খলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র সূরা লুক্বমান শরীফ উনার ১৫নং পবিত্র আয়াত শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন, “ওই ব্যক্তির অনুসরণ করুন, যিনি আমার দিকে রুজু হয়েছেন।”
প্রত্যেক সালিক বা মুরীদের জন্য নিজ ত্বরীক্বার পবিত্র শাজরা শরীফ সম্পর্কে অবহিত হওয়া বা জানা আবশ্যক। যে ব্যক্তি মুরীদ হয়েও তার হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার “পবিত্র শাজরা শরীফ বা সিলসিলা” সম্বন্ধে অবগত নয়, সে ব্যক্তির মুরীদ হওয়া অর্থহীন।
কাজেই প্রত্যেক সালিকের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হলো- প্রত্যেক দিন নিজ ত্বরীক্বার পবিত্র শাজরা শরীফ একবার অবশ্যই পাঠ করা।
, ০৭ রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৭ হিজরী সন, ২৯ সাবি’, ১৩৯৩ শামসী সন , ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রি:, ১৩ পৌষ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) মহাপবিত্র ক্বওল শরীফ-২
ছাহিবাতু সাইয়্যিদিল আ’দাদ শরীফ, সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, হাবীবাতুল্লাহ, ছাহিবায়ে নেয়ামত, রহমাতুল্লিল আলামীন, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, খ¦লিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র সূরা লুক্বমান শরীফ উনার ১৫নং পবিত্র আয়াত শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন, “ওই ব্যক্তির অনুসরণ করুন, যিনি আমার দিকে রুজু হয়েছেন।” একজন তরীক্বতপন্থীর নিকট ‘শাজরা শরীফ’ উনার গুরুত্ব অপরিসীম। শাজরা শরীফ দ্বারা প্রত্যেক মুরীদ তার মুর্শিদ ক্বিবলা উনার সিলসিলা কিভাবে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পর্যন্ত পৌঁছলো তা জানতে পারে।
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, ‘শাজরা’ ও ‘সিলসিলা’ দুটি শব্দই আরবী; আভিধানিক অর্থ যথাক্রমে বৃক্ষ (গাছ) ও শিকল। আর ইসলামী পরিভাষায় অর্থাৎ ইলমুত তাছাওওফ উনার পরিভাষায় অর্থ হলো মাশায়িখে তরীক্বতগণ উনাদের মুবারক নামসমূহের তরতীব; যা নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পর্যন্ত পৌঁছেছে। একজন মুরীদের জন্য তার মুর্শিদ ক্বিবলা উনার “শাজরা শরীফ বা সিলসিলা” সম্বন্ধে অবগত হওয়া অবশ্য কর্তব্য।
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক উনার খালিছ ওলী হযরত মাওলানা কারামত আলী জৌনপুরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার ‘মুরাদুল মুরীদীন’ কিতাবে এ প্রসঙ্গে লিখেছেন, “যে ব্যক্তি মুরীদ হয়েও তার মুর্শিদ ক্বিবলা উনার “শাজরা শরীফ বা সিলসিলা” সম্বন্ধে অবগত নয়, সে ব্যক্তির মুরীদ হওয়া অর্থহীন।”
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, ‘মাদারিজুস সালিকীন ইলা রুসূমে তরীক্বিল আরিফীন’ কিতাবে রয়েছে, “সমস্ত সলফে ছালিহীন ও তরীক্বতের শায়েখগণ উনারা একথার উপর একমত হয়েছেন যে, যে ব্যক্তি তার মুর্শিদ ক্বিবলা উনার ‘শাজরা শরীফ বা সিলসিলা’ সম্পর্কে অবগত নয়, সে অকর্মণ্য।”
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, প্রত্যেক সালিক বা মুরীদের জন্য শাজরা শরীফ সম্পর্কে অবহিত হওয়া বা জানা অতীব আবশ্যক। কেননা নিয়ামত মুবারক হাছিল করার উসীলা সমূহের মধ্যে শাজরা শরীফ পাঠ করা ও মুখস্থ করার বিষয়টিও অন্যতম। এই শাজরা শরীফ উনার মাধ্যমেই একজন সালিক বা সালিকা, তার যিনি সম্মানিত শায়েখ বা মুর্শিদ ক্বিবলা তিনি যে সকল সম্মানিত মাশায়িখ উনাদের ধারাবাহিকতায় সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, রহমাতুল্লিল আলামীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার তরফ থেকে সম্মানিত বিলায়েত ও কামালিয়াত প্রাপ্ত হয়েছেন উনাদের মুবারক নামসমূহ জানতে পারে। সুলুকের পথে আপন শায়েখ বা মুর্শিদ ক্বিবলা ছাড়া সালিকের সাথে আরো অনেক বুযুর্গ ব্যক্তিগণ উনাদের মুবারক সাক্ষাৎ ঘটে। এখন সালিক যদি নিজ তরীক্বা উনার শাজরা শরীফ সম্পর্কে ইলম হাছিল না করে তাহলে সম্মানিত বুযুর্গ ব্যক্তিগণ উনাদেরকে সে কিভাবে চিনবে।
