মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “মহান আল্লাহ পাক তিনি কি করে ঐ সম্প্রদায়কে হিদায়েত দান করবেন যারা ঈমান আনার পর কুফরী করে এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সত্য বলে সাক্ষ্য দেয়ার পর উনার নাফরমানী করে এবং তাদের কাছে পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের সুস্পষ্ট বিধান থাকার পর তা অমান্য করে। এসব লোক প্রকৃতপক্ষে যালিমের অন্তর্ভুক্ত। নাউযুবিল্লাহ!
প্রত্যেক ব্যক্তি বা সম্প্রদায়ের জন্য ফরয হচ্ছে- মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার সম্মানিত রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের প্রতি বিশুদ্ধ আক্বীদা রেখে উনাদের প্রতিটি আদেশ-নিষেধ মুবারক পরিপূর্ণরূপে পালন করা।
আর ইহুদী, মুশরিক, নাছারা তথা বিধর্মীদের সর্বপ্রকার নিয়মনীতি, তর্জ-তরীক্বা, তন্ত্র-মন্ত্র অনুসরণ করা থেকে বিরত থাকা। তবেই হাক্বীক্বী নাযাত লাভ করা সম্ভব হবে অন্যথায় নয়।
, ২৯ ছফর শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৭ রবি’ ১৩৯১ শামসী সন , ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ৩১ ভাদ্র, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) মহাপবিত্র ক্বওল শরীফ-২
![প্রত্যেক ব্যক্তি বা সম্প্রদায়ের জন্য ফরয হচ্ছে- মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার সম্মানিত রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের প্রতি বিশুদ্ধ আক্বীদা রেখে উনাদের প্রতিটি আদেশ-নিষেধ মুবারক পরিপূর্ণরূপে পালন করা।](https://www.al-ihsan.net/uploads/1694732528_.jpg)
ছাহিবাতু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, হাবীবাতুল্লাহ, ছাহিবায়ে নেয়ামত, রহমাতুল্লিল আলামীন, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি পূর্ববর্তী হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস্ সালাম উনাদের প্রতি নাযিলকৃত তিনখানা কিতাব- পবিত্র তাওরাত শরীফ, পবিত্র যাবূর শরীফ, পবিত্র ইন্জীল শরীফ এবং একশ’খানা পবিত্র ছহীফা শরীফ উনার হুকুম এবং অতীতে, বর্তমানে ও ভবিষ্যতে মানবরচিত সকল মতবাদ বাতিল ঘোষণা করে উনার যিনি রসূল, যিনি কুল-কায়িনাতের নবী ও রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে হিদায়েতকারী, সাক্ষ্য দানকারী, সতর্ককারী, সুসংবাদ দানকারী হিসেবে পবিত্র দ্বীন ইসলাম দিয়ে, পবিত্র কুরআন শরীফ দিয়ে, পবিত্র হাদীছ শরীফ দিয়ে যমীনে পাঠিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “মহান আল্লাহ পাক তিনি কি করে ঐ সম্প্রদায়কে হিদায়েত দান করবেন যারা ঈমান আনার পর কুফরী করে এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে সত্য বলে সাক্ষ্য দেয়ার পর উনার নাফরমানী করে এবং তাদের কাছে পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের সুস্পষ্ট বিধান থাকার পর তা অমান্য করে। এসব লোক প্রকৃতপক্ষে যালিমের অন্তর্ভুক্ত। ” অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত শরীয়ত অর্থাৎ পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনার পরিপূর্ণ আহকাম বা বিধান আসার পর আর কোন দ্বীন-ধর্ম ও মতবাদের নিয়ম-নীতি, আইন-কানুন বান্দা ও উম্মতের জন্য আমলযোগ্য নয়। বরং তা সম্পূর্ণরূপে পরিহারযোগ্য।
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, অথচ আশ্চর্য! কি সাধারণ মুসলমান, কি মুসলমান রাজা-বাদশা, আমীর-উমারা ও সরকার আর কি মুসলমান নামধারী আল্লামা-মুফতী, মুহাদ্দিছ-মুফাসসির, ইমাম-খতীব, ছূফী-দরবেশ, পীর-মাশায়িখ, মুরুব্বী সকলেই একসাথে মিলে ইহুদী-নাছারাদের প্রবর্তিত গণতন্ত্র করছে। নাঊযুবিল্লাহ। কট্টর হিন্দু গান্ধীর প্রবর্তিত হরতাল করছে। নাঊযুবিল্লাহ। কট্টর নাস্তিক মাওসেতুংয়ের প্রবর্তিত লংমার্চ করছে। নাঊযুবিল্লাহ। এমনিভাবে তারা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফবিরোধী বেদ্বীন-বিজাতীয়দের কর্মপদ্ধতি যেমন, গান-বাজনা, ছবি, টিভি-সিনেমা, বেপর্দা-বেহায়াপনা, খেলাধুলা নববর্ষ-পহেলা বৈশাখ, থার্টিপাস্ট নাইট উদযাপন ইত্যাদি অসংখ্য হারাম ও কুফরীকে সমর্থন করছে এবং তার মধ্যে গা ভাসিয়ে চলেছে। নাউযুবিল্লাহ!
