মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘অতঃপর মুছল্লীদের জন্য জাহান্নাম। যে সমস্ত মুছল্লীরা তাদের নামায সম্পর্কে গাফিল। যারা লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে নামায পড়ে বা আমল করে।’
প্রত্যকে মুসলমান পুরুষ-মহলিা, জ্বীন-ইনসান সকলরে জন্যই ইখলাছ র্অজন করা এবং ইখলাছরে সাথে প্রতটিি আমল করা ফরয। সুবহানাল্লাহ! কনেনা ইখলাছ ব্যতীত কোন ইবাদত মহান আল্লাহ পাক উনার নকিট কবুল হয় না। ইখলাছ হাছিল করতে হলে অবশ্যই একজন কামিল শায়েখ বা মুর্শিদ ক্বিবলা উনার নিকট বাইয়াত গ্রহণ করে ইলমে তাছাউফ অর্জন করতে হবে।
তাই সম্মানিত শরীয়ত উনার ফতওয়া হলো- ইখলাছ অর্জন করা ফরয, ইলমে তাছাউফ অর্জন করা ফরয, বাইয়াত গ্রহণ করা ফরয, ক্বালবী যিকির করা ফরয এবং ছোহবত ইখতিয়ার করা ফরয।
, ২৪ শে রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২৮ ছামিন, ১৩৯২ শামসী সন , ২৫ জানুয়ারী, ২০২৫ খ্রি:, ১১ মাঘ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) মহাপবিত্র ক্বওল শরীফ-২

সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, যা মুসলিম শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে, মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টি মুবারক হাছিলের উদ্দেশ্যে আমল না করার কারণে জিহাদকারী জিহাদ করা সত্বেও, ক্বারী সাহেব কুরআন শরীফ শিক্ষা দেয়া সত্বেও এবং আলিম সাহেব ইলম উনার প্রচার প্রসার করা সত্বেও এবং দানশীল দানের সমস্ত রাস্তায় দান করা সত্বেও তাদের সকলকে উপুড় করে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে। নাউযুবিল্লাহ!
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, অতএব, আমল করতে হবে একমাত্র মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টি মুবারক হাছিলের উদ্দেশ্যে। অর্থাৎ ইখলাছের সাথে আমল করতে হবে। তবেই সে আমলের দ্বারা-পরিপূর্ণ ফায়দা বা মর্যাদা লাভ করা সম্ভব হবে। এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ইখলাছের সাথে আমল করো। অল্প আমলই তোমার নাজাতের জন্য যথেষ্ট হবে। (আল মুসতাদরাক লিল হাকিম)
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, প্রত্যেকের জন্য ইখলাছ অর্জন করা ফরয। আর ইলমুল ইখলাছ উনার অপর নামই হচ্ছে ইলমুল ক্বল্ব্ বা ইলমুত তাছাওউফ। যেমন পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বর্ণনা করেন, ইলম দু’প্রকার। একটি হচ্ছে ক্বলবী ইলম (ইলমে তাছাওউফ) যা উপকারী ইলম। অপরটি হচ্ছে যবানী ইলম (ইলমে ফিক্বাহ) যা মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে বান্দার প্রতি দলীল স্বরূপ।” (দারিমী, মিশকাত, মিরকাত, মাছাবীহুস সুন্নাহ)
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, হযরত মোল্লা আলী ক্বারী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার বিশ্বখ্যাত কিতাব মিশকাত শরীফ উনার শরাহ মিরকাত শরীফ-এ হযরত ইমাম মালিক রহমতুল্লাহি আলাইহি যিনি মালিকী মাযহাবের ইমাম উনার ক্বওল উল্লেখ করেছেন যে, “যে ব্যক্তি ইলমে ফিক্বাহ শিক্ষা করলো অথচ ইলমে তাছাওউফ শিক্ষা করলো না, সে ব্যক্তি ফাসিক। আর যে ব্যক্তি ইলমে তাছাওউফ শিক্ষা করেছে বলে দাবী করে কিন্তু ইলমে ফিক্বাহ শিক্ষা করলো না অর্থাৎ গুরুত্ব দিলনা, সে যিন্দিক (কাফির)। আর যে ব্যক্তি উভয়টিই অর্জন করলো, সে ব্যক্তিই মুহাক্কিক।”
