খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, হে ঈমানদাররা! তোমরা ছদিক্বীন বা সত্যবাদী অর্থাৎ আল্লাহওয়ালা উনাদের ছোহবত ইখতিয়ার করো।
প্রত্যেক মুসলমান পুরুষ-মহিলা সকলের জন্যই কামিল শায়েখ বা মুরশিদ ক্বিবলা উনার নিকট বাইয়াত গ্রহণ করা, ছোহবত ইখতিয়ার করা, তরীক্বার সবক্ব আদায় করা ফরযে আইন। যার মাধ্যমে ইছলাহ বা আত্মশুদ্ধি লাভ হয়। ফলে মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সাথে নিসবত স্থাপিত হয়। সুবহানাল্লাহ!
তাই প্রত্যেকের জন্যই ফরয- একজন হক্কানী-রব্বানী ওলীআল্লাহ উনার নিকট বাইয়াত গ্রহণ করে ছোহবত ইখতিয়ার করে ও নিয়মিত সবক আদায় করে ইছলাহ ও নিসবত হাছিল করা।
, ০৭ শাওওয়াল শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৮ হাদী আশার, ১৩৯১ শামসী সন , ১৭ এপ্রিল, ২০২৪ খ্রি:, ০৪ বৈশাখ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) মহাপবিত্র ক্বওল শরীফ-২
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, মানুষের ভুলত্রুটি থাকতে পারে। সেটা আলাদা মাসয়ালা। কিন্তু শর্ত হচ্ছে ঈমানের সাথে যেতে হবে। এক্ষেত্রে কোনো ত্রুটি করা যাবে না। ঈমানের সাথে যেতে হলে ইলম অর্জনের সাথে সাথে একজন হক্কানী-রব্বানী মুর্শিদ ক্বিবলা উনার নিকট বাইয়াত হয়ে তরীক্বা অনুযায়ী যিকির-আযকার করতে হবে। তরীক্বার প্রাথমিক যিকির, পাছ-আনফাছ এবং ইশা ও ফজর বাদ ১০০ বার করে পবিত্র দরূদ শরীফ পাঠ করতে হবে।
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র ইশা উনার নামাযের পর ১০০ বার পবিত্র দরূদ শরীফ উনার দ্বারা মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুহব্বত পয়দা হবে এবং ফজর উনার নামাযের পর ১০০ বার পবিত্র দরূদ শরীফ উনার দ্বারা আল্লাহওয়ালা উনাদের মুহব্বত পয়দা হবে। আর পবিত্র পাছ-আনফাছ যিকির উনার দ্বারা মহান আল্লাহ পাক উনার মুহব্বত পয়দা হবে। সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র সূরা ফাতিহা শরীফ পাঠ করে আমরা সরল পথ চাই, নিয়ামতপ্রাপ্ত উনাদের পথ চাই। নিয়ামতপ্রাপ্ত হচ্ছেন, হযরত নবী, ছিদ্দীক, শহীদ, ছলেহীন উনারা। উনাদের পথ আমরা চেয়ে থাকি। হযরত নবী আলাইহিমুস্ সালাম উনারা হচ্ছেন এক তবক্বা, আর ছিদ্দীক, শহীদ ছলেহ উনারা হচ্ছেন হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম উনাদের তবক্বা। সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, আমরা প্রতিদিন ১৭ রাকায়াত ফরয নামায, বিতর তিন রাকায়াত, আর সুন্নতে মুয়াক্কাদা বারো রাকায়াত নামায আদায় করি। তাহলে কমপক্ষে প্রতিদিন ৩২ রাকায়াত নামাযে ৩২ বার মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে বলি, “আয় আল্লাহ পাক! আপনি আমাদের সরলপথ প্রদর্শন করুন। ” অর্থাৎ হযরত নবী আলাইহিমুস সালাম ও হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম উনাদের পথ আমাদেরকে দান করুন। আমরা সকলেই মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে এ দোয়া করি। শুধু মুখে মুখে দোয়া করলেই চলবে না। সাথে সাথে কাজও করতে হবে। অর্থাৎ সর্বদা পাছ আনফাছ যিকির করতে হবে এবং প্রতিদিন পবিত্র ইশা ও ফজর নামাযের পর পবিত্র দরূদ শরীফ পাঠ করতে হবে।
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র পাছ-আনফাছ যিকির করতে সময় লাগে না। এটা চলাফেরা, ওঠা-বসা সব সময় করা যায়। শোয়ার সময় করলেও আস্তে আস্তে জারি হয়ে যায়। কাজের ফাঁকে ফাঁকে করা যেতে পারে। পড়াশুনার সাথে সাথে সব সময় করা যেতে পারে। পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে উল্লেখ আছে, “পবিত্র আরশে মুয়াল্লা উনার সামনে একটা নূরের স্তম্ভ বা খুঁটি আছে, যখন কেউ ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ উনার যিকির করতে থাকে তখন খুঁটিটি কাঁপতে থাকে। মহান আল্লাহ পাক তিনি খুঁটিকে জিজ্ঞাসা করেন, হে খুঁটি! তুমি কাঁপো কেন? খুঁটি উত্তর দেয়, হে মহান আল্লাহ পাক! আপনার অমুক বান্দা পবিত্র কালিমা শরীফ উনার যিকির করছে সেজন্য আমি কাঁপছি। মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন, হে খুঁটি! তোমার কাঁপা বন্ধ করো। খুঁটি বলে, হে মহান আল্লাহ পাক! আমি কাঁপা বন্ধ করবো তাকে ক্ষমা করলে। মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন, যাও তাকে ক্ষমা করে দিলাম। ” সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, পবিত্র ইশা উনার নামায বাদ পবিত্র দরূদ শরীফ পবিত্র ইশা উনার নামাযের পর রাতে শোয়ার আগে ১০, ১১, ১২, ১টা পর্যন্ত পড়া যেতে পারে। আর পবিত্র ফজর নামায বাদ পবিত্র দরূদ শরীফ ৭, ৮, ৯, ১০টা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে পড়ে নিলে কোন অসুবিধা নেই। আর পাছ-আনফাছ অভ্যাস হয়ে গেলে পরবর্তী সবক্ব নিতে হবে।