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, মূলকথা হলো- ব্যক্তি হোক, সম্প্রদায় হোক মুসলমান হিসেবে থাকতে হলে অবশ্যই মহান আল্লাহ পাক উনার প্রতি এবং উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের প্রতি বিশুদ্ধ আক্বীদা পোষণ করতে হবে এবং উনাদের প্রতিটি আদেশ-নিষেধ মুবারক পরিপূর্ণরূপে পালন করার কোশেশ করতে হবে। তবেই তাদের পক্ষে নাজাত পাওয়া সম্ভব হবে অন্যথায় নয়।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র সাওয়ানেহ উমরী মুবারক বা পবিত্র জীবনী মুবারক জানা ও বেশি বেশি সর্বত্র আলোচনা করা এবং প্রতিক্ষেত্রে উনাকে পরিপূর্ণরূপে অনুসরণ-অনুকরণ করা সকলের জন্যই ফরয।
২৭ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
বান্দা-বান্দী যদি মহান আল্লাহ পাক উনার আনুগত্য করে, উনার প্রতি তাওয়াক্কুল করে, উনার শোকরগুজারী করে এবং তাক্বওয়া অবলম্বন করে, তাহলে মহান আল্লাহ পাক তিনি তাদেরকে ইতমিনান দান করবেন এবং এমন কুদরতী রিযিক দান করবেন, যা সে কল্পনাও করতে পারবে না।
২৬ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাপবিত্র নসবনামাহ মুবারক দৈনিক পাঠ করা সকলের জন্য আবশ্যক।
২৫ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত আছে- নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে মুহব্বত করবে মহান আল্লাহ পাক তিনি তাকে মুহব্বত করবেন।
১৭ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র সূরা তওবা শরীফ উনার ৩৬ নং পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন,“নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট সম্মানিত কিতাব উনার মধ্যে আসমান-যমীন সৃষ্টির শুরু থেকে গনণা হিসেবে মাসের সংখ্যা ১২টি। তন্মধ্যে ৪টি হচ্ছে হারাম বা সম্মানিত মাস। এটাই সঠিক দ্বীন। তোমরা এই মাসগুলোতে নিজের প্রতি জুলুম করো না। ” হারাম বা সম্মানিত মাসসমূহের মধ্যে পবিত্র মুহররমুল হারাম শরীফ অন্যতম।
১৬ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পবিত্র সুন্নত মুবারক উনাদের মাঝেই সর্বোত্তম তাক্বওয়া। যিনি যত বেশি পবিত্র সুন্নত মুবারক উনার পাবন্দ হবেন, তিনি তত বেশি মর্যাদা বা সম্মানের অধিকারী হবেন। সুবহানাল্লাহ!
১৫ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
দ্বীনি ইলম অর্জন করা ফরয। এই ফরয আদায় না করলে এর জন্য পরকালে জবাবদিহি করতে হবে। এজন্য তাকে শাস্তিও পেতে হতে পারে।
১৪ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “অন্যান্য ফরযের পর হালাল কামাই করা ফরয। ”সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- প্রত্যেকের জন্য হালাল কামাই করা, হালাল কাপড় ও দ্রব্য সামগ্রী ব্যবহার করা এবং হালাল ও পবিত্র খাদ্য খাওয়া ফরয।
১৩ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
আখেরী যামানার ফিতনা ফাসাদ থেকে নাজাত লাভের একমাত্র উপায় হলো হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরা তথা অনুসরণ অনুকরণ করা, জীবনের সকল ক্ষেত্রে উনাদেরকে আদর্শ রূপে গ্রহণ করা।
১২ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, শয়তান আদম সন্তানের ক্বলবে আসন পেতে বসে থাকে। যখন সে যিকির করে, তখন শয়তান পালিয়ে যায়। আর যখন সে যিকির থেকে গাফিল হয়, তখন শয়তান ওয়াসওয়াসা দেয়। ” মহান আল্লাহ পাক উনার যিকির সমস্ত কামিয়াবীর সোপান।
১১ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজে উনার হাবীব মাহবূব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি পবিত্র ছলাত শরীফ-পবিত্র সালাম শরীফ পেশ করেন ও উনার পবিত্র যিকির শরীফ বা পবিত্র আলোচনা মুবারক করেন।
১০ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
কুফরী থেকে বাঁচতে হলে খালিছভাবে নেক আমল করতে হবে।
০৯ জুলাই, ২০২৪ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার)