নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘কোনো ব্যক্তির মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, সে যা শুনে তাই বলে বা প্রচার করে বেড়ায়।’ অর্থাৎ তাহক্বীক্ব করে না।
প্রত্যেকের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হলো- পবিত্র সাহরী, পবিত্র ইফতার ও পবিত্র নামায উনাদের সময়সূচি প্রকাশ ও প্রচার করার সময় পূর্ণ সাবধানতা অবলম্বন করা। কেননা, সামান্য অসাবধানতা ও গাফলতির কারণে কোটি কোটি মুসলমানের ফরয রোযা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। নাউযুবিল্লাহ! পবিত্র সাহরী ও পবিত্র ইফতারি উনাদের সঠিক সময় জানতে ‘গবেষণা কেন্দ্র- মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ’ থেকে প্রকাশিত ক্যালেন্ডারটি সংগ্রহ ও অনুসরণ করুন। যা পূর্ণ তাহক্বীক্ব করে প্রকাশ করা হয়েছে। সুবহানাল্লাহ!
, ২৩ শাবান শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৬ আশির, ১৩৯১ শামসী সন , ০৫ মার্চ, ২০২৪ খ্রি:, ২১ ফাল্গুন, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) মহাপবিত্র ক্বওল শরীফ-১
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, আজকাল যদিও বিভিন্ন কম্পিউটার সফটওয়্যারের মাধ্যমে পবিত্র নামায উনার সময়সূচি নির্ণয় করা যায়, তথাপি সফটওয়্যারের মাধ্যমে সময়সূচি নির্ধারণেও অনেকগুলো বিষয়ের উপর লক্ষ্য রাখতে হয়। যেমন- ১. প্রভাত এবং সন্ধ্যার আলোর যথাক্রমে শুরু এবং শেষ (Twilight angle of sunrise and sunset), ২. ওই স্থানের সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে উচ্চতা, ৩. ওই স্থানের কেন্দ্র থেকে কতটা দূরত্বের সময়সুচি নির্ণয় করতে হবে, ৪. কোন্ মাযহাব অনুযায়ী নির্ণয় করতে হবে, ৫. সূর্যাস্তের (Apparent sunset) সময়ের সাথে সতর্কতামূলক সময় যোগ, ৬. অক্ষাংশ এবং দ্রাঘিমাংশের সঠিক ব্যবহার ইত্যাদি। উপরের বিষয়গুলোর জন্য সঠিক মান ব্যবহৃত না হলে সময়সূচিতে ভুল হয়ে যাবে।
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, যাদের হাতের কাছে যে সময়সূচি পাওয়া যায় তারই কপি করে প্রকাশ করে। ফলে যেখানে যা ভুল থাকে তারই পুনঃমুদ্রণ ঘটে। অথচ ফরয আমল উনার বিষয় সম্পর্কে ইলম হাছিল করাও ফরয। সুতরাং এ বিষয়টি প্রকাশনার সময় যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। একটি জেলার জন্য যদি কয়েকটি ক্যালেন্ডারে কয়েক রকমের সময়ের পার্থক্য পাওয়া যায়, তাহলে সাধারণ মানুষ কোন্টি অনুসরণ করবে। সমূহ পত্রিকা এবং মাদরাসা প্রতিষ্ঠান যারাই পবিত্র নামায উনার সময়সূচি বা পবিত্র সাহরী ও পবিত্র ইফতার উনাদের সময়সূচি প্রকাশ করুক না কেন, তাদের উচিত হবে- এ বিষয়ে যাঁরা অভিজ্ঞ উনাদের স্মরণাপন্ন হওয়া। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য সূত্র ব্যবহার করে পার পাওয়া যাবে না; যেহেতু ইসলামিক ফাউন্ডেশন নিজেই ত্রুটিযুক্ত।
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘যদি তোমরা সত্যবাদী হও, তবে প্রমাণ উপস্থাপন করো।’ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘কোনো ব্যক্তির মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, সে যা শুনে তাই বলে বা প্রচার করে বেড়ায়।’ অর্থাৎ তাহক্বীক্ব করে না। তাই, পবিত্র সাহরী, পবিত্র ইফতার ও পবিত্র নামায উনাদের সময়সূচি প্রকাশ ও প্রচার করার সময় পূর্ণ সাবধানতা অবলম্বন করা ফরয। কেননা, সামান্য অসাবধানতা ও গাফলতির কারণে কোটি কোটি মুসলমানের ফরয রোযা নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র সাহরী ও পবিত্র ইফতারি উনাদের সঠিক সময় জানতে ‘গবেষণা কেন্দ্র- মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ’ থেকে প্রকাশিত ক্যালেন্ডারটি সংগ্রহ ও অনুসরণ করুন। যা পূর্ণ তাহক্বীক্ব করে প্রকাশ করা হয়েছে। বাজারে প্রচলিত ক্যালেন্ডারে উল্লিখিত সাহরী ও ইফতারীর সময়সূচির অধিকাংশই পূর্ণ সঠিক নয়।
-০-
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মুসলিম শাসকদের জন্য ফরয হচ্ছে- হারাম ছবি পরিহার করে অঙ্গুলির ছাপ (ফিঙ্গারপ্রিন্ট) সম্বলিত পাসপোর্ট ও পরিচয় পত্র (আইডি কার্ড) তৈরী করা ও তা তৈরিতে এবং সমগ্র মুসলিম বিশ্বে প্রচলনে সর্বাত্মক সহায়তা করা।
০৬ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মালিকুত তামাম, ক্বাসিমুন নিয়াম, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিই মহাসম্মানিত জান্নাতসহ সমস্ত কিছুর মালিক ও বণ্টনকারী। সুবহানাল্লাহ! অর্থাৎ তিনিই কায়িনাতের মাঝে মহান আল্লাহ পাক উনার সমস্ত নিয়ামত মুবারক বণ্টন করেন। সুবহানাল্লাহ!
০৫ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি যেরূপ এক ও একক। তদ্রুপ হাবীব ও মাহবূব হিসেবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিও এক ও একক। সুবহানাল্লাহ!
০৪ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত হাবীব,নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাপবিত্র নাম মুবারক যতবার উচ্চারণ বা শ্রবণ করবে,ততবারই উনার প্রতি মহাপবিত্র ছলাত শরীফ পাঠ করা প্রত্যেক ঈমানদার পুরুষ ও মহিলার জন্য ফরয। সুবহানাল্লাহ! মহাসম্মানিত হাবীব,নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাপবিত্র নাম মুবারক উচ্চারণ করে বা শুনে উনার প্রতি যারা পবিত্র ছলাত শরীফ ও পবিত্র সালাম শরীফ পাঠ করেনা বা করবেনা,তাদের জন্য ধ্বংস ও জাহান্নাম অবধারিত। নাউযুবিল্লাহ
০৩ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
আজ সুমহান বরকতময় সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আসইয়াদ, সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার ২৮ তারিখ। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আত তাসিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
০২ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
আজ বরকতময় সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আসইয়াদ, সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ মহাপবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার ২৭ তারিখ। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদাতুন নিসা, উম্মুল মাসাকীন, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আল খ্বমিসাহ আলাইহাস সালাম উনার মহাপবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
০১ অক্টোবর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
বাংলাদেশে পবিত্র রবীউছ ছানী শরীফ মাস উনার চাঁদ তালাশ করতে হবে- পবিত্র ২৯শে রবীউল আউওয়াল শরীফ ১৪৪৬ হিজরী, ৫ই খমীস ১৩৯২ শামসী, ৩রা অক্টোবর ২০২৪ খৃঃ, ইয়াওমুল খমীস (বৃহস্পতিবার) দিবাগত সন্ধ্যায়। সম্মানিত শরীয়ত অনুযায়ী প্রতি মাসে চাঁদ তালাশ করা ওয়াজিবে কিফায়া আর চাঁদের হিসাব অনুযায়ী সঠিক তারিখে আরবী মাস শুরু করা ফরয। সুবহানাল্লাহ!
৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার হাবীব ও মাহবুব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান মুবারক উনার খেলাফ কোনো বিষয় কখনোই বরদাশত করেন না।
২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘মহান আল্লাহ পাক তিনি সর্বপ্রথম আমার মহাপবিত্র নূর মুবারক সৃষ্টি করেন এবং সেই মহাপবিত্র নূর মুবারক থেকেই সমস্ত কায়িনাত সৃষ্টি করেন। ’ সুবহানাল্লাহ!
২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
কুল-কায়িনাতের সকলের জন্য ফরয হচ্ছে- সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আসইয়াদ, সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহুরিল আ’যম, পবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ মাসে তো অবশ্যই, বরং অনন্তকালব্যাপী দায়িমীভাবে খিদমত মুবারক উনার আঞ্জাম দেয়া।
২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিই হচ্ছেন সকলের জন্য সমস্ত বিষয়ে একমাত্র অনুসরণীয় ও অনুকরণীয়। সুবহানাল্লাহ! অতএব, জিন-ইনসানসহ সকল মাখলুকাতের জন্যই ফরয হচ্ছে- উনার পবিত্র জীবনী মুবারক জানা ও উনাকে প্রতিক্ষেত্রে পরিপূর্ণরূপে অনুসরণ-অনুকরণ করা।
২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মুসলমান প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত ফরয নামাযে ১৭ বার, ওয়াজিব নামাযে ৩ বার, আর সুন্নতে মুয়াক্কাদা নামাযে ১২ বারসহ কমপক্ষে মোট ৩২ বার পবিত্র সূরা ফাতিহা শরীফ পাঠ করে এবং উপরোক্ত দোয়া করে।
২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)