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, ইলমে ফিক্বাহ অর্থাৎ ওযূ, গোসল, ইস্তিঞ্জা, নামায-কালাম, মুয়ামালাত, মুয়াশারাত ইত্যাদি শিক্ষার জন্য ওস্তাদ গ্রহণ করা যেমন ফরয; সেটা মাদরাসায় গিয়েই হোক অথবা ব্যক্তিগতভাবে কোনো ওস্তাদের নিকট থেকেই হোক তা শিক্ষা করা ফরয। তদ্রƒপ ইলমে তাছাওউফ উনার জন্যও ওস্তাদ গ্রহণ করা ফরয। আর এ ওস্তাদ উনাকেই আরবীতে ‘শায়েখ’ বা ‘মুর্শিদ’ বলা হয়। কাজেই, মুসলমান পুরুষ-মহিলা, জিন-ইনসান প্রত্যেকের জন্যই একজন কামিল শায়েখ বা মুর্শিদ ক্বিবলা উনার নিকট বাইয়াত হওয়া ফরয।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ইহসান উনার মাক্বামই শ্রেষ্ঠ মাক্বাম। প্রত্যেক মুসলমানের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হলো- ওলীআল্লাহগণ উনাদের ছোহবত ইখতিয়ার করে উনাদের দেয়া সবক অনুযায়ী আমল করার মাধ্যমে রূহানী কুওওয়াত অর্জন ও ইহসান উনার মাক্বাম হাছিল করতঃ ইখলাছ অর্জন করে হাক্বীক্বী ওলীআল্লাহ হওয়া।
০৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
উত্তম কথা ব্যতীত অতিরিক্ত কথা বলার দ্বারা মানুষের অন্তর কঠিন হয়ে যায় এবং মহান আল্লাহ পাক উনার থেকে দূরে সরে যায়। তাই কথা বললে উত্তম কথা বলতে হবে, যে কথায় মহান আল্লাহ পাক উনার সন্তুষ্টি মুবারক রয়েছে; অন্যথায় মহান আল্লাহ পাক উনার যিকিরে মশগুল থাকতে হবে।
০৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘য়াত উনার বিশুদ্ধ আক্বীদাহ্ মুবারক হলো- সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ‘নূরে মুজাসসাম’ অর্থাৎ তিনি আপদমস্তক নূর মুবারক। সুবহানাল্লাহ!
০৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের প্রতি উত্তম আচরণকারীগণই ছালিহীন হিসেবে পরিগণিত হবেন। একইভাবে ছালিহীন হতে হলে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের প্রতি উত্তম আচরণ করতে হবে, উনাদের প্রতি সর্বোচ্চ হুসনে যন পোষণ করতে হবে।
০৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
দুনিয়া একটি মৃত প্রাণী থেকেও অতি নিকৃষ্ট। যে যত বেশি দুনিয়া ত্যাগ করতে পারবে সে তত বেশি মহান আল্লাহ পাক উনার মুহাব্বত-মারিফত, নিসবত-কুরবত হাছিল করতে পারবে। ইনশাআল্লাহ!
০৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- হামদ্ শরীফ, না’ত শরীফ, ক্বাছীদাহ শরীফ ইত্যাদি লেখা বা রচনা করা, পাঠ বা আবৃত্তি করা এবং শ্রবণ করা সবই খাছ সুন্নত মুবারক উনার অন্তর্ভুক্ত।
০১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মুবাশশিরাও ওয়া নাযীরা, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন্ নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অবশ্যই হাযির ও নাযির।
৩১ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার ফতওয়া অনুসারে- ‘যে পুরুষ ও মহিলা নিজে পর্দা করে না ও অধীনস্থদের পর্দায় রাখে না, সে দাইয়্যূছ।’ নাউযুবিল্লাহ!
৩০ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ফরয হচ্ছে – সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানে সর্বোচ্চ হুসনে যন পোষণ করা।
২৯ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- সম্মানিত আইয়্যামুল্লাহ শরীফ বা মহান আল্লাহ পাক উনার বিশেষ দিবসসমূহ পালন করা সকলের জন্য আবশ্যক।
২৮ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনাদের আক্বীদাহ হলো- আনুষ্ঠানিকভাবে পবিত্র মি’রাজ শরীফ সম্মানিত রজবুল হারাম শরীফ মাস উনার ২৭ তারিখ লাইলাতুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ (সোমবার) রাতেই অনুষ্ঠিত হয়েছে। এটাই মশহূর বা প্রসিদ্ধ, গ্রহণযোগ্য ও দলীলভিত্তিক মত। এর বিপরীত মতগুলো গ্রহণযোগ্য নয়।
২৮ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
প্রত্যেক মুসলমান পুরুষ-মহিলা সকলের জন্যই কামিল শায়েখ বা মুরশিদ ক্বিবলা উনার নিকট বাইয়াত গ্রহণ করা, ছোহবত ইখতিয়ার করা, তরীক্বার সবক্ব আদায় করা ফরযে আইন। যার মাধ্যমে ইছলাহ বা আত্মশুদ্ধি লাভ হয়। ফলে মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সাথে নিসবত স্থাপিত হয়। সুবহানাল্লাহ!
২৬ জানুয়ারি, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)