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, মূল কথা হলো- প্রত্যেক মুসলমান পুরুষ-মহিলা সকলের জন্যই কামিল শায়েখ বা মুরশিদ ক্বিবলা উনার নিকট বাইয়াত গ্রহণ করা, ছোহবত ইখতিয়ার করা, তরীক্বার সবক্ব আদায় করা ফরযে আইন। যার মাধ্যমে ইছলাহ বা আত্মশুদ্ধি লাভ হয়। ফলে মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সাথে নিসবত স্থাপিত হয়। সুবহানাল্লাহ! তাই প্রত্যেকের জন্যই ফরয- একজন হক্কানী-রব্বানী ওলীআল্লাহ উনার নিকট বাইয়াত গ্রহণ করে ছোহবত ইখতিয়ার করে ও নিয়মিত সবক আদায় করে ইছলাহ ও নিসবত হাছিল করা।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মহান আল্লাহ পাক উনার শোকরগুজারী করলে নযি়ামত বৃদ্ধি পাবে
২৫ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মুসলিম উম্মাহ সকলের জন্য ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে- হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের সম্পর্কে সঠিক আক্বীদা পোষণ করা। কেননা উনারা প্রত্যেকেই প্রত্যেকের মাক্বাম মুবারকে অনন্যা। যে বা যারা বিশুদ্ধ আক্বীদা পোষণ করে উনাদের যত বেশি
২৪ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পবিত্র মক্কা শরীফ ও পবিত্র মদীনা শরীফ উনারা পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ মর্যাদাসম্পন্ন স্থান। সুবহানাল্লাহ! পবিত্র মক্কা শরীফ ও পবিত্র মদীনা শরীফ উনাদেরকে যথাযথ তা’যীম বা সম্মান করা সকলের জন্যই ফরয।
২৩ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস লাভ করার পরও যারা নিজেদের গুণাহ ক্ষমা করাতে পারবেনা, তাদের জন্য আফসুস।
২২ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
কেউ যদি পবিত্র লাইলাতুল ক্বদর উনার রাতে ইবাদত-বন্দিগী করে তাহলে সে হাজার মাস ইবাদত-বন্দিগী করে যত ফযীলত লাভ করার কথা তার চেয়ে অনেক বেশী ফযীলত লাভ করবে।
২১ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
পবিত্র ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- মহিলাদের জন্য পাঁচ ওয়াক্ত, জুমুয়া, ঈদাইন, তারাবীহসহ সর্বপ্রকার নামাযের জামায়াতের জন্য মসজিদ বা ঈদগাহে যাওয়া হারাম ও কুফরী।
২০ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
বিনতু রসূলিল্লাহ, সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম তিনি এবং সিবতু রসূলিল্লাহ, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী আলাইহিস সালাম তিনি অর্থাৎ উনারা হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের বিশেষ ব্যক্তিত্ব।
১৯ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
“হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম- উনারা সারা কায়িনাতের মহাসম্মানিত মাতা। সুবহানাল্লাহ! উনাদের সম্মানিত মুহব্বত মুবারকই হচ্ছেন সম্মানিত ঈমান। আর উনাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করা কুফরী।
১৮ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পবিত্র যাকাত একটি ফরয ইবাদত ও সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার তৃতীয় বা মধ্যম ভিত্তি। সুবহানাল্লাহ! পবিত্র যাকাত উনার নামে অপছন্দনীয় ও নিম্নমানের মাল বা বস্তু দান করা হারাম ও কুফরী। নাউযুবিল্লাহ! কারণ নিম্নমানের মাল বা বস্তু পবিত্র যাকাত হিসেবে দেয়া স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে প্রতারণা করা এবং পবিত্র যাকাত উনাকে অবজ্ঞা বা তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করার শামিল; যা নিঃসন্দেহে রিয়া ও কুফরীর অন্তর্ভুক্ত। নাউযুবিল্লাহ!
১৬ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সিবতু রসূল আর রবি’ সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছানী মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের বিশেষ ব্যক্তিত্ব। উনাকে মুহব্বতকারীদের জন্য সুসংবাদ আর উনার প্রতি বিদ্বেষ পোষণকারীদের জন্য জাহান্নাম।
১৬ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
‘তাক্বওয়া’ শব্দের অর্থ হলো আল্লাহভীতি। অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করে উনার নিষিদ্ধ বিষয়সমূহ হতে সম্পূর্ণরূপে বিরত থাকার নাম তাক্বওয়া। আর পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাসের রোযা উনার দ্বারা সেই তাক্বওয়া হাছিল হয়ে থাকে।
১৫ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
‘পবিত্র রমাদ্বান শরীফ হচ্ছেন মুয়াসাহ বা সহানুভূতির মাস।’ সুবহানাল্লাহ! পবিত্র ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- অতিরিক্ত মুনাফা লাভের উদ্দেশ্যে সিন্ডিকেট করে বাজারে দ্রব্যমূল্য বাড়ানো সম্পূর্ণরূপে হারাম ও নাজায়িয।
১৪ মার্চ, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)