঁধ সংস্কারে বিভিন্ন পর্যায়ে দুর্নীতি হচ্ছে। এ কারণে সুফল মিলছে না। এছাড়া পাউবোর কর্মকর্তারা ঠিকভাবে মাঠপর্যায়ে কাজ করেন না। প্রতিবছর বন্যায় বাঁধের কী পরিমাণ স্থান ভাঙতে পারে, পানি উন্নয়ন বোর্ড তা আগ থেকে নির্ধারণ করে ব্যবস্থা নেয় না। মাঠপর্যায়ে কর্মকর্তারা যদি নিয়মিত বাঁধের স্থানগুলো পরিদর্শন করে ঝুঁকিপূর্ণ স্থান নির্ধারণ করতেন, তাহলে বন্যার আগে স্থানীয় লোকজন সতর্ক হতে পারতেন। জানমালের ক্ষতি কমতো।
গাফিলতির কথা অস্বীকার করে ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আকতার হোসেন মজুমদার বলেন, পানি থাকায় ভাঙনের প্রকৃত চিত্র পাওয়া যায়নি। আগে শুধু ভাঙন স্থলের সংখ্যা জানতে পেরেছি। জুমুয়াবার থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা সরেজমিন ঘুরে ভাঙনের চূড়ান্ত পরিসংখ্যান দিয়েছেন। সেজন্য ৪ দিন ধরে ২০টি ভাঙনের তথ্য থাকলেও এখন বেড়ে হয়েছে ৩৬টি।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
যোদ্ধাদের হামলায় ভাঙারি হওয়া দখলদারদের আরেকটি ট্যাংক
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মাদ্রাসায় চালু হচ্ছে ‘ব্যবসায় শিক্ষা’, অনুমোদন পেতে শর্ত প্রযোজ্য
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সুদানে হতাহত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের পরিচয়সহ সর্বশেষ তথ্য জানাল আইএসপিআর
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মনোনয়ন বাণিজ্য গোপনে হয়, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা -ইসি সানাউল্লাহ
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নির্বাচন প্রশ্নে উভয় সংকটে জিএম কাদের!
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
বিচার বিভাগ পুরোপুরি স্বাধীনতা পায়নি -প্রধান বিচারক
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
যোদ্ধাদের হামলায় জঞ্জালে পরিণত দখলদারদের ট্যাংক
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সারা দেশের তাপমাত্রা নিয়ে যা জানাল আবহাওয়া অফিস
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ভারতের পেঁয়াজেও লাগাম পড়েনি বাজারে, আমদানি বাড়ছে
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
‘দিল্লির মসনদ’ জ্বালিয়ে দেয়ার হুঁশিয়ারি
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বিদেশি আগ্রাসী মাছ-কচ্ছপ ছেড়ে দেয়ায় চরম সংকট
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বিদেশি আগ্রাসী মাছ-কচ্ছপ ছেড়ে দেয়ায় চরম সংকট
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)












