প্রসঙ্গ: রাষ্ট্রদ্বীন ইসলাম মুসলমানের ধর্মীয় অধিকার, পবিত্র দ্বীন ইসলাম পালনে আবহ এবং রাষ্ট্রযন্ত্রের দায়।
, ১৭ যিলক্বদ শরীফ, ১৪৪৪ হিজরী সন, ০৮ আউওয়াল, ১৩৯১ শামসী সন , ০৭ জুন, ২০২৩ খ্রি:, ২৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) সম্পাদকীয়
সাংবিধানিকভাবে পবিত্র দ্বীন ‘ইসলাম’ যে এদেশে রাষ্ট্রদ্বীন; শুধু তাই নয়। বিষয় হচ্ছে ‘ধর্মনিরপেক্ষতার’ও যে ব্যাখ্যা দেয়া হচ্ছে তাতে একজন মুসলমানও পরিপূর্ণ পবিত্র দ্বীন ইসলাম পালনের সুযোগ পাবেন।
একজন ‘মুসলমান’ তিনি সম্মানিত ‘ইসলামী’ জীবন-যাপনের সুযোগ পাবেন।
একজন ‘মুসলমান’ তিনি সম্মানিত ‘ইসলামী মূল্যবোধ’ বজায় রেখে স্বতঃস্ফূর্তভাবে চলতে পারবেন; ফিরতে পারবেন।
একজন ‘মুসলমান’ তিনি উনার চারপাশের আবহে সম্মানিত ‘ইসলামী পরিবেশ’ পাবেন।
একজন মুসলমান- ‘তিনি চলাফেরা করলে কোনো বেপর্দা নারীর মুখোমুখি হবেন না।’ একজন মুসলমান- উনার কানে ‘কোনো গান-বাজনার আওয়াজ আসবে না।’ একজন মুসলমান- তিনি ‘সুদমুক্ত অর্থনীতির’ সুযোগ পাবেন। একজন মুসলমান- ‘তিনি শিক্ষায় সম্মানিত ইসলামী শিক্ষার গভীরতা পাবেন।’
একজন মুসলমান- ‘তিনি শরীয়তী আইনের সমাহার পাবেন।’
মূলত, এসবই হচ্ছে একজন মুসলমানের একান্ত ধর্মীয় অধিকার। আর রাষ্ট্রদ্বীন- পবিত্র দ্বীন ‘ইসলাম’ অথবা সব ‘ধর্মাবলম্বীর ধর্ম পালনের’ সুযোগের অধিকার প্রদান সাপেক্ষে রাষ্ট্রযন্ত্র অবশ্যই সাংবিধানিকভাবে প্রতিটি মুসলমানকে সে সুযোগ দানের জন্য দায়বদ্ধ।
কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত এদেশের রাষ্ট্রযন্ত্র মুসলমানগণ উনাদেরকে সে কাঙ্খিত ধর্মীয় অধিকার প্রদানে লজ্জাজনকভাবে ব্যর্থ।
রাষ্ট্রযন্ত্রের প্রতিটি আচরণে একথা সুস্পষ্টভাবে প্রতিভাত। এক বিজ্ঞাপনের উদাহরণ যদি এক্ষেত্রে দেয়া হয় তাও চরম।
একজন মুসলমান পথচারীর আজ প্রতি মুহূর্তে হাজারো কবীরাহ গুনাহ হয়। হাজারো চোখের ব্যভিচার হয়। শুধুমাত্র রাষ্ট্রযন্ত্রে চলমান বিজ্ঞাপন বাহারের কারণে। প্রাপ্ত সংবাদে জানা গেছে, রাস্তার মোড়ে মোড়ে, লক্ষ লক্ষ বিল্ডিংয়ের ছাদে ছাদে বা দেয়ালে দেয়ালে বিবস্ত্রপ্রায় নারীর বিশাল বিজ্ঞাপন টানানো আছে। এসব বিবস্ত্র বাহারী বিজ্ঞাপন মূলত রাষ্ট্রযন্ত্রকে ক্ষত-বিক্ষত করে চলছে।
এসব বিজ্ঞাপন একজন রক্ত-গোশতের মানুষকে বিজ্ঞাপনে প্রদর্শিত সুন্দরী নারীর সান্নিধ্য পাবার জন্য প্ররোচিত করছে। যার পরিণতি হচ্ছে নারীটিজিং, সম্ভ্রমহরণ, পরকীয়া থেকে খুন-খারাবী ইত্যাদি।
আবার বিলাসী ফ্ল্যাট বা আয়েশী উপকরণের চটকদার বিজ্ঞাপন প্রতি মুহূর্তে প্রত্যেক মানুষকে অঢেল বিত্ত-বৈভবের অধিকারী হতে প্রলুব্ধ করছে।
যার পরিণতি হচ্ছে ঘুষ, দুর্নীতি থেকে মজুদদারী, মুনাফাখোরী তথা সিন্ডিকেট। তার যাঁতাকলে নিষ্পেষিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ।
অপরদিকে সম্মানিত ‘ইসলামী মূল্যবোধ’ অনুযায়ী একজন সাধারণ মুসলমান যে শুধু দুনিয়াতেই বঞ্চিত হচ্ছে তা নয়; বরং আখিরাতেও সে লাঞ্ছিত হবার উপক্রম হচ্ছে।
সাধারণ মুসলমান সাধারণ প্রবৃত্তির অধিকারী। যার প্রভাবে সে বিজ্ঞাপনে প্রদর্শিত বিবস্ত্র সুন্দরী নারীর প্রতি দৃষ্টিপাতে বিভোর হতেই পারে। নাঊযুবিল্লাহ!