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, প্রথম নবী ও রসূল আবুল বাশার হযরত আদম ছফিউল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার পর থেকে সর্বশেষ নবী ও রসূল নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পূর্ব পর্যন্ত এক লক্ষ চব্বিশ হাজার মতান্তরে দুই লক্ষ চব্বিশ হাজার হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা যমীনে তাশরীফ মুবারক এনেছেন। অতঃপর সর্বশেষ নবী ও রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিছালী শান মুবারক প্রকাশের পর কিয়ামত পর্যন্ত আর কেউ নবী ও রসূল হিসেবে যমীনে আগমন করবেন না। ফলে এ সুদীর্ঘ সময়কালে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার তরফ থেকে খিলাফতপ্রাপ্ত প্রতিনিধিগণ উনারা যমীনে অবস্থান করবেন। আর উনারাই হচ্ছেন সম্মানিত মাশায়েখে তরীক্বত উনাদের অন্তর্ভুক্ত। পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে- “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা উম্মতের নিকট যেরূপ সম্মানিত ও অনুসরণীয়, শায়েখ বা মুর্শিদ ক্বিবলা তিনিও উনার অধীনস্তদের নিকট তদ্রƒপ সম্মানিত ও অনুসরণীয়।”
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, বর্তমানে হিজরী পঞ্চদশ শতাব্দীর মুজাদ্দিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ক্বইয়ূমুয যামান, জাব্বারিউল আউওয়াল, ক্বউইয়্যুল আউওয়াল, সুলত্বানুন নাছীর, ইমামুল উমাম সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার “শাজরা শরীফ বা সিলসিলা” সম্বন্ধে সকলকে অবগত করানোর জন্য পবিত্র শাজরা শরীফখানা প্রকাশ করা হয়েছে। প্রত্যেক সালিক-সালিকার উচিত, পবিত্র শাজরা শরীফ উনার রেসালা শরীফ সংগ্রহ করা, নিজে পাঠ করা, অধীনস্তদেরকে পাঠ করানো এবং সামর্থ্য অনুযায়ী মানুষদের মাঝে ছড়িয়ে দেয়া।
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল উমাম আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, মূলকথা হলো- প্রত্যেক সালিক বা মুরীদের জন্য নিজ ত্বরীক্বার পবিত্র শাজরা শরীফ সম্পর্কে অবহিত হওয়া বা জানা অতীব আবশ্যক। যে ব্যক্তি মুরীদ হয়েও তার হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার “পবিত্র শাজরা শরীফ বা সিলসিলা” সম্বন্ধে অবগত নয়, সে ব্যক্তির মুরীদ হওয়া অর্থহীন। কাজেই প্রত্যেক সালিকের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হলো- প্রত্যেক দিন নিজ ত্বরীক্বার পবিত্র শাজরা শরীফ একবার অবশ্যই পাঠ করা উচিত।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হায়াত, মাল-সম্পদ এবং পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার হক্ব যারা আদায় করবেনা, তাদেরকে কিয়ামতের দিন অসহায় বকরীর ন্যায় উপস্থিত করা হবে। তাই প্রত্যেকের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করে গুনাহর কাজ করা থেকে বিরত থাকা। মহান আল্লাহ পাক উনার প্রদত্ত নিয়ামতসমূহের যথাযথ হক্ব আদায় করা অর্থাৎ হায়াতকে নিয়ামত মনে করে মহান আল্লাহ পাক উনার ইবাদত-বন্দেগীতে মশগুল থাকা। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অনুসরণ অনুকরন করা, মাল-সম্পদকে মহান আল্লাহ পাক উনার পথে খরচ করা এবং দ্বীন ইসলাম মুতাবিক নিজেকে পরিচালিত করা।
২৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
পবিত্র সুন্নত মুবারক উনাদের মাঝেই সর্বোত্তম তাক্বওয়া। যিনি যত বেশি পবিত্র সুন্নত মুবারক উনার পাবন্দ হবেন, তিনি তত বেশি মর্যাদা বা সম্মানের অধিকারী হবেন। সুবহানাল্লাহ!
২৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহান আল্লাহ পাক উনার যিকিরকারী ব্যক্তি জীবিত আর যে মহান আল্লাহ পাক উনার যিকির করেনা সে ব্যক্তি মৃত। তাই, প্রত্যেক মুসলমানের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- দুনিয়া পরিত্যাগ করে সম্মানিত শরীয়ত নির্দেশিত তারতীব অনুযায়ী দায়েমীভাবে মহান আল্লাহ পাক উনার যিকির করে মহান আল্লাহ পাক উনাকে এবং মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে হাছিলের কোশেশ করা।
২৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
প্রত্যেক মুসলমান পুরুষ-মহিলা, জ্বীন-ইনসান সকলের জন্যই ইখলাছ অর্জন করা এবং ইখলাছের সাথে প্রতিটি আমল করা ফরয। সুবহানাল্লাহ! কেননা ইখলাছ ব্যতীত কোন ইবাদত মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট কবুল হয় না। ইখলাছ হাছিল করতে হলে অবশ্যই একজন কামিল শায়েখ বা মুর্শিদ ক্বিবলা উনার নিকট বাইয়াত গ্রহণ করে ইলমে তাছাউফ অর্জন করতে হবে।
২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
আখেরী যামানার ফিতনা ফাসাদ থেকে নাজাত লাভের একমাত্র উপায় হলো হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরা তথা অনুসরণ অনুকরণ করা, জীবনের সকল ক্ষেত্রে উনাদেরকে আদর্শ রূপে গ্রহণ করা। তাই, প্রত্যেক ঈমানদার পুরুষ ও মহিলার জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হলো- হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে সর্বাধিক মুহব্বত করা, সর্বক্ষেত্রে উনাদেরকে অনুসরন করা এবং উনাদেরকে উছীলা হিসেবে গ্রহণ করে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খাছ তায়াল্লুক-নিসবত মুবারক হাছিল করা।
২৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আব্বা-আম্মা আলাইহিমাস সালাম উনারা হচ্ছেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মধ্যে প্রথম স্তর মুবারক-এ। উনারা শুধু মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া সব।
২২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে- সম্মানিত আইয়্যামুল্লাহ শরীফ বা মহান আল্লাহ পাক উনার বিশেষ দিবসসমূহ পালন করা সকলের জন্য আবশ্যক। তাই, সকলের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- অত্যাধিক ধৈর্য্য ও শুকুরগুজারী, যওক্ব-শওক্ব, মুহব্বত, তা’যীম-তাকরীম ও সম্মানের সাথে পবিত্র আইয়্যামুল্লাহ শরীফ উদযাপন করা, পালন করা।
২১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
কুফরী থেকে বাঁচতে হলে খালিছভাবে নেক আমল করতে হবে। তাই, প্রত্যেক মুসলমানের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- কুফরি শিরকী থেকে বেঁচে থাকার জন্য দায়িমীভাবে আমলে ছলেহ করা। আর সর্বোত্তম নেক আমল বা আমলে ছলেহ হলো, প্রথমত পবিত্র সুন্নতের অনুসরণ করা। অর্থাৎ খাওয়া-দাওয়া, আচার-আচরণ, উঠা-বসা, চলাফেরা, ঘুমসহ সর্বক্ষেত্রে সুন্নত অনুযায়ী আমল করা। দ্বিতীয়ত সর্বদা মহান আল্লাহ পাক উনার যিকিরে মশগুল থাকা।
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মহান আল্লাহ পাক উনার যিকির সমস্ত কামিয়াবীর সোপান। তাই, প্রত্যেক মুসলমানের জন্য দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে- ইলমে তাছাউফের তারতীব অনুযায়ী গাইরুল্লাহ হতে বিমুখ হয়ে একাগ্রতার সাথে মহান আল্লাহ পাক উনাকে স্মরণ করা বা উনার যিকির করা এবং মহান আল্লাহ পাক উনার দিকেই খালিছভাবে রুজু হওয়া।
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার ফতওয়া অনুসারে- ‘যে পুরুষ ও মহিলা নিজে পর্দা করে না ও অধীনস্থদের পর্দায় রাখে না, সে দাইয়্যূছ।’ নাউযুবিল্লাহ! তাই প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ফরয হচ্ছে- যথাযথভাবে শরয়ী পর্দা পালন করা এবং কাফির-মুশরিকদের সর্বপ্রকার ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে সজাগ ও সতর্ক থাকা।
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
বান্দা-বান্দী যদি মহান আল্লাহ পাক উনার আনুগত্য করে, উনার প্রতি তাওয়াক্কুল করে, উনার শোকরগুজারী করে এবং তাক্বওয়া অবলম্বন করে, তাহলে মহান আল্লাহ পাক তিনি তাদেরকে ইতমিনান দান করবেন এবং এমন কুদরতী রিযিক দান করবেন, যা সে কল্পনাও করতে পারবে না।.. প্রত্যেক মুসলমানের দায়িত্ব-কর্তব্য হলো- খালিছভাবে মহান আল্লাহ পাক উনার আনুগত্য করে, উনার প্রতি তাওয়াক্কুল করে, উনার শোকরগুজারী করে এবং তাক্বওয়া অবলম্বন করে হাক্বীক্বী মু’মিন-মুত্ত্বাক্বী হওয়া।
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মুসলিম উম্মাহ সকলের জন্য ফরয-ওয়াজিব হচ্ছে- হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের সম্পর্কে সঠিক আক্বীদা পোষণ করা। কেননা উনারা প্রত্যেকেই প্রত্যেকের মাক্বাম মুবারকে অনন্যা। যে বা যারা বিশুদ্ধ আক্বীদা পোষণ করে উনাদের যত বেশি তা’যীম-তাকরীম, সম্মান করবে এবং উনাদের অনুসরণ -অনুকরণ করার কোশেশ করবে মহান আল্লাহ পাক তিনি তাকেও ততখানি মর্যাদা দান করবেন অর্থাৎ সেও মর্যাদাবান হয়ে যাবে।
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)












