খালিক্ক মালিক্ব রব মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাধ্যমে সৃষ্টি জগতের কল্যাণে সম্মানিত পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাকে হাদিয়া করেছেন। কিন্তু শয়তানের অনুসারী ইসলামের চিরশত্রু ইহুদি-মুশরিক, কাফির, মুশরিক, মুনাফিকেরা নিজেদের অন্তরের হিংসাবশত সবসময় মুসলমানদের ঈমান, আমল, জান-মাল ক্ষতির অপচেষ্টায় লিপ্ত। তাদের খুদকুড়াভোগী কিছু মুসলমান পরিচয়ে লুকিয়ে থাকা মুনাফিকেরা দ্বীন ইসলামের বিরুদ্ধে এবং দেশ ও জাতির বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্তে লিপ্ত। দেশ ও জাতির সার্বিক কল্যাণে ইনসাফ কায়েমকারী ছাত্র-শ্রমিক-জনতা গতকাল ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) বা’দ আছর মালিবাগ মোড়ে ফাল ইয়াফরাহু চত্ত¦রে এক প্রতিবাদ সমাবেশে ৮টি দাবী তুলে ধরেন। তাদের দাবীসমূহ হলো:

১ম দাবী : নবীজীর দুশমন, কাট্টা কাফির, কুলাঙ্গার বক্তা মিজান আযহারী তার বক্তব্যে প্রিয় নবীজী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে “কাউবয়’, ‘টেলেন্ট হান্টার’ এবং অনুরূপ অনেক মানহানীমূলক শব্দ বলে সম্বোধন করে চরম কুফরী করেছে। নাউযুবিল্লাহ! নাউযুবিল্লাহ! নাউযুবিল্লাহ! আমরা নবীজীর দুশমন কুলাঙ্গার বক্তা মিজান আযহারীকে নিকৃষ্ট মুরতাদ, কাট্টা কাফের বলে ঘোষণা করছি এবং তার ও তার সমগোত্রীয় যারা প্রাণপ্রিয় নবীজী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মানহানী করে এবং নবীজী উনার শানে কটুক্তি বা ব্যঙ্গ করে তাদের সকলের অবশ্যই ‘ফাঁসী’ দাবী করছি।

বক্তাগণ আরো বলেন, কাট্টা কাফির মিজান গাঁজাখোরীর মত প্রায় একই রকম বক্তব্য দিয়েছে তথাকথিত প্রধান উপদেষ্টা। নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শানে ইহানত করার অপরাধে প্রধান উপদেষ্টাকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে নয়তো তাকেও বিচারের আওতায় আনতে হবে।

২য় দাবী : মানুষের কল্যাণে এবং জননিরাপত্তার প্রয়োজনে র প্রয়োজনে জন্য অবিলম্বে বেওয়ারিশ কুকুর নিধন করতে হবে। পাশাপাশি কুকুর পূজারীদেরকে গ্রেফতার করে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

৩য় দাবী : এই বছরের দাখিল নবম-দশম শ্রেণীর পাঠ্যপুস্তকের প্রচ্ছদে উপজাতিদের ‘আদিবাসি’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এটা একটা চক্রান্ত। তাদেরকে আদিবাসি বললে তারা তাদের জন্য স্বায়ত্তশাসন চাইতে পারবে। উপজাতিদের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী বলতে হবে, আদিবাসি বলা যাবে না।

৪র্থ দাবী : দেশের এবং দ্বীন ইসলামের সম্মানার্থে সরকারী-বেসরকারী চাকুরী থেকে, নিরাপত্তা এবং আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী, প্রশাসন এবং দেশের নীতি নির্ধারক পদ থেকে হিন্দু, বৌদ্ধ, উপজাতিসহ সমস্ত বিধর্মীদের বহিষ্কার করতে হবে এবং নতুন করে কোনো বিধর্মীদের নিয়োগ দেয়া যাবে না। পবিত্র শবে মেরাজের ছুটিকে বাধ্যতামূলক করতে হবে। পবিত্র শবে মেরাজের মধ্যে সংঘটিত মহান আল্লাহ পাক উনার দীদারের সাথেই দ্বীনের মূল স্তম্ভ ৫ ওয়াক্ত নামাজ বা সালাতের ইতিহাস জড়িত।

৫ম দাবী : ভারতের উলঙ্গ নাগা সন্যাসিরা তথাকথিত কুম্ভমেলায় বাংলাদেশ দখলের গাজাখোরী হুমকি দিয়েছে। ভারতকে এর জন্য ক্ষমা চাইতে হবে নতুবা বাংলাদেশের মুক্তিকামী মানুষ উল্টো ভারত দখল করে ফেলতে পারে। ভারতীয় পণ্য এবং ভারতের বিদেশীদের থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করা বর্জন করতে হবে।

৬ষ্ঠ দাবী : মুসলমান পরিচয়ে থাকার পরও যে সমস্ত ধর্মব্যবসায়ী ওলামায়ে ছূ’রা হিন্দুদের দালালী করে, মুসলমানদেরকে হিন্দুদের সাথে সম্প্রীতি করতে বলে, মন্দির পাহারা দেয়, মূর্তি বানাতে উৎসাহিত করে, মুসলমানদেরকে পর্দার ব্যাপারে শিথিল হতে বলে, ইউরোপীয়-আমেরিকান ইংরেজদের তথা কাফির, মুশরিক, অমুসলিমদের অনুসরণ করতে বলে তাদেরকে মুনাফিক এবং প্রতারক হিসেবে চিহ্নিত করতে হবে। এদেরকে সমাজচ্যূত করতে হবে।

৭ম দাবী : ইহুদিবাদী আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চাপে ৬৫ পণ্য ও সেবার ভ্যাট-সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে। দেশের স্বার্থে আমদানী পণ্যের উপরে শুল্ক বৃদ্ধি করে দেশীয় উৎপাদিত পণ্যের উপর ভ্যাট কমাতে হবে। জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, এলপি গ্যাস, খাদ্য ও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের উপর ভ্যাট হার বৃদ্ধি দ্রব্যমূল্য বাড়াবে। তাই দেশীয় উৎপাদিত পণ্যের উপর ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত দেশকে গরীব করার জন্য একটি বড় ষড়যন্ত্র।

৮ম দাবী : পাঠ্য পুস্তকে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার সাথে বাতিল ধর্মগুলোকেও সমান মর্যাদার ইংগিত করে ছবি অংকিত রয়েছে। নাউযুবিল্লাহ। নতুন পাঠ্যবইয়ে আবার চরিত্র নষ্ট করার জন্য কিভাবে গর্ভ নষ্ট করতে হয় এবং অবৈধ মেলামেশার শিক্ষাও রয়েছে। এই নিকৃষ্ট পাঠ্যসূচি এবং পাঠ্যপুস্তকসমূহ বাদ দিতে হবে। শতকরা ৯৮ ভাগ মুসলমাসের এই দেশে অবশ্যই পবিত্র দ্বীন ইসলাম নির্ভর শিক্ষানীতি, শিক্ষাসূচি এবং পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন করতে হবে।

‘ইনসাফ কায়েমকারী ছাত্র-শ্রমিক-জনতা’ নামক সংগঠনের প্রেরিত এক বার্তায় এসব তথ্য জানানো হয়।