এতে করে হচ্ছে তার লক্ষ লক্ষ কবীরাহ গুনাহ। যার পরিণতি আখিরাতে হাবিয়াহ দোযখ। অথবা আগুনের তৈরি নারীর আলিঙ্গনের শাস্তি। নাঊযুবিল্লাহ!
দেখা যাচ্ছে, রাষ্ট্রযন্ত্রের বেখেয়ালের বিজ্ঞাপনে সাধারণ মুসলমান, পরকালে দোযখের আগুনে প্রজ্বলিত হবার উপযুক্ত হচ্ছে। রাষ্ট্রযন্ত্র এর অবাধ পৃষ্ঠপোষকতা করছে। এক্ষেত্রে রাষ্ট্রযন্ত্রই যে এদেশের ৯৮ ভাগ অধিবাসী মুসলমানগণ উনাদেরকে, ‘রাষ্ট্রদ্বীন পবিত্র দ্বীন ইসলাম’ উনার এদেশে প্রতি মুহূর্তে জাহান্নামী তৈরি করছে- রাষ্ট্রযন্ত্র সে দায় এড়াতে পারে কী?
রাষ্ট্রযন্ত্র এদেশের ৯৮ ভাগ অধিবাসী মুসলমানগণ উনাদেরকে পবিত্র দ্বীন ইসলাম পালনের পরিবেশ বা অধিকার দিচ্ছে- সে কথা বলতে পারে কী?
এদিকে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ থেকেও বর্তমানে বিজ্ঞাপনে যেভাবে মিথ্যা জরিপ, বাংলাদেশী ঐতিহ্য-অস্বীকার, বিদেশী মডেলে বিজ্ঞাপন, নীতিহীন শিক্ষা, প্রতারণামূলক চর্চা ইত্যাদির অনুশীলন করছে- তাও-বা রাষ্ট্রযন্ত্র কীভাবে মেনে নিচ্ছে?
পাশাপাশি বিজ্ঞাপনে যেভাবে নারীকে পণ্য হিসেবে প্রচার করা হচ্ছে- তাও নারীবাদীরা কিভাবে মেনে নিচ্ছে?
এছাড়াও গোপন রোগ-চিকিৎসার যে প্রকাশ্য বিজ্ঞাপন প্রচারিত হচ্ছে, তাতে পিতা-পুত্র বা মা-মেয়ে একসাথে রাস্তায় চলবে কীভাবে? রাষ্ট্রযন্ত্র কী আদৌ তা ভেবে দেখেছে?
বলার অপেক্ষা রাখে না, রাষ্ট্রযন্ত্র আজ নীতিহীন পুঁজিপতিদের দখলে। সেখানে পুঁজিই বড় কথা। নীতি মূল্যহীন।
প্রসঙ্গত, একটা বিষয় স্পষ্ট যে, প্রতারণা, মিথ্যা, নারীটিজিং, সম্ভ্রমহরণ, পরকীয়া, খুন, ঘুষ, দুর্নীতি ইত্যাদি বন্ধ অথবা নারীত্ব মূল্যায়ন কিংবা বিজ্ঞাপনের সুষ্ঠু, সুস্থ ও সঠিক নীতিমালা প্রণয়ন সেটা তখনই প্রযোজ্য হবে, যখন তাতে সম্মানিত ইসলামী নীতিমালা সর্বাংশে প্রতিফলিত হবে। অন্য কথায় সব অন্ধকার দূর করে আলোর প্রজ্জ্বলনে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাকেই প্রতিভাত করতে হবে।
মূলত, এসব দায়িত্ববোধ আসে ইসলামী অনুভূতি ও প্রজ্ঞা থেকে। আর তার জন্য চাই নেক ছোহবত মুবারক তথা ফয়েয-তাওয়াজ্জুহ মুবারক।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। (আমীন)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
দেশে মানসিক রোগীর সংখ্যা প্রায় ৪ কোটি। বিপরীতে স্বাস্থ্য বাজেটের মাত্র ০.৪৪% ব্যয় হচ্ছে মানসিক চিকিৎসায়। রয়েছে মানসিক বিশেষজ্ঞ ও দক্ষ জনবল সঙ্কট। সরকারের উচিত, দেশের মানসিক চিকিৎসা ব্যবস্থায় উন্নত করা এবং পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দ করা।
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
অবৈধ পথে বিদেশে গিয়ে ভয়াবহ নির্যাতিত হওয়ার পাশাপাশি নিঃস্ব হচ্ছে বহু পরিবার। মানব পাচার রোধে শক্ত ও সমন্বিত ব্যবস্থা নেয়া জরুরী দরকার।
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
আজ মহাসম্মানিত ১২ই জুমাদাল উখরা শরীফ। যা সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম, মহাসম্মানিত রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার মহিমান্বিত, মহাপবিত্র ১২ তারিখ উনার সাথে সম্পর্কযুক্ত। সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার শান মান মুবারক অনুভব করা, মর্যাদা-মর্তবা মুবারক জানা, দয়া-ইহসান মুবারক উপলব্ধি করা সর্বোপরি নেক ছায়াতলে উপনীত হওয়া বর্তমান যামানায় সবার জন্যই ফরজ।
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
৩ লাখ কোটি টাকা মূল্যের ৯ হাজার একর বেদখল হওয়া রেলের জমি উদ্ধারে অতীতের মত বর্তমান সরকারও ব্যার্থ হচ্ছে কথিত গলদ আইন ও লোক দেখানো উদ্ধার প্রক্রিয়া এবং লোভী জনগণের বিপরীতে খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র চেতনাতেই সফলতা ও প্রাপ্তি সম্ভব ইনশাআল্লাহ
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
স্বামী-স্ত্রীর সহজাত খুনসুটিকে বৈবাহিক ধর্ষণ সংজ্ঞায়িত করার সরকারী উসকানি এখন বাবা-মায়ের শাসনকেও মামলায় গড়িয়েছে। পারিবারিক বন্ধন ধ্বংস, এল.জি.বি.টি.কিউ আন্দোলনের কুচক্রী, কুশীলবদের কুতৎপরতা রোধে ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানকে এক্ষণি সোচ্চার হতে হবে ইনশাআল্লাহ
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রতি বছর সাপের কামড়ের শিকার ৯৬ হাজার মানুষ, মৃত্যু ১০ হাজারের বেশী। প্রতিদিন মারা যায় প্রায় ২৫ জন। অ্যান্টিভেনম সহজলভ্য করতে হবে। দেশেই উৎপাদনের ব্যবস্থা করতে হবে। ইনশাআল্লাহ!
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
জনঘনত্বের কারণে- বেশী তাপমাত্রা, রোগব্যাধি, বায়ূ দূষণ, শব্দ দূষণ, যানজট পানিবদ্ধতা সহ বিভিন্ন দুর্বিষহ ও দমবদ্ধ অবস্থায় বিপর্যস্থ ঢাকা এখন সম্পূর্ণভাবে বসবাসের অযোগ্য। নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার আগেই ঢাকাকে বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে ইনশাআল্লাহ
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মুবারক হো মহিমান্বিত ৯ই জুমাদাল ঊখরা শরীফ! আজ ক্বায়িম-মাক্বামে সিবতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সাইয়্যিদুল উমাম আল খ¦মিস আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
দেশের ৪ কোটি মানুষ না খেয়ে থাকে। অথচ বছরে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার শস্য নষ্ট হয় খাদ্য অপচয় রোধ করতে ‘নিশ্চয়ই অপব্যয়কারীরা শয়তানের ভাই’- পবিত্র কুরআন শরীফ উনার এই নির্দেশ সমাজের সর্বাত্মক প্রতিফলন ব্যতীত কোনো বিকল্প নেই।
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
দেশে মানসিক রোগীর সংখ্যা প্রায় ৪ কোটি। বিপরীতে স্বাস্থ্য বাজেটের মাত্র ০.৪৪% ব্যয় হচ্ছে মানসিক চিকিৎসায়। রয়েছে মানসিক বিশেষজ্ঞ ও দক্ষ জনবল সঙ্কট।
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ, মহাসম্মানিত রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার মহিমান্বিত, মহাপবিত্র ৭ তারিখ উনার সাথে সম্পর্কযুক্ত পবিত্র ৭ই জুমাদাল ঊখরা শরীফ আজ।
২৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নিজেদের ক্যাশিয়ারদের সুযোগ করে দেয়ার জন্য পতিত সরকার দেশের চিনি শিল্পকে ধ্বংস করেছিলো। (নাউযুবিল্লাহ) যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করলে অতীতের মত চিনি রফতানী করা যাবে ইনশাআল্লাহ খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পরিক্রমায় চললেই সে প্রজ্ঞা পাওয়া সম্ভব ইনশাআল্লাহ!
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)












